০৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

মহাসড়কের দু’পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় সবজি চাষ করে লাভবান কৃষক

চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের দু’পাশে পতিত অনাবাদী জায়গায় সবজির আবাদ করে ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক। সাতকানিয়া মৌলভীর দোকান থেকে ঠাকুর দিঘির অংশে বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা সড়কের দু’পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় অন্তত ৫ একর জায়গায় সবজি চাষ করেছেন, এসব পতিত জায়গায় চাষ করা হয়েছে মিষ্টি কুমড়া, লাউ,কাঁকরোল ,শিম, পেঁপে ,ঢেঁড়স বরবটি, আদা , হলুদ সহ বিভিন্ন জাতের সবজি।

সরেজমিনে দেখা যায়,মহাসড়ক এবং গ্রামীণ রাস্তার দু’পাশে কৃষকরা মাচা দিয়ে লাউ ও শিমের আবাদ করেছেন। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় কলা ও পেঁপের গাছ লাগিয়েছেন। জমিতে চাষাবাদের পাশাপাশি বাড়তি ফসল উৎপাদনের জন্য রাস্তার ধারে ক্ষেতে নিয়মিত পরিচর্যা করছেন।

কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় স্থানীয়রা এ সবজি চাষ করে যেমন নিজেরা খেতে পারছেন, তেমনি বাজারে বিক্রি ও করতে পারছেন। আগামীতে দেশের সবজি চাহিদা মেটাতে রাস্তার দু’পাশে আরো যেসব খালি জায়গায় রয়েছে সেখানে ও সবজি চাষ করা হবে বলে জানান কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কৃষক জালাল আহমেদ জানান, প্রায় তিন কাণির মতো রাস্তার ধারে মাচা দিয়ে বিভিন্ন সবজি আবাদ করে লাভবান হয়েছেন তিনি। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে এ সবজি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন হয়েছে। তাই প্রতি বছরই রাস্তার পাশে সবজি আবাদ করেন ,তিনি মিঠা দিঘির রাস্তার দু’পাশে মিষ্টি কুমড়া,লাউ, ঢেঁড়স, বরবটি,শিম, এবং আদা চাষ করেছেন।এ মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের সবজি বিক্রি করে লাভবান হয়েছে বলে জানান তিনি।

কৃষক মোঃ নুরুন্নবী বলেন, তিনি সড়কের পাশে বরবটি ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন ,গত ২ বছর ধরে এখানে চাষ করছেন তিনি , ফলন ভালো হয়েছে, নিজের পরিবার খাওয়ার পর বাজারে বিক্রি ও করছেন। তিনি বলেন আমরা গরিব মানুষ চাষাবাদ করে খায় ,উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার পেয়েছি, তবে কৃষি অফিস থেকে আরো বেশি প্রণোদনা পেলে চাষাবাদ একটু বেশি করতে পারতাম।

এ বিষয়ে ছদাহা খোর্দ্দ কেওচিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইয়ুব আলী বলেন,গত দুই বছর আগে মাচা ফসল মিষ্টি কুমড়া আবাদের মাধ্যমে মহাসড়কের দু’পাশে পতিত জায়গায় কৃষক জালাল আহমেদ এর মাধ্যমে প্রথম বারের মত চাষ শুরু করা হয়। বর্তমানে ঠাকুর দিঘির সাতকানিয়া সীমানা থেকে হাসমতের দোকান পর্যন্ত ১৪ জন কৃষক বেগুন,লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স,বরবটি শিম ,পেঁপে, হলুদ,আদা সহ বিভিন্ন সবজির চাষ করা হচ্ছে, এবং পরিত্যক্ত জায়গায় ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদের সবজির বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।তবে কৃষকদের আরো বেশি প্রণোদনার আওতায় আনা গেলে কৃষক চাষাবাদে আরো বেশি উৎসাহিত হতো।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, জমি অনাবাদি না রেখে চাষাবাদের আওতায় আনতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। মহাসড়ক এবং গ্রামীণ রাস্তার দুপাশে,বসতবাড়ির আশপাশে প্রচুর জায়গা অনাবাদি ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ,এ গুলো চাষাবাদের আওতায় আনতে পারলে কৃষকদের পারিবারিক সবজি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি ফসল বিক্রি করে কিছুটা আয় ও করতে পারবে ,এছাড়া জাতীয় উৎপাদন ও বৃদ্ধি পাবে,এ সব জায়গা আবাদের আওতায় আনার জন্য কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি নাগরিকের উপর ছিনতাইকারীর বর্বর হামলা ,দুই ছিনতাইকারী আটক

