১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

সড়কে ১০ ফিট উপরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ন বিদ্যুৎ লাইন

নওগাঁ-রাণীনগর- আবাদপুকুর উচ্চ ক্ষমতাসম্পুর্ন বিদ্যুৎ লাইনের নীচ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সড়ক ও ব্রীজ। এতে নির্মিত সড়ক ও ব্রীজের উপরিভাগ থেকে বিদ্যুৎলাইন রয়েছে মাত্র ৮ থেকে ১০ ফিট উপর দিয়ে। ফলে বয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইন অপসারণ না করায় যান চলাচল শুরু হলেই যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন পথচারীরা।

নওগাঁ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর রানীনগর জোনান অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা বিদ্যুতের উপ-কেন্দ্র থেকে আবাদপুকুর পর্যন্ত নির্মিত ১১ হাজার কিলো ভোল্ট এ্যাম্পিয়ার লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে গত ২০১৮সালে নওগাঁ বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র (কাঠালতলী ) জাতীয় গ্রিড থেকে ৩৩ হাজার কিলো ভোল্ট এ্যাম্পিয়ার উচ্চ ক্ষমতা সম্পুর্ণ বিদ্যুৎ লাইন রাণীনগর হয়ে আবাদপুকুর পর্যন্ত নির্মাণ বরা হয়েছে।

এর পর আবাদপুকুর এলাকায় আরো একটি উপ-কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে গত ২০১৮ সালে রানীনগর-আবাদপুকুর- কালীগঞ্জ সড়ক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় টেকসই, মজবুত ও প্রশ্বস্ত পাকা করণের জন্য টেন্ডার দেয়া হয় ২০২০ সালের শেষের দিকে সড়কের সিম্বা সোনাকানিয়া নামকস্থানে গোরস্থানের উত্তর দিকে ব্রীজ ও সড়ক থেকে বর্ধিত করে আরো উত্তর দিকে বয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইনের নীচ দিয়ে ব্রীজ ও পাশ্ব সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এতে নির্মিত ব্রীজ ও সড়ক উঁচু হওয়ায় ব্রীজের একপাশ জুরে উপরিভাগ থেকে মাত্র ৮ থেকে ১০ ফিট উপরে রয়েছে ৩৩ হাজার কিলো ভোল্ট এ্যাম্পিয়ার উচ্চ ক্ষমতা সম্পুর্ণ বিদ্যুৎ লাইন।

এছাড়া নির্মিত সড়কে প্রায় মাঝ বরাবর মেইন লাইনের একটি খুঁটি রেখেই মাটি ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর সড়ক পাকা করণের কাজ বন্ধ থাকলেও নতুন করে টেন্ডারের মাধ্যমে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। যা আগামী বছরের ৯ এপ্রিলের মধ্যেই শেষ করার কথা রয়েছে। ফলে সড়ক চালু হলে বাস,মালবাহী ট্রাক কিংবা উচ্চ সম্পূর্ন যানবাহন বিদ্যুতের নীচ দিয়ে চলাচল করতে তারের সাথে সংঘর্ষে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। তাই দ্রুত বিদ্যুৎ লাইন অপসারনের দাবী জানিয়েছেন পথচারীরা।

ট্রাক চালক শরিফুল ও মিনার বলেন, ব্রীজের উত্তর পাশে অধিকাংশ জায়গা জুরে উপর দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। ব্রীজের উপরিভাগ থেকে বিদ্যুতের তারের দূরত্ব ৮ থেকে ১০ ফিটের মতো। ফলে বাস ও বালবাহী ট্রাক ওই ব্রীজ অতিক্রম করতে দক্ষিন পাশ দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া উত্তর পাশ দিয়ে গাড়ী পার হতে পারবেনা। তাই সড়কের কাজ শেষ হবার আগেই বিদ্যুতের লাইন অপসারন করার দাবী জানিয়েছেন তারা। রাণীনগর পল্লীবিদ্যুৎ জোনান অফিসের ডেপুটি জেলারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আকিয়াব হোসেন বলেন, ব্রীজের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইন অপসারণের জন্য ইতিমধ্যেই জেলা বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

