১১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

কে হচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি, গান্ধী পরিবারের বাইরে যাচ্ছে দলীয় প্রধানের পদ?

সোনিয়া গান্ধী ও রাজীব গান্ধী (বামে ইনসেটে অশোক গেহলট)

কংগ্রেস, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতের প্রধান বিরোধী দল। বর্তমানে দলটির সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী। গুঞ্জন উঠেছে, এবার গান্ধী পরিবারের বাইরে চলে যেতে পারে কংগ্রেস সভাপতির পদ।

এরই মধ্যে দলটির পরবর্তী সভাপতি কে হচ্ছেন, তা নির্ধারণের দিন তারিখ ঠিক করতে আগামী রবিবার বৈঠকে বসবে দলের ওয়ার্কিং কমিটি। জানা গেছে, গান্ধী পরিবারের কেউ আর দলের সভাপতির দায়িত্ব নিতে চায় না। ফলে এবার গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ সভাপতির আসনে বসতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রার্থী হিসেবে এখন পর্যন্ত একজনের নামই সামনে এসেছে, তিনি হলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
কংগ্রেসের সাধারণ সচিব কেসি বেণুগোপাল টুইট করে জানিয়েছেন, আগামী ২৮ আগস্ট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। তাতে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের সময়সূচি অনুমোদন দেওয়া হবে। শারীরিক অসুস্থতার চিকিৎসা করাতে দেশের বাইরে যাবেন সোনিয়া গান্ধী। সঙ্গে যাচ্ছেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কাও। ফলে তিনজনের কেউই থাকবেন না ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। তবে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেবেন তারা।

লোকসভা নির্বাচনে পরপর দু’বার কংগ্রেসের ভরাডুবির পর ২০১৯ সালে দলীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। তার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া। তবে ২০২০ সালের আগস্টে দলের বেশ কয়েক জন শীর্ষ নেতার বিদ্রোহের মুখে তিনিও সে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। যদিও ওয়ার্কিং কমিটির অনুরোধে পদে থেকে যান সোনিয়া। সভাপতি হিসেবে যার নাম আসছে সেই অশোক গেহলট মঙ্গলবার দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে অশোক সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মিডিয়ার কাছ থেকেই এই প্রথম শুনছি। আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। দলের পক্ষ থেকে আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি সেই কাজই করছি।”

তিনি আরও বলেন, যদি রাহুল গান্ধী সভাপতি না হন, তবে দেশের সমস্ত কংগ্রেস কর্মীই আশাহত হবেন। বহু কর্মী বাড়িতে বসে যাবেন, এর ফলে দলেরই ক্ষতি হবে। উনার উচিৎ কংগ্রেস কর্মীদের অনুভূতির প্রতি মর্যাদা রেখে নিজে থেকেই এই দায়িত্ব নেওয়া। দলের সবাই চান রাহুল গান্ধীই সভাপতি হোক। তাই আমার মনে হয় উনার এই প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত। এটা গান্ধী বা অগান্ধী পরিবারের বিষয় নয়, এটা সংগঠনের কাজ এবং এতে কেউ প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন না।

তবে আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, রাহুল গান্ধী নিজে ফের কংগ্রেস সভাপতির পদের দায়িত্ব নিতে নারাজ। মা সোনিয়া গান্ধী শারীরিক অসুস্থতা উপেক্ষা করে ওই পদে থেকে যান, তা তিনি চাইছেন না। বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সেই দায়িত্ব নিন, তাও চাইছেন না রাহুল। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরেও গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন রাহুল। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের চাপে সোনিয়া গান্ধীই ফের সভানেত্রীর দায়িত্ব নিতে রাজি হন।

এ পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সামনে দুটি বিকল্প রয়েছে। প্রথম বিকল্প- সীতারাম কেশরীর পরে সত্যিই গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে কাউকে কংগ্রেসের সভাপতি বেছে নেওয়া। কেশরীর পরে ১৯৯৮ সালে সোনিয়া কংগ্রেসের সভানেত্রী হন। এখনও তিনিই সভানেত্রী। মাঝে ২০১৭ থেকে ২০১৯, দু’বছর রাহুল সভাপতি ছিলেন। দ্বিতীয় বিকল্প হলো, ফের কোনও অজুহাত খাড়া করে কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া। রাহুল সভাপতির পদে দায়িত্ব নিতে রাজি ছিলেন না বলে এর আগে দু’বার কংগ্রেস সভাপতির পদে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ‍দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

কে হচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি, গান্ধী পরিবারের বাইরে যাচ্ছে দলীয় প্রধানের পদ?

