০২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রাম, সামনে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনপদ। সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে বাস ও পরিবহনগুলোকে। সূর্যের দেখা মিললেও নেই উত্তাপ। কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হওয়া মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। বিশেষ করে গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্টে ভুগছেন অসহায় মানুষজন।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দু’একদিনের মধ্যে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

পৌর শহরের রিকশাচালক মো. শামীম বলেন, মাঘ মাস পড়েছে, প্রচুর ঠান্ডা। রিকশা নিয়ে বের হওয়া যায় না। দিনের বেলা কোনোমতে রিকশা চালাতে পারলেও রাত ৯টার পর তো সম্ভব হয় না।

দিনমজুর মো. নুর ইসলাম বলেন, শীতে ঘুম থেকে উঠে কাজে যেতে দেরি হয়। সময়মতো কাজে না পৌঁছালে দিনটাই মাটি। আর গরম কাপড় কেনারতো সামর্থ্য নেই। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন, তা বিতরণ শেষের পথে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ একদম কম বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা। এছাড়া বেসরকারি সংগঠনগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ চালিয়ে যাচ্ছে।

রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, আজ সকাল ৯টায় ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ৯-১৩’র মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করবে। তবে আগামী ২৩-২৪ তারিখে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডিএস//

জনপ্রিয়

ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রাম, সামনে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

প্রকাশিত : ১১:৪০:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনপদ। সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে বাস ও পরিবহনগুলোকে। সূর্যের দেখা মিললেও নেই উত্তাপ। কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হওয়া মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। বিশেষ করে গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্টে ভুগছেন অসহায় মানুষজন।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দু’একদিনের মধ্যে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

পৌর শহরের রিকশাচালক মো. শামীম বলেন, মাঘ মাস পড়েছে, প্রচুর ঠান্ডা। রিকশা নিয়ে বের হওয়া যায় না। দিনের বেলা কোনোমতে রিকশা চালাতে পারলেও রাত ৯টার পর তো সম্ভব হয় না।

দিনমজুর মো. নুর ইসলাম বলেন, শীতে ঘুম থেকে উঠে কাজে যেতে দেরি হয়। সময়মতো কাজে না পৌঁছালে দিনটাই মাটি। আর গরম কাপড় কেনারতো সামর্থ্য নেই। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন, তা বিতরণ শেষের পথে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ একদম কম বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা। এছাড়া বেসরকারি সংগঠনগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ চালিয়ে যাচ্ছে।

রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, আজ সকাল ৯টায় ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ৯-১৩’র মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করবে। তবে আগামী ২৩-২৪ তারিখে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডিএস//