১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

যে শঙ্কার কথা জানালেন রেহমান সোবহান

রিজার্ভ আরও কমে গেলে বাংলাদেশের জন্য বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ‍্যাপক রেহমান সোবহান।
আজ সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান।

সিপিডি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৪৫ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে কমে দাঁড়ায় ২৪ বিলিয়ন ডলারে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সেটা আছে ১৮ বিলিয়ন ডলারে। রিজার্ভ যদি ১০ বিলিয়ন ডলারও হয়, তবে নীতি-নির্ধারকদের রিজার্ভ বাঁচাতে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকলে একসময় যদি তা ১০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে, সেই সময় এমন হতে পারে যে আইএমএফের সহায়তা পাওয়া যাবে না।

বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভালো উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আমাদের বড় একটি রপ্তানি খাত আছে। সেই সঙ্গে আছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়, যা শ্রীলঙ্কার চেয়ে অনেক বেশি।’

রেহমান সোবহান বলেন, প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে। তার মানে এই নয় যে দেশে প্রবাসী আয় আসা বাস্তবে কমে গেছে; আনুষ্ঠানিক পথে না এসে অনানুষ্ঠানিক পথে আসছে প্রবাসী আয়, যার মূল মাধ্যম হুন্ডি। অর্থাৎ রিজার্ভ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা না হয়ে হুন্ডিতে জমা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের বাইরে জমা হচ্ছে। যারা বিদেশে অর্থ পাচার করেন, তাদের জন্য এটা সুবিধাজনক হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/bh

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ‍দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

যে শঙ্কার কথা জানালেন রেহমান সোবহান

প্রকাশিত : ০৫:১৫:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

রিজার্ভ আরও কমে গেলে বাংলাদেশের জন্য বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ‍্যাপক রেহমান সোবহান।
আজ সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান।

সিপিডি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৪৫ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে কমে দাঁড়ায় ২৪ বিলিয়ন ডলারে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সেটা আছে ১৮ বিলিয়ন ডলারে। রিজার্ভ যদি ১০ বিলিয়ন ডলারও হয়, তবে নীতি-নির্ধারকদের রিজার্ভ বাঁচাতে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকলে একসময় যদি তা ১০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে, সেই সময় এমন হতে পারে যে আইএমএফের সহায়তা পাওয়া যাবে না।

বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভালো উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আমাদের বড় একটি রপ্তানি খাত আছে। সেই সঙ্গে আছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়, যা শ্রীলঙ্কার চেয়ে অনেক বেশি।’

রেহমান সোবহান বলেন, প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে। তার মানে এই নয় যে দেশে প্রবাসী আয় আসা বাস্তবে কমে গেছে; আনুষ্ঠানিক পথে না এসে অনানুষ্ঠানিক পথে আসছে প্রবাসী আয়, যার মূল মাধ্যম হুন্ডি। অর্থাৎ রিজার্ভ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা না হয়ে হুন্ডিতে জমা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের বাইরে জমা হচ্ছে। যারা বিদেশে অর্থ পাচার করেন, তাদের জন্য এটা সুবিধাজনক হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/bh