নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীতে জবাই করে হত্যা করে অপর এক শিক্ষার্থী। এঘটনায় ঘাতক শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (১৮) কে পুলিশ আটক করেছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) মধ্য রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড বাট্রা গ্রামের মাখযানুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় শিক্ষার্থী নাজিম (১৪) কে জবাই করে হত্যা করা হয়। সে উপজেলার ৩ নং চাষিরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ ওবাইদ হোসেন ছেলে। ঘাতক শিক্ষার্থী ময়মনসিংহ জেলার দোবাউড়া থানা টেংড়াপাড়া গ্রামের কলের বাড়ী রুস্তম আলীর ছেলে। তারা উভয় মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার আবাশীক বিভাগের এই দুই শিক্ষার্থীর মধ্য বিভিন্ন সময়ে বিবাদ চলে আসছিল। রবিবার মধ্যরাতে ঘাতক আবু সাঈদ প্রথমে সিসি টিভির তার কেটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। রাত ২ টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় নাজিমকে গলা কেটে হত্যা করে। সোনাইমুড়ী থানার এএসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন নিহত নাজিমের গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে অপর আরেক শিক্ষার্থীর ঘুম ভেঙ্গে গেলে ঘটনা দেখে চিৎকার দিলে ঘুমন্ত সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এসে ঘাতক আবু সাঈদকে আটক করে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে আব সাঈদ পুলিশকে হত্যাকন্ডের কথা স্বীকার করে বলেন, নিহত নাজিমের সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল। সে পুর্বপরিকল্পনামতে শনিবার সোনাইমুড়ী বাজার থেকে একটি চুরি কিনে লুকিয়ে রাখে। সুবিধাজনক সময়ে সে ঘুমন্ত নাজিমকে গলা কেটে হত্যা করে।
সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এইআই) সুভাষ চন্দ্রপাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশের সুরত হাল তৈরে করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো এবং ঘাতককে নোয়াখালী চিপজুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেটের আদালতে পাঠানোর প্রকৃয়া চলছে।
সোনাইমুড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ডিএস./




















