বাঁকখালি মোহনায় প্যারাবন ধ্বংস করে স্থাপনা, প্রশাসেন অভিযান

আরো খবর
বাঁকখালীতে নদীর প্যারাবন ধ্বংস দীর্ঘদিনের। নিষেধাজ্ঞা, অভিযানও ছিল প্রশাসনের। তারপরেও থেমে নেই প্যারাবন ধ্বংস করে বাঁকখালী দখল প্রক্রিয়া। এদিকে কস্তুরা ঘাট সংলগ্ন বাঁকখালি নদীর মোহনায় প্যারাবন ধ্বংসের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ ও আনসার ব্যাটালিয়ন বাহিনী। গত ২৩ জানুৃয়ারী ও ২৪ জানুয়ারি এই অভিযান চালিয়েছেন বলে প্রকাশ করেছেন কক্সবাজার ইউএনও’র পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, প্যারাবন সংলগ্ন বাঁকখালীর মোহনায় এক সময় কস্তুরা ঘাট নামে জেটি ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চরম অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থাকা কস্তুরা ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কালের পরিক্রমায় বাঁকখালী নদী যথাসময়ে ড্রেজিং না করা, প্রভাবশালীদের কু-নজরে পড়ে বাঁকখালী নদী দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকা এবং পরবর্তীতের বর্জ্যসহ দখলদারের নিয়মিত ভরাটের কারণে কালের স্মৃতি থেকে এই স্মৃতিময় কস্তুরাঘাট বিলীন হয়ে গেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন শহরের সচেতন মহল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কস্তুরাঘাট সংলগ্ন এলাকায় এক সময় ঘন প্যারাবন ছিল। কস্তুরাঘাট বন্ধ হয়ে গেলে জনবিচ্ছিন্ন এলাকাটি দখরবাজদের নজরে পড়ে। এরপর থেকে ধাপে ধাপে দখল প্রক্রিয়া চলতে থাকে। যা এখন প্যারাবন শূন্য বললেই চলে। ওই এলাকায় সম্প্রতি পুলিশ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ ও আনসার ব্যাটালিয়ন বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালিয়েছেন কক্সবাজার ইউএনও।
কক্সবাজার সদর ইউএনও জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করা হয়েছে। প্যারাবন সংক্রান্ত দফতর বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে আমরা কথা বলেছি। এবিষয়ে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।