০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে চবিতে মানববন্ধন

সর্বশেষ এনটিআরসিএ কর্তৃক ঘোষিত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে আরবি প্রভাষক ও সহকারী মৌলভী পদ থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদ ও বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বেলা ১১ টার সময় শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন ।

এ সময়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আ.ন. ম. আব্দুল মাবুদ বলেন, আজ আমার বিভাগের শিক্ষার্থীদের দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তাদের একজন অভিভাবক হিসেবে মানববন্ধনে পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা কুরআন, হাদিস, আরবি ফিকহ সহ সকল বিষয়ে অধ্যায়ন করে যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠে। সুতরাং তাদেরকে বঞ্চিত করা কোনভাবে কাম্য নয়। আমরা এনটিআরসি কর্তৃক ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে দ্রুত সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুরোধ করছি। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।

বিভাগটির শিক্ষার্থী ও এ্যালামনায় এসোসিয়েশনের সদস্য আবু সালতান বলেন, বিগত ১ম হতে ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষা পর্যন্ত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি ও আরবী প্রভাষক পদে আবেদন করতে পারতেন। কিন্তু ১৮ সালের সংশোধিত নীতিমালায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ আরবি প্রভাষক পদটিতে পাঠদানের ৯৯% বিষয়বস্তুই ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এই নীতিমালা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

উল্লেখ্য, মাদরাসার আরবি প্রভাষক পদটি নামে আরবি হলেও এই পদটির কাজ শুধু আরবি ভাষা ও সাহিত্য পড়ানো নয়। বরং এই পদের মূল পাঠদানের বিষয়গুলো হচ্ছে কোরআন, হাদীস,তাফসীর, উলূমুল হাদীস, ফিকহ, উসূলুল ফিকহ, দাওয়াহ, আকাইদ প্রভৃতি। যে বিষয়গুলো মূলত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে পড়ানো হয়। তাই স্বাধীনতার পর থেকে অনুষ্ঠিত ১৭টি নিবন্ধন পরীক্ষায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারতেন এবং সুনামের সাথে পাঠদানও করতেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে চবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত : ০৬:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ এনটিআরসিএ কর্তৃক ঘোষিত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে আরবি প্রভাষক ও সহকারী মৌলভী পদ থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদ ও বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বেলা ১১ টার সময় শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন ।

এ সময়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আ.ন. ম. আব্দুল মাবুদ বলেন, আজ আমার বিভাগের শিক্ষার্থীদের দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তাদের একজন অভিভাবক হিসেবে মানববন্ধনে পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা কুরআন, হাদিস, আরবি ফিকহ সহ সকল বিষয়ে অধ্যায়ন করে যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠে। সুতরাং তাদেরকে বঞ্চিত করা কোনভাবে কাম্য নয়। আমরা এনটিআরসি কর্তৃক ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে দ্রুত সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুরোধ করছি। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।

বিভাগটির শিক্ষার্থী ও এ্যালামনায় এসোসিয়েশনের সদস্য আবু সালতান বলেন, বিগত ১ম হতে ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষা পর্যন্ত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি ও আরবী প্রভাষক পদে আবেদন করতে পারতেন। কিন্তু ১৮ সালের সংশোধিত নীতিমালায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ আরবি প্রভাষক পদটিতে পাঠদানের ৯৯% বিষয়বস্তুই ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এই নীতিমালা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

উল্লেখ্য, মাদরাসার আরবি প্রভাষক পদটি নামে আরবি হলেও এই পদটির কাজ শুধু আরবি ভাষা ও সাহিত্য পড়ানো নয়। বরং এই পদের মূল পাঠদানের বিষয়গুলো হচ্ছে কোরআন, হাদীস,তাফসীর, উলূমুল হাদীস, ফিকহ, উসূলুল ফিকহ, দাওয়াহ, আকাইদ প্রভৃতি। যে বিষয়গুলো মূলত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে পড়ানো হয়। তাই স্বাধীনতার পর থেকে অনুষ্ঠিত ১৭টি নিবন্ধন পরীক্ষায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারতেন এবং সুনামের সাথে পাঠদানও করতেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