মহাসড়কের দু’পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় সবজি চাষ করে লাভবান কৃষক

প্রকাশিত : ০৫:০৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের দু’পাশে পতিত অনাবাদী জায়গায় সবজির আবাদ করে ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক। সাতকানিয়া মৌলভীর দোকান থেকে ঠাকুর দিঘির অংশে বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা সড়কের দু’পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় অন্তত ৫ একর জায়গায় সবজি চাষ করেছেন, এসব পতিত জায়গায় চাষ করা হয়েছে মিষ্টি কুমড়া, লাউ,কাঁকরোল ,শিম, পেঁপে ,ঢেঁড়স বরবটি, আদা , হলুদ সহ বিভিন্ন জাতের সবজি।

সরেজমিনে দেখা যায়,মহাসড়ক এবং গ্রামীণ রাস্তার দু’পাশে কৃষকরা মাচা দিয়ে লাউ ও শিমের আবাদ করেছেন। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় কলা ও পেঁপের গাছ লাগিয়েছেন। জমিতে চাষাবাদের পাশাপাশি বাড়তি ফসল উৎপাদনের জন্য রাস্তার ধারে ক্ষেতে নিয়মিত পরিচর্যা করছেন।

কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় স্থানীয়রা এ সবজি চাষ করে যেমন নিজেরা খেতে পারছেন, তেমনি বাজারে বিক্রি ও করতে পারছেন। আগামীতে দেশের সবজি চাহিদা মেটাতে রাস্তার দু’পাশে আরো যেসব খালি জায়গায় রয়েছে সেখানে ও সবজি চাষ করা হবে বলে জানান কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কৃষক জালাল আহমেদ জানান, প্রায় তিন কাণির মতো রাস্তার ধারে মাচা দিয়ে বিভিন্ন সবজি আবাদ করে লাভবান হয়েছেন তিনি। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে এ সবজি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন হয়েছে। তাই প্রতি বছরই রাস্তার পাশে সবজি আবাদ করেন ,তিনি মিঠা দিঘির রাস্তার দু’পাশে মিষ্টি কুমড়া,লাউ, ঢেঁড়স, বরবটি,শিম, এবং আদা চাষ করেছেন।এ মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের সবজি বিক্রি করে লাভবান হয়েছে বলে জানান তিনি।

কৃষক মোঃ নুরুন্নবী বলেন, তিনি সড়কের পাশে বরবটি ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন ,গত ২ বছর ধরে এখানে চাষ করছেন তিনি , ফলন ভালো হয়েছে, নিজের পরিবার খাওয়ার পর বাজারে বিক্রি ও করছেন। তিনি বলেন আমরা গরিব মানুষ চাষাবাদ করে খায় ,উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার পেয়েছি, তবে কৃষি অফিস থেকে আরো বেশি প্রণোদনা পেলে চাষাবাদ একটু বেশি করতে পারতাম।

এ বিষয়ে ছদাহা খোর্দ্দ কেওচিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইয়ুব আলী বলেন,গত দুই বছর আগে মাচা ফসল মিষ্টি কুমড়া আবাদের মাধ্যমে মহাসড়কের দু’পাশে পতিত জায়গায় কৃষক জালাল আহমেদ এর মাধ্যমে প্রথম বারের মত চাষ শুরু করা হয়। বর্তমানে ঠাকুর দিঘির সাতকানিয়া সীমানা থেকে হাসমতের দোকান পর্যন্ত ১৪ জন কৃষক বেগুন,লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স,বরবটি শিম ,পেঁপে, হলুদ,আদা সহ বিভিন্ন সবজির চাষ করা হচ্ছে, এবং পরিত্যক্ত জায়গায় ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদের সবজির বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।তবে কৃষকদের আরো বেশি প্রণোদনার আওতায় আনা গেলে কৃষক চাষাবাদে আরো বেশি উৎসাহিত হতো।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, জমি অনাবাদি না রেখে চাষাবাদের আওতায় আনতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। মহাসড়ক এবং গ্রামীণ রাস্তার দুপাশে,বসতবাড়ির আশপাশে প্রচুর জায়গা অনাবাদি ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ,এ গুলো চাষাবাদের আওতায় আনতে পারলে কৃষকদের পারিবারিক সবজি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি ফসল বিক্রি করে কিছুটা আয় ও করতে পারবে ,এছাড়া জাতীয় উৎপাদন ও বৃদ্ধি পাবে,এ সব জায়গা আবাদের আওতায় আনার জন্য কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

ডিএস./