চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে আজ ১৯ অক্টোবর (রবিবার) অনুষ্ঠিত সম্মিলিত মতবিনিময় সভায় গেট পাশ সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন নিয়ে বন্দর ব্যবহারকারী ও পরিবহন সংগঠনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ ও সমস্যার কথা উত্থাপন করা হয়।
সভায় কাস্টমস, টার্মিনাল অপারেটর, ডিপো মালিক সমিতি, শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ছাড়াও গাড়ির মালিক ও চালক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পরিবহন মালিক ও চালক প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, নতুনভাবে আরোপিত গেট পাশ ব্যবস্থার কারণে বাস্তবে গাড়ি প্রবেশে বিলম্ব, অপারেশনাল জট, অতিরিক্ত আর্থিক চাপ ও শ্রমঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বন্দর কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও রপ্তানি-আমদানি প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
বন্দর চেয়ারম্যান বৈঠকে উপস্থিত সবাইকে আশ্বস্ত করে জানান, গাড়ি মালিক ও শ্রমিকদের সুবিধার্থে গেট পাশ সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন স্থগিত করার প্রস্তাব বোর্ড সভার সিদ্ধান্তক্রমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে তাৎক্ষণিক কার্যকর নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, বন্দর ব্যবহারকারী ফোরাম ইতোমধ্যে ট্যারিফ ও অন্যান্য আরোপিত ফি পুনর্বিবেচনার অনুরোধে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে একটি পত্র প্রেরণ করেছে। যেহেতু বিষয়টি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে উত্থাপিত, ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনার ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন পদক্ষেপ নেবে।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন “চট্টগ্রাম বন্দরের সিদ্ধান্ত কখনও এককভাবে নয় এটি ব্যবসায়, বন্দর ব্যবহারকারী, সরকার ও শ্রমজীবী মানুষের সমন্বিত বাস্তবতার ওপর নির্ভরশীল। নতুন গেট পাশ নীতি সফলভাবে ও ব্যবসাবান্ধব কাঠামোয় পুনর্বিন্যাস করে তবেই বাস্তবায়ন করা হবে।”
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, চূড়ান্ত নির্দেশনা আসা পর্যন্ত বিদ্যমান গেট ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক কার্যক্রমে চলবে এবং কোনোক্রমে পণ্য ডেলিভারি বা গাড়ি প্রবেশ/বহির্গমনে যেন অপ্রয়োজনীয় বিঘ্ন না ঘটে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটকে অবহিত করা হয়েছে।
ডিএস./