বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস এসোসিয়েশন (বাপা) ও রেইনবো এক্সিবিশন এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেসের (রিমস) উদ্যোগে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘৯ম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৩, যা চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই এক্সপোতে অংশ নেবে ২০টি দেশ।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পল্টনে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। তিনদিন ব্যাপী মেলা উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
প্রতিদিন সকাল ১০টায় মেলা শুরু হবে। চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। মেলায় প্রদর্শনী ছাড়াও কারিগরি সেশনে দেশ-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, নেদারল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, কানাডা, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কাসহ প্রায় ২০টির মতো দেশ থেকে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য এবং সেবা প্রদর্শন করবেন।
মেলার সঙ্গে ‘১১তম এগ্রো বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৩’ এবং ‘ফুড ইনগ্রেডিয়েন্ট এক্সপো ২০২৩’ নামে আরও দুটি মেলা হবে। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে মেলা কমিটির চেয়ারপারসন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাত অত্যন্ত ভালো করছে। এই খাত দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে যেমন কাজ করছে, তেমনি বিদেশে পণ্য রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাত আমাদের সক্ষমতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. ইকতাদুল হক বলেন, বাপা জন্মলগ্ন থেকেই ফুড প্রসেসিং খাতের উন্নয়নের স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাপার মূল লক্ষ্যই হলো এই খাতের ক্রমবর্ধমান বিকাশ নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া। বিশ্বায়নের যুগে আসা প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা ছাড়া যেকোনো খাতে উন্নয়নের পথ রুদ্ধ। তাই বাংলাদেশ যাতে কোনোভাবেই এই খাতে পিছিয়ে না যায়, সে ব্যাপারে বাপা সদা সচেষ্ট। ফুড প্রসেসিং খাত এবং এর সঙ্গে জড়িত সকল প্রতিষ্ঠানের বিকাশ এবং সার্বিক সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনেতিক উন্নয়ন আরও বেগবান করতে বাপা কাজ করে যাচ্ছে।
বাপার সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতের বিকাশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত এবং রফতানি করার লক্ষ্যে বাপা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাপার সদস্য সংখ্যা ৪৭৯, যারা বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশে রফতানি করছে। দেশের জিডিপি’তে কৃষিখাতের অবদান ২২ শতাংশ এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খাতের অবদান ২ শতাংশ।
২০২৫ সালের মধ্যে এই রফতানির পরিমাণ ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে বাপা আশাবাদ ব্যাক্ত করেছে। খাদ্যের গুনগত এবং পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কাজেই বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে এই ধরনের মেলা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে বাপা আশাবাদী। এছাড়াও দেশের আভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারণ এবং দেশীয় জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণে বাপার ভূমিকা লক্ষ্যনীয়।
রেইনবো এক্সিবিশন এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চানমোহন সাহা বলেন, ইতিপূর্বে ৮ম বার অনুষ্ঠিত এই মেলার আশাতীত সাফল্য, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ এবং দর্শনার্থীদের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ায় আমরা এবারের মেলার সাফল্য নিয়েও অত্যন্ত আশাবাদী।
সংবাদ সম্মেলনে বাপা’র কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল মাজেদ, সদস্য নাজমুল হক, সাবেক সহ-সভাপতি শোয়েব হাসানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/এনআই