০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

বিশ্বকাপ পারফরমেন্সে মুগ্ধ হয়ে ট্রাভিস হেডকে ভার্চুয়ালি বিয়ে করলেন কলকাতার তরুণী

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সেমিফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচ জিতে কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছিল স্বাগতিক দেশ ইন্ডিয়া। কিন্তু ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কার্যত দাঁড়াতেই পারেনি কোহলিরা। মূলত ভারতের জয়ের ক্ষেত্রে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অসি তারকা ট্রাভিস মাইকেল হেড। মূলত তার কারণেই তীরে এসে তরী ডোবে ভারতের। স্বপ্নভঙ্গ হয় ১৪০ কোটি ভারতীয়ের। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই প্রথিতযশা ক্রিকেটার অনেক ভারতীয়ের হৃদয় ভঙ্গ করলেও জিতে নিয়েছেন এক ভারতীয় তরুণীর মন।

ট্রাভিসের পারফরম্যান্স এতটাই ভালো লেগেছে যে, তার প্রেমে পড়ে গেছেন কলকাতা শহরের বিখ্যাত মডেল হেমশ্রী ভদ্র। ট্রাভিসের ছবি সামনে রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার অনুসারীদের সামনেই সিঁদুর পরে তাকে ভার্চুয়ালি বিয়ে করেন তিনি। এ সময় তার পাশে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা কেউ শঙ্খ বাজান, কেউ উলু ধ্বনি দেন।

তবে এটা নিয়ে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দেশদ্রোহী তকমা দিয়ে মডেলকে প্রাণঘাতী হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন হেমশ্রী।
এ নিয়ে মঙ্গলবার তিনি বলেন, বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরমেন্সের পর ট্রাভিস তার মন জয় করে নিয়েছে। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরেই টিভির সামনে থেকে উঠে গিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে তাই ট্রাভিসকে ভার্চুয়ালি বিয়ে করে ফেলি। সেই ভিডিও পোস্ট করতেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমার খুব খারাপ লাগলো এটা দেখে যে আমাকে একের পর এক নেটিজেনদের অশ্লীল মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমনকি প্রাণঘাতী হুমকিও আসছে। কিন্তু বিশ্বকাপ সত্যিই কি এক লড়াই? হেমশ্রী বলেন, ছোটবেলায় বইয়ের পাতায় পড়েছিলাম বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়ানোর জন্যই নাকি এই ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। তবে এখন মানুষ কেন এত প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠলো? একটি খেলাতে হেরে যাওয়া নিয়ে এতো আক্ষেপ এবং একটি সাধারণ ঘটনাকে নিয়ে এত বাড়াবাড়ি!

হেমশ্রী বলেন, যদি অস্ট্রেলিয়ার একজন ক্রিকেটারকে সমর্থন করলেই দেশদ্রোহী হয়ে যেতে হয়, তাহলে তো খুব অদ্ভূত সময়ে আমি বাস করছি বলতে হবে। লাখ লাখ লোক আমায় ভিডিওটি সরিয়ে নিতে বললেও আমি মোটেই ভিডিওটি সরাব না। বরং হয়তো আমি আরও এ রকম ভিডিও বানাব।

তিনি জানান, ইন্সটাগ্রামে ট্রাভিসের অনুসারী ২.২ লাখের মতো আর তার ৭.২ লাখ। তিনি ট্রাভিসকে ট্যাগ করেই ভিডিও আপলোড করেছেন। তার খারাপ লাগলে ট্যাগ রিমুভ করে দিতেন। অথবা তাকে সরাসরি জানাতেন। কিন্তু তাতো করেননি ট্রাভিস। যত সমস্যা হচ্ছে কিছু দর্শকের!

