০৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

কলাপাড়ায় সফল উদ্যোক্তা মোস্তফা জামানের বাগানে নতুন ১০ প্রজাতির ড্রাগন চাষ

কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনী পাড়া গ্রামের ড্রাগন চাষী মোস্তফা জামান। ২০১২ সালে ঢাকা থেকে দেশীয় জাতের বীজ সংগ্রহ করে শখের বসে শুরু করেন ড্রাগন চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় ২০১৭ সালে ভগ্নিপতির পরামর্শে বাড়ির পাশে ১একর জমিতে ৪০০ গাছ নিয়ে বানিজ্যিকভাবে শুরু করেন ড্রাগন চাষ। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের পেলোরা, বারি অন সাদা, বারি অন লাল, বারি অন গোলাপি, বারি গোল্ড, ইজরাইলি হলুদ, রেড ভিউ বেট ও বøাক ইষ্টসহ তার বাগানে সাড়ি সাড়ি ঝুলছে নতুন জাতের ১০ প্রজাতির ড্রাগন ফল। লাল, সাদা, হলুদ এবং গোলাপি রঙের পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ স্বুসাদু এ ড্রাগন ফল বাগানে বসেই তিনি বিক্রি করছেন ৪০০ টাকা কেজি দরে। রপ্তানী হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এতে খরচ বাদে প্রতি মাসে তার আয় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে এ বাগানটি এক নজর দেখতে ভীড় করছে উৎসুক মানুষ। ইতিমধ্যে সফল এ ড্রাগন চাষীর দেখাদেখি কলাপাড়ায় গড়ে উঠেছে অন্তত ৫০ টি ছোট-বড় ড্রাগন বাগান। এসব বাগানের মালিকদের প্রশিক্ষনসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

ধানখালী ইউনিয়নের ড্রাগন চাষী সোহেল ঘরামী জানান, মোস্তফা জামানের ড্রাগন বাগানে ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বিভিন্ন সময় তার বাগান ঘুরে দেখেছি। এসময় তার কাছ থেকে কাটিং সংগ্রহ করে ছোট পরিসরে ড্রাগন চাষ শুরু করেছি। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আরেক ড্রাগন চাষী সিদ্দিক গাজী জানান, মোস্তফা জামান একজন সফল ড্রাগন চাষী। তার বাগানের দৃশ্য দেখে আমাদের মন জুড়িয়ে গেছে। পরিকল্পনা করেছি নিজেও একটি ড্রাগন বাগান করবো।

সফল উদ্যেক্তা ড্রাগন চাষী মোন্তফা জামান জানান, ১০ বছর আগে মূলত: শখের বসেই ড্রাগন চাষ শুরু করেছিলাম। এখন পুরোপুরি বানিজ্যিক ভাবেই করছি। আয়ও বেশ ভালোই হচ্ছে। বাড়িতে বসেই ড্রাগন পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাগানে ৮ প্রজাতির ড্রাগন গাছে ফল ধরেছে। তবে ভিয়েতনামের রেড ও তাইওয়ানের রেডে এখনও ফল ধরেনি। আগামী মাসের মধ্যে এই দুই জাতের গাছেও ফল আসবে বলে আশা করছি।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, মোস্তফা জামান একজন সফল ড্রাগন চাষী। তার দেখাদেখি ইতিমধ্যেই অনেক বেকার যুবক ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়েছে। আমরা অনেক যুবককে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষন দিয়েছি। আশা করছি নতুন নতুন আগ্রহী যুবকদের মাধ্যমে কলাপাড়ায় অচিরেই ড্রাগন বাগানের আরো ব্যাপক সম্প্রসারন ঘটবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

ট্যাগ :

কলাপাড়ায় সফল উদ্যোক্তা মোস্তফা জামানের বাগানে নতুন ১০ প্রজাতির ড্রাগন চাষ

প্রকাশিত : ০৩:০৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অগাস্ট ২০২২

কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনী পাড়া গ্রামের ড্রাগন চাষী মোস্তফা জামান। ২০১২ সালে ঢাকা থেকে দেশীয় জাতের বীজ সংগ্রহ করে শখের বসে শুরু করেন ড্রাগন চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় ২০১৭ সালে ভগ্নিপতির পরামর্শে বাড়ির পাশে ১একর জমিতে ৪০০ গাছ নিয়ে বানিজ্যিকভাবে শুরু করেন ড্রাগন চাষ। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের পেলোরা, বারি অন সাদা, বারি অন লাল, বারি অন গোলাপি, বারি গোল্ড, ইজরাইলি হলুদ, রেড ভিউ বেট ও বøাক ইষ্টসহ তার বাগানে সাড়ি সাড়ি ঝুলছে নতুন জাতের ১০ প্রজাতির ড্রাগন ফল। লাল, সাদা, হলুদ এবং গোলাপি রঙের পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ স্বুসাদু এ ড্রাগন ফল বাগানে বসেই তিনি বিক্রি করছেন ৪০০ টাকা কেজি দরে। রপ্তানী হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এতে খরচ বাদে প্রতি মাসে তার আয় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে এ বাগানটি এক নজর দেখতে ভীড় করছে উৎসুক মানুষ। ইতিমধ্যে সফল এ ড্রাগন চাষীর দেখাদেখি কলাপাড়ায় গড়ে উঠেছে অন্তত ৫০ টি ছোট-বড় ড্রাগন বাগান। এসব বাগানের মালিকদের প্রশিক্ষনসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

ধানখালী ইউনিয়নের ড্রাগন চাষী সোহেল ঘরামী জানান, মোস্তফা জামানের ড্রাগন বাগানে ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বিভিন্ন সময় তার বাগান ঘুরে দেখেছি। এসময় তার কাছ থেকে কাটিং সংগ্রহ করে ছোট পরিসরে ড্রাগন চাষ শুরু করেছি। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আরেক ড্রাগন চাষী সিদ্দিক গাজী জানান, মোস্তফা জামান একজন সফল ড্রাগন চাষী। তার বাগানের দৃশ্য দেখে আমাদের মন জুড়িয়ে গেছে। পরিকল্পনা করেছি নিজেও একটি ড্রাগন বাগান করবো।

সফল উদ্যেক্তা ড্রাগন চাষী মোন্তফা জামান জানান, ১০ বছর আগে মূলত: শখের বসেই ড্রাগন চাষ শুরু করেছিলাম। এখন পুরোপুরি বানিজ্যিক ভাবেই করছি। আয়ও বেশ ভালোই হচ্ছে। বাড়িতে বসেই ড্রাগন পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাগানে ৮ প্রজাতির ড্রাগন গাছে ফল ধরেছে। তবে ভিয়েতনামের রেড ও তাইওয়ানের রেডে এখনও ফল ধরেনি। আগামী মাসের মধ্যে এই দুই জাতের গাছেও ফল আসবে বলে আশা করছি।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, মোস্তফা জামান একজন সফল ড্রাগন চাষী। তার দেখাদেখি ইতিমধ্যেই অনেক বেকার যুবক ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়েছে। আমরা অনেক যুবককে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষন দিয়েছি। আশা করছি নতুন নতুন আগ্রহী যুবকদের মাধ্যমে কলাপাড়ায় অচিরেই ড্রাগন বাগানের আরো ব্যাপক সম্প্রসারন ঘটবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব