০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করলে সরকার কঠোর হবেই: কাদের

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করলে সরকার কঠোর হবেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চলমান কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যেকোনো দাবির প্রতি শেখ হাসিনার সরকার সহনশীল। তরুণ প্রজন্ম সংঘর্ষে লিপ্ত হবে, এটা কাম্য নয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আঘাত করলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করলে, জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে সরকারকে কঠোর হতেই হয়।

মন্ত্রী বলেন, এখন কোটা আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই। সন্ত্রাসী বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দিতে চাচ্ছে। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ, চট্টগ্রাম সন্তোদীপনকে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ অন্যান্য উপাচার্যদের জিম্মি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের উপর বিনা উসকানিতে হামলা চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত লাশের রাজনীতি করতে চায়। গতকাল তাদের ষড়যন্ত্রে সারাদেশে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সহিংসতা করেছে। বিশেষ করে তারা ঢাকায় পরিস্থিতি ঘোলা করেছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর বিশ্বাসী। এই বর্বর আক্রমণে গণমাধ্যমের অনেক কর্মীও আহত হয়েছেন। তবে মিডিয়ার হেডিং দেখলে মনে হয় সব আক্রমণকারী ছাত্রলীগ। সব জায়গা ছাত্রলীগের নাম। অথচ হলে হলে ছাত্রলীগের মেয়েদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের বই-পোস্তক, জামা-কাপড় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই এই অবস্থা। এছাড়া সহকারী প্রক্টরকে শহীদ মিনার এলাকায় পেটানো হয়েছে, এটা কত বর্বর।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের কেউ অপরাধ করলে শেখ হাসিনা ছাড় দেননি৷ অপরাধ করলে দলের লোককেও শাস্তি দেওয়ার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম প্রমুখ।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করলে সরকার কঠোর হবেই: কাদের

প্রকাশিত : ০১:৪৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করলে সরকার কঠোর হবেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চলমান কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যেকোনো দাবির প্রতি শেখ হাসিনার সরকার সহনশীল। তরুণ প্রজন্ম সংঘর্ষে লিপ্ত হবে, এটা কাম্য নয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আঘাত করলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করলে, জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে সরকারকে কঠোর হতেই হয়।

মন্ত্রী বলেন, এখন কোটা আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই। সন্ত্রাসী বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দিতে চাচ্ছে। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ, চট্টগ্রাম সন্তোদীপনকে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ অন্যান্য উপাচার্যদের জিম্মি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের উপর বিনা উসকানিতে হামলা চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত লাশের রাজনীতি করতে চায়। গতকাল তাদের ষড়যন্ত্রে সারাদেশে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সহিংসতা করেছে। বিশেষ করে তারা ঢাকায় পরিস্থিতি ঘোলা করেছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর বিশ্বাসী। এই বর্বর আক্রমণে গণমাধ্যমের অনেক কর্মীও আহত হয়েছেন। তবে মিডিয়ার হেডিং দেখলে মনে হয় সব আক্রমণকারী ছাত্রলীগ। সব জায়গা ছাত্রলীগের নাম। অথচ হলে হলে ছাত্রলীগের মেয়েদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের বই-পোস্তক, জামা-কাপড় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই এই অবস্থা। এছাড়া সহকারী প্রক্টরকে শহীদ মিনার এলাকায় পেটানো হয়েছে, এটা কত বর্বর।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের কেউ অপরাধ করলে শেখ হাসিনা ছাড় দেননি৷ অপরাধ করলে দলের লোককেও শাস্তি দেওয়ার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম প্রমুখ।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে