০৬:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারের সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে নিহত ১৯

মিয়ানমারের সেনা ও সশস্ত্র জাতিগত বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। শনিবার প্রত্যন্ত শান রাজ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। দেশটির সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্রগুলো একথা জানিয়েছে।

সামরিক সূত্র জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছে, চীন সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংঘাত সংঘর্ষ বেড়ে গেছে। অপরদিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর রয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে রাষ্ট্রীয় পরিচয়হীন সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নিধনের অভিযোগ উঠেছে।

সেনা ও তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মধ্যে শনিবার সংঘর্ষটি ঘটে। মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে অধিকতর স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে যে কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে এটি তার অন্যতম।

টিএনএলএ’র মুখপাত্র মেজর মাই আইক কিয়াউ বলেন, আজ ভোর ৫টা থেকে লড়াই শুরু হয়েছে। মুসের দুটি সামরিক ঘাঁটি ও সাশিও শহরে যাওয়ার একটি সেতুর কাছে লড়াই হচ্ছে।

২০১১ সালে মিয়ানমারের কাচিন ও শান প্রদেশে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যকার যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে সংঘাতের মুখে অভ্যন্তরীণভাবে গৃহহারা হয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি মানুষ। সহিসংতা থেকে পালিয়ে যাওয়া এসব মানুষদের বেশির ভাগই খ্রিস্টান ধর্মালম্বী। তারা কাচিন প্রদেশের বিভিন্ন গির্জায় আশ্রয় নিয়েছেন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সেনাবাহিনী এসব মানুষের ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। সূত্র: এএফপি

ট্যাগ :

রামগঞ্জে হতদরিদ্র হৃদয়ের স্বপ্ন পুরন করবে স্মার্ট জহির

মিয়ানমারের সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে নিহত ১৯

প্রকাশিত : ০৩:১৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মে ২০১৮

মিয়ানমারের সেনা ও সশস্ত্র জাতিগত বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। শনিবার প্রত্যন্ত শান রাজ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। দেশটির সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্রগুলো একথা জানিয়েছে।

সামরিক সূত্র জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছে, চীন সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংঘাত সংঘর্ষ বেড়ে গেছে। অপরদিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর রয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে রাষ্ট্রীয় পরিচয়হীন সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নিধনের অভিযোগ উঠেছে।

সেনা ও তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মধ্যে শনিবার সংঘর্ষটি ঘটে। মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে অধিকতর স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে যে কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে এটি তার অন্যতম।

টিএনএলএ’র মুখপাত্র মেজর মাই আইক কিয়াউ বলেন, আজ ভোর ৫টা থেকে লড়াই শুরু হয়েছে। মুসের দুটি সামরিক ঘাঁটি ও সাশিও শহরে যাওয়ার একটি সেতুর কাছে লড়াই হচ্ছে।

২০১১ সালে মিয়ানমারের কাচিন ও শান প্রদেশে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যকার যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে সংঘাতের মুখে অভ্যন্তরীণভাবে গৃহহারা হয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি মানুষ। সহিসংতা থেকে পালিয়ে যাওয়া এসব মানুষদের বেশির ভাগই খ্রিস্টান ধর্মালম্বী। তারা কাচিন প্রদেশের বিভিন্ন গির্জায় আশ্রয় নিয়েছেন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সেনাবাহিনী এসব মানুষের ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। সূত্র: এএফপি