০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

থোকায় থোকায় ঝুলছে বারোমাসি আম

খুলনার পাইকগাছায় আমগাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে বারোমাসি আম। একই গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল আর আম। এক ডালে মুকুল তো অন্য ডালে ঝুলছে আম। আমের আকার ও আকর্ষণীয় রঙ। শরৎ আগমনে ডালে ডালে শোভা পাচ্ছে এ বারোমাসি আম। বারোমাস ধরে বলে এ আমের নাম ‘বারোমাসি’। গাছের আকৃতি ছোট ও আম সুস্বাদু। একই গাছে মুকুল, গুটি ও পাঁকা আমের নজরকাড়া দৃশ্য দেখতে কৌতুহলীরা ভীড় করছে। উপজেলায় যেসব আমগাছে মুকুল ধরেছে, সেসব আমের গাছ থাইল্যান্ডের কাটিমন জাতের। এ জাতের গাছ থেকে বছরে তিনবার আম পাওয়া যায়। কাটিমন আম বারোমাসি জাতের বছরে তিনবার ফল হয়। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। ফল লম্বাটে এবং প্রতিটি আমের গড় ওজন ২-৩শ’ গ্রামের হয়ে থাকে।

কাঁচা অবস্থায় হালকা সবুজ এবং পাকলে হলুদে সবুজ রঙ হয়। দেশে এখন অন্তত বারোমাসি সাতটি জাতের আম চাষ হচ্ছে। যেগুলোকে অসময়ের আম বলা হয়। কাটিমন ছাড়া বাকি জাতগুলো হলো-বারি-১১, কিং অব চাকাপাত, কিউজাই, ব্যানানা ম্যাঙ্গো, তাইওয়ান গ্রিণ, মিয়াজাকি অর্থাৎ সূর্যডিম। এসব আমের যেমন বাহারি নাম, দেখতেও তেমন নজরকাড়া। বারি-১১ ও কাটিমন আমের জাত আবার বারোমাসি। অসময়ের আমের মধ্যে এখন দুটি জাতের চাষ বেশি হচ্ছে। থাই কাটিমন ও বারি-১১। বারি আম ১১ বারোমাসি জাতের আম সারা বছরই ফল হয়। গাছের উচ্চতা ৬-৭ ফুট। কোনো অংশে মুকুল, কিছু অংশে আমের গুটি, কিছু অংশে কাঁচা আম, আবার কোথাও পাঁকা। একই গাছেই ফুটে উঠেছে আমের ‘জীবনচক্র’। খেতে সুস্বাদু, তবে একটু আঁশ আছে। ফলের শাঁস গাঢ় হলুদ বর্ণের। এই জাতের ৪-৫ বছর বয়সী গাছ থেকে প্রতিবার ৬০-৭০টি আম আহরণ করা যায়। একটি গাছে বছরে প্রায় ৫০ কেজি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে। বারি আম ১১ এক বছর বয়সী গাছে আমের মুকুল আসে। একটি থোকায় ৫-৬টি আম ধরে। আমের উচ্চফলনশীল এই জাতটি বাংলাদেশের সব এলাকায় চাষ উপযোগী।

আমের আকার ও রঙ হয় বেশ আকর্ষণীয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় বারোমাসি আমের কোনো বাগান গড়ে উঠেনি। তবে বিভিন্ন গ্রামে অল্প সংখ্যক গাছ লাগানো হয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে নার্সারীর মালিক আক্তারুল দো-ফসলি আমের আবাদ করে এলাকায় সাড়া ফেলেন। রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল ২০২০ সালে বারোমাসি আমের চারা রোপণ করেন। রোপণের পরের বছরেই ফল ধরে। এ বছর তার আম বাগান থেকে প্রায় ১০ মন আম বিক্রি করেছেন। তার নার্সারীতে প্রায় ২ হাজার বারোমাসি আমের ছোট চারা রয়েছে। সততা নার্সারীর মালিক অশোক পালের নার্সারীতে বারোমাসি কাটিমন জাতের আমের ফলন ভালো হয়েছে। একটি গাছে প্রায় ২০টি করে আম ধরেছে। তার নার্সারীতে প্রায় দুই শতাধিত বারোমাসি আমের চারা রয়েছে। বারি আম-১১ বা বারোমাসি আমের জাতটি এখন বাংলাদেশের সব উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রে ও নার্সারীতে চাষ হচ্ছে। আমের এই জাতটি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকল আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজ করে যাচ্ছে। যার উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখছে নার্সারী মালিকরা।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

 

 

