কাশবনে কিছুক্ষণ। শরতে এখন কাশফুল ফোটে। মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটছি তো ছুটছিই। বাঁপাশে তাকাতেই দেখলাম সারি সারি কাশফুল নদীর বাতাসে দুলছে ঢেউয়ের মতো করে। এই দৃশ্য দেখে নিজেকে আর ধরে রাখা যায়।
শরৎকাল চলে এলেও বর্ষার ভাবধারা পুরোপুরি চলে যাইনি। অথচ নদীর বুকে ছোট-বড় চর দেখে মনটি বিষণ্ন হয়ে গেল।
কাশফুল দেখে মন আনন্দে ভরে গেল।
বর্ষার শেষেই শুরু হয় শরতের রাজত্বকাল। শরৎ ঘিরে রয়েছে কাশফুলের চমৎকার মিতালী। রোমাঞ্চে ভরা কাশফুলের নরম শুভ্রতা নিয়ে বরেণ্য কবিদের অসংখ্য কবিতা লেখা রয়েছে। শরৎ মানেই নিল আকাশের নিচে ডানা মেলা পরীর মতো সাদা সাদা কাশফুল। আবহমানকাল থেকে শরৎে জেগে উঠা কাশফুল এখন অনেক নদীতীর কিংবা উঁচু জায়গায় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। ভেড়ামারা উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর পাড়ে জেগে উঠা চরে সারিবদ্ধ কাশফুলের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। নদীর তীর ঘেঁষে জেগে উঠা বালুচরে দেখা মিলে কিছু সাদা কাশফুলের অভয়ারণ্য। যদিও লোকচক্ষুর আড়ালে হওয়ায় এখানকার কাশবন নিয়ে মাতামাতি খুব একটা নেই। সাধারণত নদীর তীর কিংবা গ্রামের উঁচু জায়গায় কাশবনের দেখা মেলে বেশি। তবে নদীর তীরেই কাশফুল বেশি জন্মাতে দেখা যায়।