প্রকাশিত : ১০:৪৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২

কংগ্রেস, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতের প্রধান বিরোধী দল। বর্তমানে দলটির সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী। গুঞ্জন উঠেছে, এবার গান্ধী পরিবারের বাইরে চলে যেতে পারে কংগ্রেস সভাপতির পদ।

এরই মধ্যে দলটির পরবর্তী সভাপতি কে হচ্ছেন, তা নির্ধারণের দিন তারিখ ঠিক করতে আগামী রবিবার বৈঠকে বসবে দলের ওয়ার্কিং কমিটি। জানা গেছে, গান্ধী পরিবারের কেউ আর দলের সভাপতির দায়িত্ব নিতে চায় না। ফলে এবার গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ সভাপতির আসনে বসতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রার্থী হিসেবে এখন পর্যন্ত একজনের নামই সামনে এসেছে, তিনি হলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
কংগ্রেসের সাধারণ সচিব কেসি বেণুগোপাল টুইট করে জানিয়েছেন, আগামী ২৮ আগস্ট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। তাতে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের সময়সূচি অনুমোদন দেওয়া হবে। শারীরিক অসুস্থতার চিকিৎসা করাতে দেশের বাইরে যাবেন সোনিয়া গান্ধী। সঙ্গে যাচ্ছেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কাও। ফলে তিনজনের কেউই থাকবেন না ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। তবে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেবেন তারা।

লোকসভা নির্বাচনে পরপর দু’বার কংগ্রেসের ভরাডুবির পর ২০১৯ সালে দলীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। তার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া। তবে ২০২০ সালের আগস্টে দলের বেশ কয়েক জন শীর্ষ নেতার বিদ্রোহের মুখে তিনিও সে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। যদিও ওয়ার্কিং কমিটির অনুরোধে পদে থেকে যান সোনিয়া। সভাপতি হিসেবে যার নাম আসছে সেই অশোক গেহলট মঙ্গলবার দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে অশোক সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মিডিয়ার কাছ থেকেই এই প্রথম শুনছি। আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। দলের পক্ষ থেকে আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি সেই কাজই করছি।”

তিনি আরও বলেন, যদি রাহুল গান্ধী সভাপতি না হন, তবে দেশের সমস্ত কংগ্রেস কর্মীই আশাহত হবেন। বহু কর্মী বাড়িতে বসে যাবেন, এর ফলে দলেরই ক্ষতি হবে। উনার উচিৎ কংগ্রেস কর্মীদের অনুভূতির প্রতি মর্যাদা রেখে নিজে থেকেই এই দায়িত্ব নেওয়া। দলের সবাই চান রাহুল গান্ধীই সভাপতি হোক। তাই আমার মনে হয় উনার এই প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত। এটা গান্ধী বা অগান্ধী পরিবারের বিষয় নয়, এটা সংগঠনের কাজ এবং এতে কেউ প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন না।

তবে আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, রাহুল গান্ধী নিজে ফের কংগ্রেস সভাপতির পদের দায়িত্ব নিতে নারাজ। মা সোনিয়া গান্ধী শারীরিক অসুস্থতা উপেক্ষা করে ওই পদে থেকে যান, তা তিনি চাইছেন না। বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সেই দায়িত্ব নিন, তাও চাইছেন না রাহুল। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরেও গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন রাহুল। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের চাপে সোনিয়া গান্ধীই ফের সভানেত্রীর দায়িত্ব নিতে রাজি হন।

এ পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সামনে দুটি বিকল্প রয়েছে। প্রথম বিকল্প- সীতারাম কেশরীর পরে সত্যিই গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে কাউকে কংগ্রেসের সভাপতি বেছে নেওয়া। কেশরীর পরে ১৯৯৮ সালে সোনিয়া কংগ্রেসের সভানেত্রী হন। এখনও তিনিই সভানেত্রী। মাঝে ২০১৭ থেকে ২০১৯, দু’বছর রাহুল সভাপতি ছিলেন। দ্বিতীয় বিকল্প হলো, ফের কোনও অজুহাত খাড়া করে কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া। রাহুল সভাপতির পদে দায়িত্ব নিতে রাজি ছিলেন না বলে এর আগে দু’বার কংগ্রেস সভাপতির পদে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব