১২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

প্রবাসীর অর্থ লোপাটের সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের দুই সদস‍্য’কে গ্রেফতার করেছে: এয়ারপোর্ট এপিবিএন

ঢাকা এয়ারপোর্টে নানা উপায়ে প্রবাসী যাত্রীদের অর্থ ও মালামাল লোপাটকারী সংজ্ঞবন্ধ প্রতারক চক্রের দুইজনকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।

গত ১৭ জানুয়ারী QR640 ফ্লাইটে বাংলাদেশে আগমনের পর কাতার প্রবাসী মানিক খান বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় ও গত ৭ ফেব্রুয়ারী BS362 ফ্লাইটযোগে জেদ্দা থেকে আগত প্রবাসী পাবনা জেলার বাসিন্দা আরিফ প্রমানিক বিমানবন্দরের ২ নং ক্যানোপি এলাকায় অবস্থানকালে প্রায় একই কায়দায় সুকৌশলে কে বা কারা তাদের সাথে থাকা টাকাসহ ব্যাগগুলো হাতিয়ে নেয়। মানিক খানের ব্যাগে ছিলো ৩৭০০ রিয়ালসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আর আরিফ প্রামাণিকের ব্যাগে ছিলো ৪৭৩৫ রিয়াল।

দুইজনই পরবর্তীতে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অফিসে চুরির কথা উল্লেখ করে অভিযোগ করেন। ১ম ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া না গেলেও গত ৭ ফেব্রুয়ারী’র ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে উক্ত ঘটনার সত্যতা পায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তারা দুইজনকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় কিন্তু তাদের মুখ ছিলো মাস্কে ঢাকা।

সিসিটিভিতে পাওয়া সামান্য তথ্য দিয়েই শুরু হয় অভিযান। ৪ দিন পর অদ্য ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ খ্রি. রোজ মঙ্গলবার শাহদুজ্জামান খোকন (৫৫) ও নিজাম উদ্দিন (৪৪) বিমানবন্দর এলাকায় সন্দেহজনকভাবে অবস্থান করলে তাদেরকে আটক করে বিমানবন্দর অফিসে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা উভয়ই অপরাধের কথা এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের কাছে স্বীকার করে।

এরপর ভিকটিম যাত্রীদের সংবাদ দিলে তারা বিমানবন্দর এপিবিএন অফিসে হাজির হয়। যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে বিমানবন্দরস্থ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মেহেদী হাসান অভিযুক্তদ্বয় কে ১০,০০০/- টাকা করে মোট ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, উভয় ব্যাক্তির চুরি হওয়া ব্যাগ উদ্ধার করে বিমানবন্দর এপিবিএন অফিস থেকে আইনগত প্রক্রিয়া অবলম্বন করে টাকা ও মালামালসহ যাত্রীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রবাসী যাত্রী আরিফ প্রামাণিক জানান “এইভাবে ৪ দিন পর ব্যাগ ও সকল মালামালসহ টাকা উদ্ধার অবিশ্বাস্য। সিসিটিভি বিশ্লেষণ করে এভাবে অপরাধী সনাক্ত করায় ও আমাকে মালামাল বুঝিয়ে দেয়ায় আমি এপিবিএনকে ধন্যবাদ জানাই।

অপরদিকে প্রবাসী মানিক খান আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন “এই টাকা ও ব্যাগের আশা আমি পুরোপুরিভাবে ছেড়ে দিয়েছিলাম। একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে এতোদিন পরে আমাকে ডেকে আমার চুরি করা মালামাল ফেরত দিবে এটা সত্যিই আমাকে বিমোহিত করেছে। প্রবাসী হিসেবে দেশের পুলিশ নিয়ে গর্ববোধ হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট (১৩) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশনস) জনাব অনিতা রানী সূত্রধর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, “ অনেক প্রতারক ও পকেটমার যাত্রীবেশে ক্যানোপি এলাকায় অবস্থান করে। এ ধরনের প্রতারক ও পকেটমারসহ অন্যান্য যাত্রী হয়রানি দমনে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ কাজ করে আসছে। আমরা বিমানবন্দর ঘিরে সকল অপরাধ কার্যক্রম রোধে সচেষ্ট আছি।

ডিএস..

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

জুমাতুল বিদা আজ

প্রবাসীর অর্থ লোপাটের সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের দুই সদস‍্য’কে গ্রেফতার করেছে: এয়ারপোর্ট এপিবিএন

প্রকাশিত : ১১:০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকা এয়ারপোর্টে নানা উপায়ে প্রবাসী যাত্রীদের অর্থ ও মালামাল লোপাটকারী সংজ্ঞবন্ধ প্রতারক চক্রের দুইজনকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।

গত ১৭ জানুয়ারী QR640 ফ্লাইটে বাংলাদেশে আগমনের পর কাতার প্রবাসী মানিক খান বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় ও গত ৭ ফেব্রুয়ারী BS362 ফ্লাইটযোগে জেদ্দা থেকে আগত প্রবাসী পাবনা জেলার বাসিন্দা আরিফ প্রমানিক বিমানবন্দরের ২ নং ক্যানোপি এলাকায় অবস্থানকালে প্রায় একই কায়দায় সুকৌশলে কে বা কারা তাদের সাথে থাকা টাকাসহ ব্যাগগুলো হাতিয়ে নেয়। মানিক খানের ব্যাগে ছিলো ৩৭০০ রিয়ালসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আর আরিফ প্রামাণিকের ব্যাগে ছিলো ৪৭৩৫ রিয়াল।

দুইজনই পরবর্তীতে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অফিসে চুরির কথা উল্লেখ করে অভিযোগ করেন। ১ম ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া না গেলেও গত ৭ ফেব্রুয়ারী’র ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে উক্ত ঘটনার সত্যতা পায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তারা দুইজনকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় কিন্তু তাদের মুখ ছিলো মাস্কে ঢাকা।

সিসিটিভিতে পাওয়া সামান্য তথ্য দিয়েই শুরু হয় অভিযান। ৪ দিন পর অদ্য ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ খ্রি. রোজ মঙ্গলবার শাহদুজ্জামান খোকন (৫৫) ও নিজাম উদ্দিন (৪৪) বিমানবন্দর এলাকায় সন্দেহজনকভাবে অবস্থান করলে তাদেরকে আটক করে বিমানবন্দর অফিসে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা উভয়ই অপরাধের কথা এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের কাছে স্বীকার করে।

এরপর ভিকটিম যাত্রীদের সংবাদ দিলে তারা বিমানবন্দর এপিবিএন অফিসে হাজির হয়। যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে বিমানবন্দরস্থ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মেহেদী হাসান অভিযুক্তদ্বয় কে ১০,০০০/- টাকা করে মোট ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, উভয় ব্যাক্তির চুরি হওয়া ব্যাগ উদ্ধার করে বিমানবন্দর এপিবিএন অফিস থেকে আইনগত প্রক্রিয়া অবলম্বন করে টাকা ও মালামালসহ যাত্রীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রবাসী যাত্রী আরিফ প্রামাণিক জানান “এইভাবে ৪ দিন পর ব্যাগ ও সকল মালামালসহ টাকা উদ্ধার অবিশ্বাস্য। সিসিটিভি বিশ্লেষণ করে এভাবে অপরাধী সনাক্ত করায় ও আমাকে মালামাল বুঝিয়ে দেয়ায় আমি এপিবিএনকে ধন্যবাদ জানাই।

অপরদিকে প্রবাসী মানিক খান আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন “এই টাকা ও ব্যাগের আশা আমি পুরোপুরিভাবে ছেড়ে দিয়েছিলাম। একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে এতোদিন পরে আমাকে ডেকে আমার চুরি করা মালামাল ফেরত দিবে এটা সত্যিই আমাকে বিমোহিত করেছে। প্রবাসী হিসেবে দেশের পুলিশ নিয়ে গর্ববোধ হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট (১৩) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশনস) জনাব অনিতা রানী সূত্রধর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, “ অনেক প্রতারক ও পকেটমার যাত্রীবেশে ক্যানোপি এলাকায় অবস্থান করে। এ ধরনের প্রতারক ও পকেটমারসহ অন্যান্য যাত্রী হয়রানি দমনে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ কাজ করে আসছে। আমরা বিমানবন্দর ঘিরে সকল অপরাধ কার্যক্রম রোধে সচেষ্ট আছি।

ডিএস..