সড়কে ১০ ফিট উপরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ন বিদ্যুৎ লাইন

প্রকাশিত : ০১:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

নওগাঁ-রাণীনগর- আবাদপুকুর উচ্চ ক্ষমতাসম্পুর্ন বিদ্যুৎ লাইনের নীচ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সড়ক ও ব্রীজ। এতে নির্মিত সড়ক ও ব্রীজের উপরিভাগ থেকে বিদ্যুৎলাইন রয়েছে মাত্র ৮ থেকে ১০ ফিট উপর দিয়ে। ফলে বয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইন অপসারণ না করায় যান চলাচল শুরু হলেই যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন পথচারীরা।

নওগাঁ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর রানীনগর জোনান অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা বিদ্যুতের উপ-কেন্দ্র থেকে আবাদপুকুর পর্যন্ত নির্মিত ১১ হাজার কিলো ভোল্ট এ্যাম্পিয়ার লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে গত ২০১৮সালে নওগাঁ বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র (কাঠালতলী ) জাতীয় গ্রিড থেকে ৩৩ হাজার কিলো ভোল্ট এ্যাম্পিয়ার উচ্চ ক্ষমতা সম্পুর্ণ বিদ্যুৎ লাইন রাণীনগর হয়ে আবাদপুকুর পর্যন্ত নির্মাণ বরা হয়েছে।

এর পর আবাদপুকুর এলাকায় আরো একটি উপ-কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে গত ২০১৮ সালে রানীনগর-আবাদপুকুর- কালীগঞ্জ সড়ক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় টেকসই, মজবুত ও প্রশ্বস্ত পাকা করণের জন্য টেন্ডার দেয়া হয় ২০২০ সালের শেষের দিকে সড়কের সিম্বা সোনাকানিয়া নামকস্থানে গোরস্থানের উত্তর দিকে ব্রীজ ও সড়ক থেকে বর্ধিত করে আরো উত্তর দিকে বয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইনের নীচ দিয়ে ব্রীজ ও পাশ্ব সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এতে নির্মিত ব্রীজ ও সড়ক উঁচু হওয়ায় ব্রীজের একপাশ জুরে উপরিভাগ থেকে মাত্র ৮ থেকে ১০ ফিট উপরে রয়েছে ৩৩ হাজার কিলো ভোল্ট এ্যাম্পিয়ার উচ্চ ক্ষমতা সম্পুর্ণ বিদ্যুৎ লাইন।

এছাড়া নির্মিত সড়কে প্রায় মাঝ বরাবর মেইন লাইনের একটি খুঁটি রেখেই মাটি ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর সড়ক পাকা করণের কাজ বন্ধ থাকলেও নতুন করে টেন্ডারের মাধ্যমে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। যা আগামী বছরের ৯ এপ্রিলের মধ্যেই শেষ করার কথা রয়েছে। ফলে সড়ক চালু হলে বাস,মালবাহী ট্রাক কিংবা উচ্চ সম্পূর্ন যানবাহন বিদ্যুতের নীচ দিয়ে চলাচল করতে তারের সাথে সংঘর্ষে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। তাই দ্রুত বিদ্যুৎ লাইন অপসারনের দাবী জানিয়েছেন পথচারীরা।

ট্রাক চালক শরিফুল ও মিনার বলেন, ব্রীজের উত্তর পাশে অধিকাংশ জায়গা জুরে উপর দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। ব্রীজের উপরিভাগ থেকে বিদ্যুতের তারের দূরত্ব ৮ থেকে ১০ ফিটের মতো। ফলে বাস ও বালবাহী ট্রাক ওই ব্রীজ অতিক্রম করতে দক্ষিন পাশ দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া উত্তর পাশ দিয়ে গাড়ী পার হতে পারবেনা। তাই সড়কের কাজ শেষ হবার আগেই বিদ্যুতের লাইন অপসারন করার দাবী জানিয়েছেন তারা। রাণীনগর পল্লীবিদ্যুৎ জোনান অফিসের ডেপুটি জেলারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আকিয়াব হোসেন বলেন, ব্রীজের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইন অপসারণের জন্য ইতিমধ্যেই জেলা বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব