গত ২১ জুন ২০২৫ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ৩.ঘটিকার সময় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন ৪ নং তেলিহাটি ইউপির অন্তর্গত টেপিরবাড়ী সাকিনস্থ বাদীর বসত ঘরের ভিতর প্রবেশ করে বর্তমানে ধৃত তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি মোঃ আলমগীর হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ আসামিরা পরস্পর যোগসাজোশে ভিকটিম ডাক্তার মোর্শেদুল হক (শরীফ(৩৮) এর হাত-পা বেধে এবং অপর ভিকটিম ডাক্তার মৌসুমী আক্তার লিজা এর গলায় ধারালো অস্ত্র দা ধরিয়া খুন-জখমের হুমকি সহ ভয়ভীতি প্রদর্শনপূর্বক ওয়াল কেবিনেটের ড্রয়ারের চাবি নিয়ে ড্রয়ার খুলে ড্রয়ারে রাখা নগদ দুই লক্ষ টাকা সহ ০৬ টি স্বর্ণের চেইন,৫ জোড়া কানের দুল,১ জোড়া স্বর্ণের হাতের বালা, ১টি বেসলেট, ১টি লকেট, ১টি আংটি, ৩টি দামি হাতঘড়ি, ২ টি মোবাইল আনুমানিক ২২,৫৮,০০০/- টাকা মূল্যের সরঞ্জামাদি ডাকাতি করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম ডাঃ মোর্শেদুল হক (শরীফ) (৩৮) বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। যাহা গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার এফআইআর নং-৪৬,তারিখঃ গত ২১ জুলাই ২০২৫ ইং ,ধারাঃ ৩৯৫/৩৯৭ দন্ডবিধি ১৮৬০ পেনাল কোড রুজু হয়।
উক্ত ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারিত হয় এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এই ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানী পোড়াবাড়ি ক্যাম্প, গাজীপুর এর আভিযানিক দল বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
গত ০৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১৭১৫ ঘটিকার সময় র্যাব-১ সিপিএসসি, গাজীপুর এর আভিযানিক দল বিশ্বস্ত সোর্স, গোপন সংবাদ এবং ইন্ট উইং, র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর এর তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উপরোক্ত ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত আসামি মোঃ আলমগীর হোসেন(৩০) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন আনসার রোড এলাকায় আত্মগোপনে আছে।
উক্ত সংবাদের ভিতিত্তে র্যাব-১, সিপিএসসি, গাজীপুর এর আভিযানিক দল সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় ০৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১৮৩৫ ঘটিকার সময় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন আনসার রোড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামি দূর্ধর্ষ ডাকাত মোঃ আলমগীর হোসেন(৩০)’কে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামী’কে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাজীপুর জেলার শ্রীপুরথানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডিএস./