০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নবীনগরে অটোচালক আরাফাত হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নিহত অটোচালক আরাফাত (১৬) হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরিবার ও গ্রামবাসী।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নবীনগর প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, নিহতের বাবা এন্তাজ মিয়া, মা লাইলী আক্তার, সলিমগঞ্জ আব্দুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু মুসা, আব্দুল আজিজ প্রমূখ।
নিহতের বাবা এন্তাজ মিয়া জানান, আমার দুটি যমজ ছেলে। এক ছেলে বিদেশে, সেও গত কয়েকদিন আগে বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করেন। আমার এই ছেলের আর বিদেশ যাওয়া হলো না, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি এ হত্যার বিচার চাই, এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ বিচার যেন হয়।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, এঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজন কে আটক করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত আরো খুনিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার
রাত ৯টার দিকে বড়িকান্দি গনিশাহ্ মাজার থেকে দুজন ছিনতাইকারী যাত্রীবেশে অটোরিকশায় উঠে তাদের মাঝিয়ারা জীবনগঞ্জ বাজারে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে। জীবনগঞ্জ বাজারে যাওয়ার পর ছিনতাইকারীরা চালককে অনুরোধ করে তাদের রতনপুর গ্রামে নিয়ে যেতে। চালক তাদের কথায় রাজি হয়ে খাগাতুয়া গ্রামে নিয়ে গেলে যাত্রী আসনে থাকা ছিনতাইকারী অটোরিকশা চালক আরাফাতের পেটে ছুরি মেরে অটোরিকশা ও তার কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় আরাফাতকে সলিমগঞ্জ অলিউর রহমান জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

নবীনগরে অটোচালক আরাফাত হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত : ০৫:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নিহত অটোচালক আরাফাত (১৬) হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরিবার ও গ্রামবাসী।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নবীনগর প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, নিহতের বাবা এন্তাজ মিয়া, মা লাইলী আক্তার, সলিমগঞ্জ আব্দুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু মুসা, আব্দুল আজিজ প্রমূখ।
নিহতের বাবা এন্তাজ মিয়া জানান, আমার দুটি যমজ ছেলে। এক ছেলে বিদেশে, সেও গত কয়েকদিন আগে বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করেন। আমার এই ছেলের আর বিদেশ যাওয়া হলো না, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি এ হত্যার বিচার চাই, এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ বিচার যেন হয়।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, এঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজন কে আটক করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত আরো খুনিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার
রাত ৯টার দিকে বড়িকান্দি গনিশাহ্ মাজার থেকে দুজন ছিনতাইকারী যাত্রীবেশে অটোরিকশায় উঠে তাদের মাঝিয়ারা জীবনগঞ্জ বাজারে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে। জীবনগঞ্জ বাজারে যাওয়ার পর ছিনতাইকারীরা চালককে অনুরোধ করে তাদের রতনপুর গ্রামে নিয়ে যেতে। চালক তাদের কথায় রাজি হয়ে খাগাতুয়া গ্রামে নিয়ে গেলে যাত্রী আসনে থাকা ছিনতাইকারী অটোরিকশা চালক আরাফাতের পেটে ছুরি মেরে অটোরিকশা ও তার কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় আরাফাতকে সলিমগঞ্জ অলিউর রহমান জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