বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় সড়ক আটকে বিক্ষোভ করছেন বার্ডস গ্রুপের চারটি কারখানার শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকে শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর আগে, গত দুই দিন ধরে একই দাবিতে বিক্ষোভ করছেন তারা।
জানা যায়, বার্ডস গ্রুপের চারটি কারখানা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করে বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপরই কারখানার প্রায় ২ হাজার বিক্ষুব্ধ শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বাবু নামের এক শ্রমিক বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর আমাদের সমস্ত পাওনাদি পরিশোধ করার কথা ছিল। এর মধ্যে তিন মাসের সময় নিয়ে তারা নোটিশ টানিয়ে দেয়, তিন মাস পর পাওনাদি পরিশোধ করা হবে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে কীভাবে মালিকপক্ষ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়?
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করে রানিং ফ্যাক্টরি লে-অফের নোটিশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এক বছর উপরে যাদের চাকরির বয়স তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, যাদের চাকরির বয়স এক বছরের কম তাদের কি কোনো ক্ষতি হয়নি?
বার্ডস গ্রুপের কারখানাগুলো বাইপাইল বুড়ির বাজার এলাকায় অবস্থিত। এই কারখানাগুলো গত ২৮ ই আগস্ট থেকে লে-অফ ঘোষণা করে। পরে শ্রমিকরা লে অফে থাকতে রাজি না হলে পরবর্তীতে কারখানা ১২৪ (ক) ধারায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, গতকাল থেকে বাইপাইলে একই অবস্থা। সড়কে যান চলাচল বন্ধ। কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এ্যাকশনে গেলেও তো সমস্যা। আমরা কি করতে পারি?
ঢাকা জেলা পুলিশের সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শাহীনুর কবির বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে সড়ক তারা আটকে রেখেছে। এর কারণে ঢাকা থেকে যেসব গাড়ি উত্তরবঙ্গ ও খুলনার দিকে যায় সব রাস্তাই বন্ধ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। ধামরাই রোডেও যানজট, নবীনগর বাইপাইল বন্ধ। মোট কথা এ অঞ্চলের সব সড়কে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এভাবে মূল সড়ক তারা বন্ধ রাখতে পারে না। তাদের কাউন্সিলিং করা হয়েছে, কিন্তু তারা মানেনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সমাধানের অনেক চেষ্টা করেছি। মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। মালিক বলেছে, তার কাছে কোনো টাকা নাই। কারখানা বিক্রি করে টাকা দেবেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস