১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

বদলগাছিতে প্রধান শিক্ষকের যোগদানকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৫-৭

নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার বেগুন জোয়ার হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের যোগদানকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত ৫-৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিঠু হোসেন ২০২৩ সালে এক নারী শিক্ষিকা পাপিয়ার সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাটির পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানান।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎকালীন বদলগাছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল্পনা ইয়াসমিন এবং নওগাঁর এডিসি (শিক্ষা) জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। পরে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ম্যানেজিং কমিটি ওই প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার করে।

পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে রিট আবেদন করে পুনর্বহালের আদেশ পান। আদালতের নির্দেশ অনুসারে বুধবার সকালে তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককে এলোপাতাড়ি মারধর করে।

তার পক্ষে উপস্থিত কিছু ব্যক্তি এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ এতে জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে বদলগাছি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বদলগাছি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)।

ওসি আরও বলেন, “ঘটনাস্থলে আমি সহ থানার একাধিক টিম উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন আর সেখানে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার মত পরিস্থিতি নেই, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আপত্তিকর ভিডিও কেলেঙ্কারির পর থেকে বেগুন জোয়ার হাই স্কুলে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের টানাপোড়েন ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের ইতিহাস রয়েছে। দুই বছর পর পুনরায় ওই শিক্ষক যোগদান করতে গেলে আবারও পুরনো ক্ষোভ ও উত্তেজনা প্রকাশ পায়।

ডিএস./

ট্যাগ :

সিসি ক্যামেরা থাকা ভোটকেন্দ্র নিয়ে ইসির নির্দেশনা

বদলগাছিতে প্রধান শিক্ষকের যোগদানকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৫-৭

প্রকাশিত : ০২:৩৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার বেগুন জোয়ার হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের যোগদানকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত ৫-৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিঠু হোসেন ২০২৩ সালে এক নারী শিক্ষিকা পাপিয়ার সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাটির পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানান।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎকালীন বদলগাছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল্পনা ইয়াসমিন এবং নওগাঁর এডিসি (শিক্ষা) জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। পরে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ম্যানেজিং কমিটি ওই প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার করে।

পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে রিট আবেদন করে পুনর্বহালের আদেশ পান। আদালতের নির্দেশ অনুসারে বুধবার সকালে তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককে এলোপাতাড়ি মারধর করে।

তার পক্ষে উপস্থিত কিছু ব্যক্তি এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ এতে জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে বদলগাছি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বদলগাছি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)।

ওসি আরও বলেন, “ঘটনাস্থলে আমি সহ থানার একাধিক টিম উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন আর সেখানে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার মত পরিস্থিতি নেই, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আপত্তিকর ভিডিও কেলেঙ্কারির পর থেকে বেগুন জোয়ার হাই স্কুলে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের টানাপোড়েন ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের ইতিহাস রয়েছে। দুই বছর পর পুনরায় ওই শিক্ষক যোগদান করতে গেলে আবারও পুরনো ক্ষোভ ও উত্তেজনা প্রকাশ পায়।

ডিএস./