০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটে নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখেই বেড়িবাধ হস্তান্তর, ঝুঁকিতে উপকূল বাঁশি

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় ৬২ কিলোমিটার টেকসই বেরিবাঁধ নির্মান কাজ অসমাপ্ত রেখেই হস্তান্তর করা হয়েছে। নির্মান কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই হস্তান্তর এবং বাঁধের একাধিক স্থানে ভাঙ্গন ও ব্লক ধ্বসে যাওয়ায় অসন্তোষ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে।বাঁধ রক্ষায় বর্ষার আগেই নদী শাসন করার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভাঙ্গন ও ঝুকিপুর্ন স্থানগুলো রক্ষা এবং নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়নে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রকল্প কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা এলাকায় বাঁধ নির্মানের জন্য উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি) নামে একটি প্রকল্প গ্রহন করে সরকার। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এই প্রকল্পের অধীনে ২৪২কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের বলেশ্বর নদীর তীরে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার বগী-গাবতলা পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মান শুরু করে চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান “দি ফাষ্ট ইঞ্জিনিয়ারীং ব্যুরো হেনান ওয়াটার কনজারভেন্সি”। প্রতিষ্ঠানটি একই প্রকল্পের অধীনে ৩৫/৩ বাগেরহাট সদর ও রামপাল অংশে ১০২ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ নির্মান করেছে। ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলার বগী, গাবতলা, মোরেলগঞ্জের আমতলা, ফাসিয়াতলাসহ ৭টি স্থানে ভাঙ্গন ও বাঁধের ব্লক ধ্বসে বিলীন হওয়ার মধ্যেই কাজ অসমাপ্ত রেখে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেস্বর নির্মানাধিন বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে হস্থান্তর করে সিইআইপি প্রকল্পের কর্তাব্যক্তিরা। তবে ৭ টি স্থানের মধ্যে একটি স্থানে জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠোকানোর কাজ শুরু করেছে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ হস্তান্তরের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতংক ও জমি ঘর হারানোর ভয়। তাদের অভিযোগ বাধ নির্মাণের সময় মাটির বদলে বালু দেওয়ায় ঝুকিতে পড়েছেন তারা।

শরণখোলা উপজেলার উত্তর সাউথখালী গ্রামের হালিম শাহ বলেন, দুই পাশে মাটি দিয়ে মাঝখানে বালু দেওয়া হয়েছে যার কারণে বাঁধে ফাটল ও ধ্বস শুরু হয়েছে। শুনেছি কাজ শেস হয়েছি। কিন্তু এখনও তো তিন কিলোমিটার এলাকায় ভাঙ্গন রয়েছে।

শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, বলেশ্বর নদীতে ভাঙ্গনে ভিটা বাড়ি সবকিছু হারিয়েছি।২০০৭ সালের সিডরে পরিবারের সদস্যদেরও হারিয়েছি। এরপরে আমাদের একমাত্র দাবি ছিল টেকসই বেরিবাঁধ। কিন্তু বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই নিম্নমানের এবং নদী শাসন না করার কারণে নতুন করে বাঁধের ব্লক ধ্বসে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পরেছি।

সাউথখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, সবকিছু ত্যাগের বিনিময়ে একটি টেকসই বেরিবাঁধের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। কিন্তু বেরিবাঁধ হয়েছে ঠিকই, নদী শাসন না করার ফলে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বৃষ্টি মৌসুমের আগে ভাঙ্গন ঠেকাবার দাবি জানাচ্ছি।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সাউথখালী এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, কাজের নিয়ন্ত্রণে ছিল চায়না লোকজন। যার কারণে আমরা কোন প্রকার খোজ খবর নিতে পারিনি। যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে কাজ করে গেছে। এছাড়া নদীর মধ্য থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ঝুকিতে পড়েছে বাঁধ।

শরণখোলা উপজেলা পরিষদেরচেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, বাঁধ নির্মান হওয়ায় মানুষের মাঝে সস্তি ফিরে এসেছিল। কিন্তু নির্মান সম্পন্ন না করে কেন্দ্রীয়ভাবে হস্তান্তর ও বাঁধে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিআইপি প্রকল্পের দূরদর্শিতার অভাবে নদী শাসন না করেই বাঁধ নির্মানের ফলে বাঁধটি হুমকির মধ্যে রয়েছে। শরণখোলাবাসীকে বাঁচাতে খুব শীঘ্রই নদী শাসন করে বাঁধের অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করার দাবী জানান এই জনপ্রতিনিধি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, প্রকল্পটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে হলেও, এটি নিয়ন্ত্রণ করা হত কেন্দ্রীয়ভাবে । প্রকল্পের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কার্যালয় পানি উন্নয়ন বোর্ড,বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরকে কিছুই জানানো হয়নি। স্থানীয় দপ্তরের সাথে সমন্বয় না করে কাজ করায়, তারাও কাজের বিষয়ে কোন খোজ খবর নিতে পারেনি। যার ফলে কাজে কিছুটা সমস্যা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রকল্পটি হস্তান্তর করা হয়। ৩৫/১ ও ৩৫/৩ পোল্ডারের ১০২ কিলোমিটার বাঁধ হস্তান্তর করা হয় এইদিন। পরে সরেজমিন পরিদর্শণ করে ৩৫/১ পোল্ডারের ৭টি স্থানে ২ দশমিক ৬৮ কিলোমিটারে বাঁধ অতিঝুকিপূর্ণ পাই। নদীর তীর প্রতিরক্ষা মূলক কাজ বাস্তবায়নের জন্য ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনাটি পাস হলে কাজ বাস্তবায়ন শুরু করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি

 

