টাঙ্গাইলে র্যাবের পৃথক অভিযানে তিন হাজার ৯৫০ পিস ইয়াবাসহ এক নারী মাদককারবারি ও ডাকাতির ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব ১৪ এর ৩ নং কোম্পানী কম্পান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাহাকোদিয়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিন দর্জির মেয়ে মর্জিনা বেগম ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মাদাপুর গ্রামের ভাদু মন্ডলের ছেলে মো. সামাদ মন্ডল।
কোম্পানী কম্পান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন সংবাদ সম্মেলন জানান, একজন মাদক ব্যবসায়ী টাঙ্গাইল সদর এলাকা থেকে সিএনজি যোগে ইয়াবা নিয়ে টাঙ্গাইল নাগরপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে দেলদুয়ারের মোহাম্মদপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার উপর তল্লাশী চৌকি স্থাপন করে যানবাহন তল্লাশী করাকালে সিগনাল দিয়ে সিএনজি থামানো হয়। সিএনজি তল্লাশীকালে মর্জিনা বেগমের কাছ থেকে তিন হাজার ৯৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, স্মার্ট ফোন, নগদ টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ মাদক দ্রব্যের বাজার মূল্য ১১ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা। পরে দেলদুয়ার থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশের কাছে মর্জিনাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ দিকে বুধবার রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ডাকাতি মামলার আসামী মো. সামাদ মন্ডলকে মির্জাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, বাদি মোক্তার হোসেন (৪৮) কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে মোক্তার নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন ভোর রাতে আসামিগণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বাদীর বসতবাড়ির বাউন্ডারির টিনের বেড়া কেটে বাড়ীর ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করে বাদি ও তার পরিবারের লোকজকে মারপিট শুরু করে এবং গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে পরিবারের সকল সদস্যদের মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, নগদ তিন লক্ষ টাকা এবং পালিত গরু, ছাগল, মুরগি লুণ্ঠন করে আনুমানিক ৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ২৭ সেপ্টেম্বর মোক্তার মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডিএস./




















