০৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

নরসিংদীতে র‍্যাবের অভিযান; বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ৮

“নরসিংদীর রায়পুরায় র‌্যাব-১১ এর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১নভেম্বর) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চরাঞ্চল শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

র‍্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানান, বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলার এই শৃঙ্খলা নিয়ে র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সমাজের, জাতির দুষ্কৃতকারী, চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে জনগণের আস্থা অর্জনে সফল হয়েছে। নরসিংদীর রায়পুরার সাধারণ এলাকা ও সাম্প্রতিক সময়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়শই বিভিন্ন প্রভাবশালী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চানপুর এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় মো. আলমগীর (৫০) নিহত হন এবং ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে রায়পুরা উপজেলার আলোকবালি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মো. আলমগীর (৪০) নিহত হন। এই ধরনের ঘটনাগুলো মূলত দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটে। উপরোক্ত ঘটনায় রায়পুরার সাধারণ এলাকায় চার অঞ্চলে বিভক্ত সহিংসতাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজমান রয়েছে এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই ধরনের ঘটনায় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করলে প্রায়ই এক পক্ষ অন্য পক্ষের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। মূলত এই ধরনের চিরাচরিত সাম্প্রদায়িক একটি সামাজিক অবক্ষয়ের ফলাফল।

এই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জের একটি টহল দল নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ ভোর আনুমানিক ০৫:০০ ঘটিকার সময় নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানাধীন সায়দাবাদ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ০২ টি বিদেশি পিস্তল, ০২ টি ম্যাগাজিন, ০৫ টি বিদেশি গুলি, ০১ টি শ্যুটগান, ০১ টি ম্যাগাজিন, ০৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধারসহ ০৮ জনকে অস্ত্রসহ সামাজিকভাবে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. শফিক মিয়া (৩২) পিতা– মৃত হাজী আব্দুল মিয়া, ২। জালাল হোসেন (৩৫) পিতা– মৃত দুলাল মিয়া, ৩। আলামিন (৩৮) পিতা– মৃত মাহমুদুল হাসান, ৪। মহিউদ্দিন মিয়া (২২) পিতা– আব্দুল জলিল মিয়া, ৫। জাহিদুল হাসান (২৪) পিতা– আজিজ মিয়া, ৬। আল আমিন মিয়া (৩০) পিতা– মৃত আব্দুল মিয়া, ৭। রাকিব মিয়া (৪০) পিতা– মৃত খলিলুর রহমান, সবার স্থায়ী ঠিকানা– রায়পুরা উপজেলার সায়দাবাদ। তাদের মধ্যে মো. শফিক মিয়া (৩২) এর নামে ১টি হত্যা মামলা, মো. আলমগীর (৪০) এর নামে ১টি হত্যা মামলা, মো. খলিলুর রহমান (৩৮) এর নামে ১টি হত্যা মামলা এবং বাকি মিয়া (৩৫) এর নামে ১টি হত্যা মামলা ও ১টি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা রায়পুরার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে এই বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত করে রেখেছিল। গ্রেফতারকৃত আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

ডিএস./

ট্যাগ :

টাঙ্গাইলে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি

নরসিংদীতে র‍্যাবের অভিযান; বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ৮

প্রকাশিত : ০৪:২৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

“নরসিংদীর রায়পুরায় র‌্যাব-১১ এর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১নভেম্বর) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চরাঞ্চল শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

র‍্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানান, বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলার এই শৃঙ্খলা নিয়ে র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সমাজের, জাতির দুষ্কৃতকারী, চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে জনগণের আস্থা অর্জনে সফল হয়েছে। নরসিংদীর রায়পুরার সাধারণ এলাকা ও সাম্প্রতিক সময়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়শই বিভিন্ন প্রভাবশালী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চানপুর এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় মো. আলমগীর (৫০) নিহত হন এবং ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে রায়পুরা উপজেলার আলোকবালি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মো. আলমগীর (৪০) নিহত হন। এই ধরনের ঘটনাগুলো মূলত দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটে। উপরোক্ত ঘটনায় রায়পুরার সাধারণ এলাকায় চার অঞ্চলে বিভক্ত সহিংসতাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজমান রয়েছে এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই ধরনের ঘটনায় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করলে প্রায়ই এক পক্ষ অন্য পক্ষের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। মূলত এই ধরনের চিরাচরিত সাম্প্রদায়িক একটি সামাজিক অবক্ষয়ের ফলাফল।

এই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জের একটি টহল দল নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ ভোর আনুমানিক ০৫:০০ ঘটিকার সময় নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানাধীন সায়দাবাদ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ০২ টি বিদেশি পিস্তল, ০২ টি ম্যাগাজিন, ০৫ টি বিদেশি গুলি, ০১ টি শ্যুটগান, ০১ টি ম্যাগাজিন, ০৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধারসহ ০৮ জনকে অস্ত্রসহ সামাজিকভাবে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. শফিক মিয়া (৩২) পিতা– মৃত হাজী আব্দুল মিয়া, ২। জালাল হোসেন (৩৫) পিতা– মৃত দুলাল মিয়া, ৩। আলামিন (৩৮) পিতা– মৃত মাহমুদুল হাসান, ৪। মহিউদ্দিন মিয়া (২২) পিতা– আব্দুল জলিল মিয়া, ৫। জাহিদুল হাসান (২৪) পিতা– আজিজ মিয়া, ৬। আল আমিন মিয়া (৩০) পিতা– মৃত আব্দুল মিয়া, ৭। রাকিব মিয়া (৪০) পিতা– মৃত খলিলুর রহমান, সবার স্থায়ী ঠিকানা– রায়পুরা উপজেলার সায়দাবাদ। তাদের মধ্যে মো. শফিক মিয়া (৩২) এর নামে ১টি হত্যা মামলা, মো. আলমগীর (৪০) এর নামে ১টি হত্যা মামলা, মো. খলিলুর রহমান (৩৮) এর নামে ১টি হত্যা মামলা এবং বাকি মিয়া (৩৫) এর নামে ১টি হত্যা মামলা ও ১টি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা রায়পুরার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে এই বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত করে রেখেছিল। গ্রেফতারকৃত আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

ডিএস./