কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পুকুর থেকে জুথি (৩৩) নামের এক যুবতীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে স্থানীয়রা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল পুকুরে নিহতের লাশ ভাসতে দেখে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সংবাদ দেয়। পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন । পরে পুলিশ নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তবে এটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। নিহত জুথি কুষ্টিয়া শহরের পেয়ারাতলা এলাকার মৃত নূরুল ইসলাম বাচ্চুর মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল আনুমানিক পনে ৯ টার দিকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের বড় পুকুরে এক নারীর মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা কুষ্টিয়া মডেল থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশের তদন্তে পরবর্তীতে নিহত নারীর পরিচয় নিশ্চিত হয়।
নিহতের নাম অনন্যা ইসলাম সুমি ওরফে জুথি (৩৩)। তাঁর পিতার নাম মৃত নুরুল ইসলাম বাচ্চু। তিনি কুষ্টিয়া শহরের পিয়ারাতলা লুৎফুল হক লেন এলাকার ২১/১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আজিজ এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসময় একটি বাটন মোবাইল ও এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি (তদন্ত) আরও বলেন, নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা সব দিক বিবেচনা করে তদন্ত করছি। এই মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে। আমরা দ্রুত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। মরদেহ বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুরহস্যের কিনারা হবে বলে আশা করছে পুলিশ।
ডিএস./