এই তরুণী বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কোনো মানুষকে ভালো লাগতেই পারে এবং তাকে নিয়ে আমি একটি ছোট ভিডিও বানিয়েছি। কিন্তু এই ঘটনায় আমি শঙ্কিত। নীতি পুলিশের নামে যা চলছে তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/bh

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

বিশ্বকাপ পারফরমেন্সে মুগ্ধ হয়ে ট্রাভিস হেডকে ভার্চুয়ালি বিয়ে করলেন কলকাতার তরুণী

প্রকাশিত : ০৬:৫২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সেমিফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচ জিতে কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছিল স্বাগতিক দেশ ইন্ডিয়া। কিন্তু ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কার্যত দাঁড়াতেই পারেনি কোহলিরা। মূলত ভারতের জয়ের ক্ষেত্রে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অসি তারকা ট্রাভিস মাইকেল হেড। মূলত তার কারণেই তীরে এসে তরী ডোবে ভারতের। স্বপ্নভঙ্গ হয় ১৪০ কোটি ভারতীয়ের। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই প্রথিতযশা ক্রিকেটার অনেক ভারতীয়ের হৃদয় ভঙ্গ করলেও জিতে নিয়েছেন এক ভারতীয় তরুণীর মন।

ট্রাভিসের পারফরম্যান্স এতটাই ভালো লেগেছে যে, তার প্রেমে পড়ে গেছেন কলকাতা শহরের বিখ্যাত মডেল হেমশ্রী ভদ্র। ট্রাভিসের ছবি সামনে রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার অনুসারীদের সামনেই সিঁদুর পরে তাকে ভার্চুয়ালি বিয়ে করেন তিনি। এ সময় তার পাশে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা কেউ শঙ্খ বাজান, কেউ উলু ধ্বনি দেন।

তবে এটা নিয়ে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দেশদ্রোহী তকমা দিয়ে মডেলকে প্রাণঘাতী হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন হেমশ্রী।
এ নিয়ে মঙ্গলবার তিনি বলেন, বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরমেন্সের পর ট্রাভিস তার মন জয় করে নিয়েছে। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরেই টিভির সামনে থেকে উঠে গিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে তাই ট্রাভিসকে ভার্চুয়ালি বিয়ে করে ফেলি। সেই ভিডিও পোস্ট করতেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমার খুব খারাপ লাগলো এটা দেখে যে আমাকে একের পর এক নেটিজেনদের অশ্লীল মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমনকি প্রাণঘাতী হুমকিও আসছে। কিন্তু বিশ্বকাপ সত্যিই কি এক লড়াই? হেমশ্রী বলেন, ছোটবেলায় বইয়ের পাতায় পড়েছিলাম বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়ানোর জন্যই নাকি এই ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। তবে এখন মানুষ কেন এত প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠলো? একটি খেলাতে হেরে যাওয়া নিয়ে এতো আক্ষেপ এবং একটি সাধারণ ঘটনাকে নিয়ে এত বাড়াবাড়ি!

হেমশ্রী বলেন, যদি অস্ট্রেলিয়ার একজন ক্রিকেটারকে সমর্থন করলেই দেশদ্রোহী হয়ে যেতে হয়, তাহলে তো খুব অদ্ভূত সময়ে আমি বাস করছি বলতে হবে। লাখ লাখ লোক আমায় ভিডিওটি সরিয়ে নিতে বললেও আমি মোটেই ভিডিওটি সরাব না। বরং হয়তো আমি আরও এ রকম ভিডিও বানাব।

তিনি জানান, ইন্সটাগ্রামে ট্রাভিসের অনুসারী ২.২ লাখের মতো আর তার ৭.২ লাখ। তিনি ট্রাভিসকে ট্যাগ করেই ভিডিও আপলোড করেছেন। তার খারাপ লাগলে ট্যাগ রিমুভ করে দিতেন। অথবা তাকে সরাসরি জানাতেন। কিন্তু তাতো করেননি ট্রাভিস। যত সমস্যা হচ্ছে কিছু দর্শকের!

এই তরুণী বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কোনো মানুষকে ভালো লাগতেই পারে এবং তাকে নিয়ে আমি একটি ছোট ভিডিও বানিয়েছি। কিন্তু এই ঘটনায় আমি শঙ্কিত। নীতি পুলিশের নামে যা চলছে তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/bh