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

থোকায় থোকায় ঝুলছে বারোমাসি আম

প্রকাশিত : ০৩:৪৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

খুলনার পাইকগাছায় আমগাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে বারোমাসি আম। একই গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল আর আম। এক ডালে মুকুল তো অন্য ডালে ঝুলছে আম। আমের আকার ও আকর্ষণীয় রঙ। শরৎ আগমনে ডালে ডালে শোভা পাচ্ছে এ বারোমাসি আম। বারোমাস ধরে বলে এ আমের নাম ‘বারোমাসি’। গাছের আকৃতি ছোট ও আম সুস্বাদু। একই গাছে মুকুল, গুটি ও পাঁকা আমের নজরকাড়া দৃশ্য দেখতে কৌতুহলীরা ভীড় করছে। উপজেলায় যেসব আমগাছে মুকুল ধরেছে, সেসব আমের গাছ থাইল্যান্ডের কাটিমন জাতের। এ জাতের গাছ থেকে বছরে তিনবার আম পাওয়া যায়। কাটিমন আম বারোমাসি জাতের বছরে তিনবার ফল হয়। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। ফল লম্বাটে এবং প্রতিটি আমের গড় ওজন ২-৩শ’ গ্রামের হয়ে থাকে।

কাঁচা অবস্থায় হালকা সবুজ এবং পাকলে হলুদে সবুজ রঙ হয়। দেশে এখন অন্তত বারোমাসি সাতটি জাতের আম চাষ হচ্ছে। যেগুলোকে অসময়ের আম বলা হয়। কাটিমন ছাড়া বাকি জাতগুলো হলো-বারি-১১, কিং অব চাকাপাত, কিউজাই, ব্যানানা ম্যাঙ্গো, তাইওয়ান গ্রিণ, মিয়াজাকি অর্থাৎ সূর্যডিম। এসব আমের যেমন বাহারি নাম, দেখতেও তেমন নজরকাড়া। বারি-১১ ও কাটিমন আমের জাত আবার বারোমাসি। অসময়ের আমের মধ্যে এখন দুটি জাতের চাষ বেশি হচ্ছে। থাই কাটিমন ও বারি-১১। বারি আম ১১ বারোমাসি জাতের আম সারা বছরই ফল হয়। গাছের উচ্চতা ৬-৭ ফুট। কোনো অংশে মুকুল, কিছু অংশে আমের গুটি, কিছু অংশে কাঁচা আম, আবার কোথাও পাঁকা। একই গাছেই ফুটে উঠেছে আমের ‘জীবনচক্র’। খেতে সুস্বাদু, তবে একটু আঁশ আছে। ফলের শাঁস গাঢ় হলুদ বর্ণের। এই জাতের ৪-৫ বছর বয়সী গাছ থেকে প্রতিবার ৬০-৭০টি আম আহরণ করা যায়। একটি গাছে বছরে প্রায় ৫০ কেজি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে। বারি আম ১১ এক বছর বয়সী গাছে আমের মুকুল আসে। একটি থোকায় ৫-৬টি আম ধরে। আমের উচ্চফলনশীল এই জাতটি বাংলাদেশের সব এলাকায় চাষ উপযোগী।

আমের আকার ও রঙ হয় বেশ আকর্ষণীয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় বারোমাসি আমের কোনো বাগান গড়ে উঠেনি। তবে বিভিন্ন গ্রামে অল্প সংখ্যক গাছ লাগানো হয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে নার্সারীর মালিক আক্তারুল দো-ফসলি আমের আবাদ করে এলাকায় সাড়া ফেলেন। রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল ২০২০ সালে বারোমাসি আমের চারা রোপণ করেন। রোপণের পরের বছরেই ফল ধরে। এ বছর তার আম বাগান থেকে প্রায় ১০ মন আম বিক্রি করেছেন। তার নার্সারীতে প্রায় ২ হাজার বারোমাসি আমের ছোট চারা রয়েছে। সততা নার্সারীর মালিক অশোক পালের নার্সারীতে বারোমাসি কাটিমন জাতের আমের ফলন ভালো হয়েছে। একটি গাছে প্রায় ২০টি করে আম ধরেছে। তার নার্সারীতে প্রায় দুই শতাধিত বারোমাসি আমের চারা রয়েছে। বারি আম-১১ বা বারোমাসি আমের জাতটি এখন বাংলাদেশের সব উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রে ও নার্সারীতে চাষ হচ্ছে। আমের এই জাতটি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকল আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজ করে যাচ্ছে। যার উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখছে নার্সারী মালিকরা।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব