০৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

শিক্ষা উপবৃত্তি টাকা দেয়ার নামে প্রতারনায় জড়িত ৮ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের নিকট থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়। র‍্যাব এ সকল প্রতারকদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

দুপুরে কাওরানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান গত ২৪ মার্চ ২০২৪ আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকায় বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন শালবাগান রাজশাহীর বিএনসিসি অফিসে অবস্থানকালে বাদীর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার এ অজ্ঞাতনামা মোবাইল নম্বর থেকে ভিকটিমের মেয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাউন্টেট শাখায় কর্মরত মোঃ মিজানুর রহমান বলে পরিচয় দিয়ে তার মেয়ের এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়ায় শিক্ষা উপবৃত্তির ২২,৫০০/- টাকা এসেছে বলে জানায়। উক্ত টাকা বাদীর একাউন্টে চলে যাবে মর্মে একটি ব্যাংকের এটিএম কার্ডের ষোল ডিজিটের নাম্বার দিতে বললে তিনি তার ষোল ডিজিটের নাম্বার প্রদান করলে একটি ওটিপি যাবে বলে জানায়।

তিনি আরো জানান যে পরবর্তীতে বাদী মোবাইল মেসেজ অপশনে দেখতে পায় বাদীর একাউন্ট মোটা অংকের টাকা প্রতারনামূলকভাবে আত্মসাৎ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে বাদী অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার মামলা নং-৩৯, তারিখ-২৪ মার্চ ২০২৪ ইং। ধারা-৪১৯/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০ দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা জড়িতদের গ্রেফতারে র‍্যাব- ৫ রাজশাহী’কে অধিযাচনপত্র প্রদান করলে র‍্যাব-৫ রাজশাহী জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

কিন্তু সে শুধুমাত্র মাঠ লেভেলে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট হতে টাকা উত্তোলন করে বিভিন্ন ব্যাংকের একাউন্টে প্রেরণ করতো বলে জানায়। গ্রেফতারকৃত শামীম হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন কোম্পানীর সীম কার্ডসহ বেশ কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার করে। র‍্যাব-৫, ৪, ৮, ১০, ১১ ও ১৪ এর যৌথ অভিযানে ঢাকা, জামালপুর, রাজশাহী, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ।


গ্রেফতারকৃত শামীম আরো জানায় উক্ত প্রতারণা চক্রের সদস্য মোহাম্মদ জিহাদ (৩৪)জামালপুরে অবস্থান করছে। পরবর্তীতে আসামী জিহাদকে (৩৪) বিপুল পরিমান সীম কার্ডসহ জামালপুর জেলার সদর থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো বলেন গ্রেফতারকৃত জিহাদ ও শামীমকে উক্ত চক্রের সদস্য কাজী সাদ্দাম হোসেন ওরফে আমির হামজা (২৬)বিভিন্ন স্থান থেকে বেনামী রেজিস্ট্রেশনকৃত সীম কার্ড সংগ্রহ করে দেয়। পরবর্তীতে র‍্যাব আসামী মোঃ সাদ্দাম হোসেন ওরফে মোঃ আমির হামজা (২৬)’কে কুমিল্লা জেলার হোমনা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং তার দেওয়া তথ্য মতে একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানীর সীমকার্ড ক্রয়-বিক্রয় কাজে নিয়োজিত আসামী মোঃ আহাদ গাজী (২৪) কে নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জিহাদ ও শামীম এর দেওয়া তথ্যমতে আসামী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে জয় (২৬)কে ঢাকার কাফরুল থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মোস্তাফিজ এর দেওয়া তথ্য মতে আসামী ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানা এলাকা হতে পলাতক আরেক মূলহোতা আসামী মোঃ বাপ্পি মোল্লা (২০)ফরিদপুর’কে গ্রেফতার করে। তাহাদের দেওয়া তথ্য মতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে মূলহোতা মোঃ জাকির হোসেন হাওলাদার (৪৭)এবং মোঃ উসমান গনি মোল্লা (৩৩)’কে ফরিদপুর হতে আটক করে।উক্ত সময় আসামীদের নিকট হতে সর্বমোট ২৩টি মোবাইল সেট, ৩১০টি সীম কার্ড এবং নগদ-৩,০১,২৭০/-(তিন লক্ষ এক হাজার দুই শত সত্তর) টাকা ও ৯টি ব্যাংক লেনদেন স্কিপ উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য থাকে যে, উদ্ধারকৃত প্রত্যেকটি সীম কার্ডে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংর এর একাউন্ট রয়েছে।

ইতোমধ্যে শিক্ষা উপবৃত্তি টাকা দেয়ার নাম করে ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতারনা সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিগন শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেয়ার নাম করে ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতারনার কথা স্বীকার করেছে।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS

জনপ্রিয়

কুড়িগ্রামে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ডায়ালগ

শিক্ষা উপবৃত্তি টাকা দেয়ার নামে প্রতারনায় জড়িত ৮ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

প্রকাশিত : ০২:৫৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের নিকট থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়। র‍্যাব এ সকল প্রতারকদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

দুপুরে কাওরানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান গত ২৪ মার্চ ২০২৪ আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকায় বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন শালবাগান রাজশাহীর বিএনসিসি অফিসে অবস্থানকালে বাদীর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার এ অজ্ঞাতনামা মোবাইল নম্বর থেকে ভিকটিমের মেয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাউন্টেট শাখায় কর্মরত মোঃ মিজানুর রহমান বলে পরিচয় দিয়ে তার মেয়ের এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়ায় শিক্ষা উপবৃত্তির ২২,৫০০/- টাকা এসেছে বলে জানায়। উক্ত টাকা বাদীর একাউন্টে চলে যাবে মর্মে একটি ব্যাংকের এটিএম কার্ডের ষোল ডিজিটের নাম্বার দিতে বললে তিনি তার ষোল ডিজিটের নাম্বার প্রদান করলে একটি ওটিপি যাবে বলে জানায়।

তিনি আরো জানান যে পরবর্তীতে বাদী মোবাইল মেসেজ অপশনে দেখতে পায় বাদীর একাউন্ট মোটা অংকের টাকা প্রতারনামূলকভাবে আত্মসাৎ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে বাদী অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার মামলা নং-৩৯, তারিখ-২৪ মার্চ ২০২৪ ইং। ধারা-৪১৯/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০ দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা জড়িতদের গ্রেফতারে র‍্যাব- ৫ রাজশাহী’কে অধিযাচনপত্র প্রদান করলে র‍্যাব-৫ রাজশাহী জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

কিন্তু সে শুধুমাত্র মাঠ লেভেলে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট হতে টাকা উত্তোলন করে বিভিন্ন ব্যাংকের একাউন্টে প্রেরণ করতো বলে জানায়। গ্রেফতারকৃত শামীম হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন কোম্পানীর সীম কার্ডসহ বেশ কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার করে। র‍্যাব-৫, ৪, ৮, ১০, ১১ ও ১৪ এর যৌথ অভিযানে ঢাকা, জামালপুর, রাজশাহী, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ।


গ্রেফতারকৃত শামীম আরো জানায় উক্ত প্রতারণা চক্রের সদস্য মোহাম্মদ জিহাদ (৩৪)জামালপুরে অবস্থান করছে। পরবর্তীতে আসামী জিহাদকে (৩৪) বিপুল পরিমান সীম কার্ডসহ জামালপুর জেলার সদর থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো বলেন গ্রেফতারকৃত জিহাদ ও শামীমকে উক্ত চক্রের সদস্য কাজী সাদ্দাম হোসেন ওরফে আমির হামজা (২৬)বিভিন্ন স্থান থেকে বেনামী রেজিস্ট্রেশনকৃত সীম কার্ড সংগ্রহ করে দেয়। পরবর্তীতে র‍্যাব আসামী মোঃ সাদ্দাম হোসেন ওরফে মোঃ আমির হামজা (২৬)’কে কুমিল্লা জেলার হোমনা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং তার দেওয়া তথ্য মতে একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানীর সীমকার্ড ক্রয়-বিক্রয় কাজে নিয়োজিত আসামী মোঃ আহাদ গাজী (২৪) কে নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জিহাদ ও শামীম এর দেওয়া তথ্যমতে আসামী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে জয় (২৬)কে ঢাকার কাফরুল থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মোস্তাফিজ এর দেওয়া তথ্য মতে আসামী ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানা এলাকা হতে পলাতক আরেক মূলহোতা আসামী মোঃ বাপ্পি মোল্লা (২০)ফরিদপুর’কে গ্রেফতার করে। তাহাদের দেওয়া তথ্য মতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে মূলহোতা মোঃ জাকির হোসেন হাওলাদার (৪৭)এবং মোঃ উসমান গনি মোল্লা (৩৩)’কে ফরিদপুর হতে আটক করে।উক্ত সময় আসামীদের নিকট হতে সর্বমোট ২৩টি মোবাইল সেট, ৩১০টি সীম কার্ড এবং নগদ-৩,০১,২৭০/-(তিন লক্ষ এক হাজার দুই শত সত্তর) টাকা ও ৯টি ব্যাংক লেনদেন স্কিপ উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য থাকে যে, উদ্ধারকৃত প্রত্যেকটি সীম কার্ডে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংর এর একাউন্ট রয়েছে।

ইতোমধ্যে শিক্ষা উপবৃত্তি টাকা দেয়ার নাম করে ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতারনা সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিগন শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেয়ার নাম করে ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতারনার কথা স্বীকার করেছে।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS