১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোরপূর্বক উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটের চুক্তিনামা অনুযায়ী বৈধ দোকানঘর জোরপূর্বক উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ওষুধ ব্যবসায়ীরা। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রেসক্লাবের সামনে তারা এই কর্মসূচী পালন করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বস্তরের ওষুধ ব্যবসায়ীবৃন্দদের আয়োজিত এই মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতাকর্মীরাসহ জেলার সকল ওষুধ ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মাওলানা কুতুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং মহিলা কলেজ মার্কেটের ব্যবসায়ী নূর আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী খোকন খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ সানাউল হক ভূইয়া ও সহ সভাপতি এইচ. এম. মুরাদ প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে ব্যবসায়ীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে হাসপাতাল সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে প্রদক্ষিণ করে।

বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটের দোকানগুলো বৈধ। মার্কেটের চুক্তিনামা মূলে দোকানগুলো বৈধ। ১৯৮৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দোকানগুলোর বিষয়ে প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার সাথে পৃথক পৃথক চুক্তি হয়। প্রত্যেক দোকানের বিপরীতে তৎকালীন সময়ে ২৮ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। আমরা দীর্ঘ প্রায় ৪২ বছর ধরে এখানে ওষুধের ব্যবসা করে আসছি। এই ব্যবসার মাধ্যমেই আমাদের সন্তানদের পড়াশোনা ও পরিবারের ভরণপোষণ চলে। আমরা নিয়মিত দোকানে ভাড়া পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু গত দুই মাস ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের ভাড়া নেয়া বন্ধ করে দেয়। আমরা তখন বিষয়টি বুঝতে পারিনি। কারণ কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রায় দুই মাস পরপর দোকানে ভাড়া নেয়। কিন্তু এবার ভাড়া বন্ধ করে দিয়ে হঠাৎ দোকান উচ্ছেদ হতে বলেছে। আমাদের চুক্তি অনুযায়ী অন্তত ছয় মাস পূর্বে আমাদের নোটিশ দিতে হবে। কিন্তু তারা সেটি না করেই আমাদের হঠাৎ উচ্ছেদের কথা বলছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিনা নোটিশে বৈধ দোকানঘর উচ্ছেদ করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের জীবিকার পথ বন্ধ করেছে। যা অমানবিক ও অবৈধ। বক্তারা অবিলম্বে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ন্যায়সঙ্গত সমাধানের দাবি জানান। অন্যথায় জেলার সকল ওষুধ ব্যবসায়ীগন তাদের ফামের্সী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহষ্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটের ভাড়াটিয়ারা কলেজের অধ্যক্ষকে বিবাদী করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোরপূর্বক উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

প্রকাশিত : ০৪:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটের চুক্তিনামা অনুযায়ী বৈধ দোকানঘর জোরপূর্বক উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ওষুধ ব্যবসায়ীরা। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রেসক্লাবের সামনে তারা এই কর্মসূচী পালন করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বস্তরের ওষুধ ব্যবসায়ীবৃন্দদের আয়োজিত এই মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতাকর্মীরাসহ জেলার সকল ওষুধ ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মাওলানা কুতুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং মহিলা কলেজ মার্কেটের ব্যবসায়ী নূর আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী খোকন খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ সানাউল হক ভূইয়া ও সহ সভাপতি এইচ. এম. মুরাদ প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে ব্যবসায়ীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে হাসপাতাল সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে প্রদক্ষিণ করে।

বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটের দোকানগুলো বৈধ। মার্কেটের চুক্তিনামা মূলে দোকানগুলো বৈধ। ১৯৮৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দোকানগুলোর বিষয়ে প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার সাথে পৃথক পৃথক চুক্তি হয়। প্রত্যেক দোকানের বিপরীতে তৎকালীন সময়ে ২৮ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। আমরা দীর্ঘ প্রায় ৪২ বছর ধরে এখানে ওষুধের ব্যবসা করে আসছি। এই ব্যবসার মাধ্যমেই আমাদের সন্তানদের পড়াশোনা ও পরিবারের ভরণপোষণ চলে। আমরা নিয়মিত দোকানে ভাড়া পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু গত দুই মাস ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের ভাড়া নেয়া বন্ধ করে দেয়। আমরা তখন বিষয়টি বুঝতে পারিনি। কারণ কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রায় দুই মাস পরপর দোকানে ভাড়া নেয়। কিন্তু এবার ভাড়া বন্ধ করে দিয়ে হঠাৎ দোকান উচ্ছেদ হতে বলেছে। আমাদের চুক্তি অনুযায়ী অন্তত ছয় মাস পূর্বে আমাদের নোটিশ দিতে হবে। কিন্তু তারা সেটি না করেই আমাদের হঠাৎ উচ্ছেদের কথা বলছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিনা নোটিশে বৈধ দোকানঘর উচ্ছেদ করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের জীবিকার পথ বন্ধ করেছে। যা অমানবিক ও অবৈধ। বক্তারা অবিলম্বে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ন্যায়সঙ্গত সমাধানের দাবি জানান। অন্যথায় জেলার সকল ওষুধ ব্যবসায়ীগন তাদের ফামের্সী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহষ্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটের ভাড়াটিয়ারা কলেজের অধ্যক্ষকে বিবাদী করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে।

ডিএস./