১২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম ‘যুদ্ধ দপ্তর’ করার উদ্যোগ ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার বা যুদ্ধ দপ্তর করার উদ্যোগ নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মন্ত্রণালয়ের নতুন নামটি দ্বিতীয় বা গৌণ নাম হিসেবে ব্যবহারের জন্য শুক্রবার তিনি একটি নির্বাহী আদেশে সই করবেন। একইসঙ্গে এতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে সেক্রেটারি অব ওয়ার বা যুদ্ধমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত করার নির্দেশ থাকবে।

অবশ্য এককালে এর নাম যুদ্ধ দফতরই ছিল। বর্তমানে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা পেন্টাগন সেটিরই উত্তরসূরি।

১৭৮৯ সালে এটি প্রথমে মন্ত্রিপরিষদ-স্তরের সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা টিকে ছিল ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত।

নির্বাহী বিভাগ গঠনের দায়িত্ব কংগ্রেসের ওপর ন্যস্ত, যার মানে দাঁড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়ের নাম আইনগতভাবে পরিবর্তন করতে হলে সংশোধনীর প্রয়োজন হবে।

আদেশে বলা হয়েছে প্রতিরক্ষা দপ্তরের তুলনায় যুদ্ধ দফতর নামটি প্রস্তুতি ও দৃঢ় সংকল্পের শক্তিশালী বার্তা বহন করে, যা কেবল প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতার ওপর জোর দেয়।

শক্তি ও সংকল্প প্রদর্শনের প্রচেষ্টা থেকে আদেশে ডিফেন্স সেক্রেটারি বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, তার মন্ত্রণালয় ও অধস্তন কর্মকর্তাদের নতুন উপাধিগুলো দ্বিতীয় নাম হিসেবে ব্যবহার করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

যেহেতু কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পরিবর্তন করতে পারবেন না, তাই আদেশে আইন প্রণয়ন ও নির্বাহী পদক্ষেপের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করতে হেগসেথকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে মন্ত্রণালয়ের নাম স্থায়ীভাবে পরিবর্তনের দিকে এগোনো যায়।

জর্জ ওয়াশিংটনের উদ্যোগে যুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পুনরায় ব্র্যান্ডিং করে একে নতুন নাম দেওয়া হয়।

নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, নতুন নামকরণ করা হলে এই মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আমাদের জাতীয় স্বার্থের প্রতি আরও তীক্ষ্ণ হবে এবং শত্রুপক্ষের কাছে বার্তা যাবে যে আমেরিকা তার স্বার্থ রক্ষায় যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।

স্থায়ীভাবে নাম পরিবর্তনের খরচ কত হবে তা এখনো হোয়াইট হাউজ জানায়নি।

তবে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো ধারণা করছে, শত শত সংস্থা, প্রতীক, ইমেইল ঠিকানা, ইউনিফর্ম এবং আরও নানা বিষয়ে পরিবর্তন আনতে খরচ বিলিয়ন ডলারের ঘরে চলে যাবে।

এতে পেন্টাগনের ব্যয় ও অপচয় কমানোর প্রচেষ্টা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।

নাম পরিবর্তনের কথা ট্রাম্প বারবার উত্থাপন করেছেন। যুক্তি দিয়ে বলেছেন, আগের নাম ব্যবহারের সময় যুক্তরাষ্ট্র দুই বিশ্বযুদ্ধেই অবিশ্বাস্য বিজয়ের ইতিহাস রচনা করেছে।

আইনপ্রণেতারা এ ধরনের পরিবর্তনকে সমর্থন করবেন বলেও তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।

গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমি নিশ্চিত, প্রয়োজন হলে কংগ্রেস আমাদের সঙ্গে থাকবে। আমারতো মনে হয় সেটারও দরকার নেই।

সূত্র: বিবিসি

ডিএস./

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম ‘যুদ্ধ দপ্তর’ করার উদ্যোগ ট্রাম্পের

প্রকাশিত : ১১:৩২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার বা যুদ্ধ দপ্তর করার উদ্যোগ নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মন্ত্রণালয়ের নতুন নামটি দ্বিতীয় বা গৌণ নাম হিসেবে ব্যবহারের জন্য শুক্রবার তিনি একটি নির্বাহী আদেশে সই করবেন। একইসঙ্গে এতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে সেক্রেটারি অব ওয়ার বা যুদ্ধমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত করার নির্দেশ থাকবে।

অবশ্য এককালে এর নাম যুদ্ধ দফতরই ছিল। বর্তমানে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা পেন্টাগন সেটিরই উত্তরসূরি।

১৭৮৯ সালে এটি প্রথমে মন্ত্রিপরিষদ-স্তরের সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা টিকে ছিল ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত।

নির্বাহী বিভাগ গঠনের দায়িত্ব কংগ্রেসের ওপর ন্যস্ত, যার মানে দাঁড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়ের নাম আইনগতভাবে পরিবর্তন করতে হলে সংশোধনীর প্রয়োজন হবে।

আদেশে বলা হয়েছে প্রতিরক্ষা দপ্তরের তুলনায় যুদ্ধ দফতর নামটি প্রস্তুতি ও দৃঢ় সংকল্পের শক্তিশালী বার্তা বহন করে, যা কেবল প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতার ওপর জোর দেয়।

শক্তি ও সংকল্প প্রদর্শনের প্রচেষ্টা থেকে আদেশে ডিফেন্স সেক্রেটারি বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, তার মন্ত্রণালয় ও অধস্তন কর্মকর্তাদের নতুন উপাধিগুলো দ্বিতীয় নাম হিসেবে ব্যবহার করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

যেহেতু কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পরিবর্তন করতে পারবেন না, তাই আদেশে আইন প্রণয়ন ও নির্বাহী পদক্ষেপের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করতে হেগসেথকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে মন্ত্রণালয়ের নাম স্থায়ীভাবে পরিবর্তনের দিকে এগোনো যায়।

জর্জ ওয়াশিংটনের উদ্যোগে যুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পুনরায় ব্র্যান্ডিং করে একে নতুন নাম দেওয়া হয়।

নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, নতুন নামকরণ করা হলে এই মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আমাদের জাতীয় স্বার্থের প্রতি আরও তীক্ষ্ণ হবে এবং শত্রুপক্ষের কাছে বার্তা যাবে যে আমেরিকা তার স্বার্থ রক্ষায় যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।

স্থায়ীভাবে নাম পরিবর্তনের খরচ কত হবে তা এখনো হোয়াইট হাউজ জানায়নি।

তবে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো ধারণা করছে, শত শত সংস্থা, প্রতীক, ইমেইল ঠিকানা, ইউনিফর্ম এবং আরও নানা বিষয়ে পরিবর্তন আনতে খরচ বিলিয়ন ডলারের ঘরে চলে যাবে।

এতে পেন্টাগনের ব্যয় ও অপচয় কমানোর প্রচেষ্টা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।

নাম পরিবর্তনের কথা ট্রাম্প বারবার উত্থাপন করেছেন। যুক্তি দিয়ে বলেছেন, আগের নাম ব্যবহারের সময় যুক্তরাষ্ট্র দুই বিশ্বযুদ্ধেই অবিশ্বাস্য বিজয়ের ইতিহাস রচনা করেছে।

আইনপ্রণেতারা এ ধরনের পরিবর্তনকে সমর্থন করবেন বলেও তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।

গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমি নিশ্চিত, প্রয়োজন হলে কংগ্রেস আমাদের সঙ্গে থাকবে। আমারতো মনে হয় সেটারও দরকার নেই।

সূত্র: বিবিসি

ডিএস./