০৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

ঢাকার সড়কে নেই অবরোধের প্রভাব, যান চলাচল স্বাভাবিক

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টায় শুরু হয় সপ্তম দফার এ অবরোধ। চলবে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কম হলেও অধিকাংশ গণপরিবহন চলাচল করছে সড়কে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। সীমিত সংখ্যক হলেও এই দুই রুটে চলছে বাস। অন্য সময়ের মতো স্বাভাবিক না হলেও কিছু সময় পর পর বিভিন্ন জেলার বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শনিরআখড়া, কাজলা, যাত্রাবাড়ী ধোলাইপাড়, গুলিস্তান ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

সকাল থেকেই সাইনবোর্ড থেকে আগত লোকাল বাসগুলোতে যাত্রীভর্তি। একই অবস্থা দেখা গেছে, মৌমিতা, রাজধানী পরিবহনসহ অন্য বাসের ক্ষেত্রেও। সকাল থেকেই গণপরিবহনের সংখ্যা বেশি থাকায় অফিসগামী মানুষদের দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়নি।

রাজধানী পরিবহনের চালকের সহকারী (হেলপার) সুমন বলেন, ‘সকালে বের হইয়া এইডা প্রথম ট্রিপ। যাত্রীও পাইতাছি ভালোই। তয় সমস্যা হইলো গুলিস্তানের পর যাত্রী পাওন যায় না। ডরে মনে ওয় মানুষ বাসে উডতে চায় না।’

কাকরাইলগামী সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রথম দিকের অবরোধে তেমন গাড়ি থাকতো না। এখন তো গাড়ি চলাচল স্বাভাবিকই অনেকটা। বরং অবরোধে যানজট কম থাকে, চলাচল করতে ভালো লাগে। গাড়িও পাচ্ছি রাস্তায় এসে দাঁড়ালেই। ফলে এখন আর তেমন সমস্যা নেই।’

শ্যামলীগামী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শায়লা আক্তার বলেন, ‘রাস্তায় বের হলেই ঝুঁকি। তারপরও কাজের জন্য বের হতে হয়। গাড়ি পাচ্ছি এখন ঠিকভাবেই। কিন্তু বাসে উঠলে সারাক্ষণ ভয় কাজ করে, কখন কী হয়?’

শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের হেলপার মজনু মিয়া বলেন, ‘সকাল থেকে এটাই প্রথম ট্রিপ। কিন্তু যাত্রী তেমন নেই। অবরোধে আমরা গাড়ি বের করলেও ভয়ে যাত্রী বের হয় না। যাত্রী না থাকলে তো আমাদের গাড়ি চালানো লোকসান।’

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

দুই মাসে পিয়াজের দাম বেড়েছে ৮০  শতাংশ , আলু ৫৫ শতাংশ

ঢাকার সড়কে নেই অবরোধের প্রভাব, যান চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত : ১০:৩৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টায় শুরু হয় সপ্তম দফার এ অবরোধ। চলবে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কম হলেও অধিকাংশ গণপরিবহন চলাচল করছে সড়কে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। সীমিত সংখ্যক হলেও এই দুই রুটে চলছে বাস। অন্য সময়ের মতো স্বাভাবিক না হলেও কিছু সময় পর পর বিভিন্ন জেলার বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শনিরআখড়া, কাজলা, যাত্রাবাড়ী ধোলাইপাড়, গুলিস্তান ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

সকাল থেকেই সাইনবোর্ড থেকে আগত লোকাল বাসগুলোতে যাত্রীভর্তি। একই অবস্থা দেখা গেছে, মৌমিতা, রাজধানী পরিবহনসহ অন্য বাসের ক্ষেত্রেও। সকাল থেকেই গণপরিবহনের সংখ্যা বেশি থাকায় অফিসগামী মানুষদের দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়নি।

রাজধানী পরিবহনের চালকের সহকারী (হেলপার) সুমন বলেন, ‘সকালে বের হইয়া এইডা প্রথম ট্রিপ। যাত্রীও পাইতাছি ভালোই। তয় সমস্যা হইলো গুলিস্তানের পর যাত্রী পাওন যায় না। ডরে মনে ওয় মানুষ বাসে উডতে চায় না।’

কাকরাইলগামী সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রথম দিকের অবরোধে তেমন গাড়ি থাকতো না। এখন তো গাড়ি চলাচল স্বাভাবিকই অনেকটা। বরং অবরোধে যানজট কম থাকে, চলাচল করতে ভালো লাগে। গাড়িও পাচ্ছি রাস্তায় এসে দাঁড়ালেই। ফলে এখন আর তেমন সমস্যা নেই।’

শ্যামলীগামী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শায়লা আক্তার বলেন, ‘রাস্তায় বের হলেই ঝুঁকি। তারপরও কাজের জন্য বের হতে হয়। গাড়ি পাচ্ছি এখন ঠিকভাবেই। কিন্তু বাসে উঠলে সারাক্ষণ ভয় কাজ করে, কখন কী হয়?’

শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের হেলপার মজনু মিয়া বলেন, ‘সকাল থেকে এটাই প্রথম ট্রিপ। কিন্তু যাত্রী তেমন নেই। অবরোধে আমরা গাড়ি বের করলেও ভয়ে যাত্রী বের হয় না। যাত্রী না থাকলে তো আমাদের গাড়ি চালানো লোকসান।’

বিজনেস বাংলাদেশ/একে