শাকিব খান জানিয়েছেন, ‘একটা কথা নিশ্চিত করে বলতে চাই, অপু বিশ্বাস ও বুবলী দুজনেই এখন আমার কাছে অতীত। তাদের সঙ্গে কোনো অবস্থায় আমার সম্পর্ক জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। শাকিব আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্র অঙ্গনে আমার অগ্রজ একজন জনপ্রিয় নায়ক, আমার প্রথম সংসারের সময়ই বলেছিলেন, আমাদের দেশে এ অঙ্গনের দুজনের মধ্যে সংসার করাটা বেশ ডিফিকাল্ট। তারপরও একটা কথা বলতে চাই, মানুষ সম্পর্ক করে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে। সংসার ভাঙার জন্য কেউই সম্পর্ক করে না। আমিও তেমনটাই ভেবে করেছি। কিন্তু সম্পর্কটা করতে গিয়ে একটা সময় দেখলাম, তা আর হেলদি জায়গায় নেই। চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হলো। তারপর মনে হলো, আনহেলদি কোনো সম্পর্ক নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। এমনকি আমার মনে হয়, মা-বাবার আনহেলদি সম্পর্কের মাঝখানে সন্তান বেড়ে ওঠার চেয়ে আলাদা করে বেড়ে ওঠাটাই তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো।’
তিনি বললেন, ‘আব্রাম খান জয়ের বাবা যেমন আমি শাকিব খান, তেমনি মা হচ্ছেন অপু বিশ্বাস। বাবা হিসেবে সন্তানের সঙ্গে আমার দেখা হয়। জয় মাঝেমধ্যে আমার সঙ্গে থাকে। ওর দাদা-দাদির সঙ্গে থাকে। জয় যেহেতু ছোট, একা আসতে পারে না, তাই জয়কে আনার সুবাদে তার মা আসে। কিন্তু আমাদের মধ্যে সন্তানের বিষয়ের বাইরে আর কোনো কথা হয় না। জয়ের স্কুলেও যাওয়া হয় মাঝেমধ্যে, সেখানেও দেখা হয় আমাদের।’
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর জন্মদিন ছিল ২০ নভেম্বর। এদিনে ঢালিউডের এই তারকা ৩৪ বছরে পা রাখেন। বিশেষ দিনে তিনি সেরা উপহার পেয়েছেন স্বামী শাকিব খানের থেকে। সেটি ডায়মন্ডের নাকফুল। জন্মদিনের এক সপ্তাহ আগে এই উপহার দিয়েছেন ঢালিউড খান। একটি সংবাদমাধ্যমকে এমনটিই জানান বুবলী। বিষয়টি নি শুরু হয় অপু-বুবলীর জল ঘোলা।
বেশ কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, অতীতের ভুল বুঝতে পেরে অপু বিশ্বাস আবার শাকিব খানের জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। অপু তার একাধিক সহকর্মীকেও এমন ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। সন্তান জয়ের কারণে অপু বিশ্বাস যাওয়া-আসা করতেন শাকিব খানের গুলশানের বাসায়। এসব খবর পৌঁছায় বুবলীর কান পর্যন্তও। তিনিও অপুর আসা–যাওয়ার খবরটি ভালোভাবে নেননি। বিষয়গুলো নিয়ে একটা জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসব বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন শাকিব খান।