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

বাগেরহাটে নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখেই বেড়িবাধ হস্তান্তর, ঝুঁকিতে উপকূল বাঁশি

প্রকাশিত : ০৪:৪২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় ৬২ কিলোমিটার টেকসই বেরিবাঁধ নির্মান কাজ অসমাপ্ত রেখেই হস্তান্তর করা হয়েছে। নির্মান কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই হস্তান্তর এবং বাঁধের একাধিক স্থানে ভাঙ্গন ও ব্লক ধ্বসে যাওয়ায় অসন্তোষ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে।বাঁধ রক্ষায় বর্ষার আগেই নদী শাসন করার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভাঙ্গন ও ঝুকিপুর্ন স্থানগুলো রক্ষা এবং নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়নে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রকল্প কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা এলাকায় বাঁধ নির্মানের জন্য উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি) নামে একটি প্রকল্প গ্রহন করে সরকার। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এই প্রকল্পের অধীনে ২৪২কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের বলেশ্বর নদীর তীরে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার বগী-গাবতলা পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মান শুরু করে চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান “দি ফাষ্ট ইঞ্জিনিয়ারীং ব্যুরো হেনান ওয়াটার কনজারভেন্সি”। প্রতিষ্ঠানটি একই প্রকল্পের অধীনে ৩৫/৩ বাগেরহাট সদর ও রামপাল অংশে ১০২ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ নির্মান করেছে। ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলার বগী, গাবতলা, মোরেলগঞ্জের আমতলা, ফাসিয়াতলাসহ ৭টি স্থানে ভাঙ্গন ও বাঁধের ব্লক ধ্বসে বিলীন হওয়ার মধ্যেই কাজ অসমাপ্ত রেখে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেস্বর নির্মানাধিন বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে হস্থান্তর করে সিইআইপি প্রকল্পের কর্তাব্যক্তিরা। তবে ৭ টি স্থানের মধ্যে একটি স্থানে জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠোকানোর কাজ শুরু করেছে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ হস্তান্তরের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতংক ও জমি ঘর হারানোর ভয়। তাদের অভিযোগ বাধ নির্মাণের সময় মাটির বদলে বালু দেওয়ায় ঝুকিতে পড়েছেন তারা।

শরণখোলা উপজেলার উত্তর সাউথখালী গ্রামের হালিম শাহ বলেন, দুই পাশে মাটি দিয়ে মাঝখানে বালু দেওয়া হয়েছে যার কারণে বাঁধে ফাটল ও ধ্বস শুরু হয়েছে। শুনেছি কাজ শেস হয়েছি। কিন্তু এখনও তো তিন কিলোমিটার এলাকায় ভাঙ্গন রয়েছে।

শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, বলেশ্বর নদীতে ভাঙ্গনে ভিটা বাড়ি সবকিছু হারিয়েছি।২০০৭ সালের সিডরে পরিবারের সদস্যদেরও হারিয়েছি। এরপরে আমাদের একমাত্র দাবি ছিল টেকসই বেরিবাঁধ। কিন্তু বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই নিম্নমানের এবং নদী শাসন না করার কারণে নতুন করে বাঁধের ব্লক ধ্বসে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পরেছি।

সাউথখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, সবকিছু ত্যাগের বিনিময়ে একটি টেকসই বেরিবাঁধের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। কিন্তু বেরিবাঁধ হয়েছে ঠিকই, নদী শাসন না করার ফলে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বৃষ্টি মৌসুমের আগে ভাঙ্গন ঠেকাবার দাবি জানাচ্ছি।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সাউথখালী এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, কাজের নিয়ন্ত্রণে ছিল চায়না লোকজন। যার কারণে আমরা কোন প্রকার খোজ খবর নিতে পারিনি। যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে কাজ করে গেছে। এছাড়া নদীর মধ্য থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ঝুকিতে পড়েছে বাঁধ।

শরণখোলা উপজেলা পরিষদেরচেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, বাঁধ নির্মান হওয়ায় মানুষের মাঝে সস্তি ফিরে এসেছিল। কিন্তু নির্মান সম্পন্ন না করে কেন্দ্রীয়ভাবে হস্তান্তর ও বাঁধে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিআইপি প্রকল্পের দূরদর্শিতার অভাবে নদী শাসন না করেই বাঁধ নির্মানের ফলে বাঁধটি হুমকির মধ্যে রয়েছে। শরণখোলাবাসীকে বাঁচাতে খুব শীঘ্রই নদী শাসন করে বাঁধের অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করার দাবী জানান এই জনপ্রতিনিধি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, প্রকল্পটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে হলেও, এটি নিয়ন্ত্রণ করা হত কেন্দ্রীয়ভাবে । প্রকল্পের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কার্যালয় পানি উন্নয়ন বোর্ড,বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরকে কিছুই জানানো হয়নি। স্থানীয় দপ্তরের সাথে সমন্বয় না করে কাজ করায়, তারাও কাজের বিষয়ে কোন খোজ খবর নিতে পারেনি। যার ফলে কাজে কিছুটা সমস্যা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রকল্পটি হস্তান্তর করা হয়। ৩৫/১ ও ৩৫/৩ পোল্ডারের ১০২ কিলোমিটার বাঁধ হস্তান্তর করা হয় এইদিন। পরে সরেজমিন পরিদর্শণ করে ৩৫/১ পোল্ডারের ৭টি স্থানে ২ দশমিক ৬৮ কিলোমিটারে বাঁধ অতিঝুকিপূর্ণ পাই। নদীর তীর প্রতিরক্ষা মূলক কাজ বাস্তবায়নের জন্য ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনাটি পাস হলে কাজ বাস্তবায়ন শুরু করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি