০৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা নিধন

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসাবমতে মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বর্তমানে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাস করছে মাত্র ১৬ শতাংশ। বাকি ৮৪ শতাংশ রোহিঙ্গাই নির্যাতনের শিকার হয়ে রাখাইন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী হয়েছেন।

১৯৭০ সালের পর রোহিঙ্গারা প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় শুরু করেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মতে, ১৯৭০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১১ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ভারত এবং গালফ ও এশিয়া প্যাসিফিক দেশগুলোতে শরণার্থী হয়েছে। ইউরোপিয়ান কমিশন এক রিপোর্টে বলেছে, ২০১৭ সালের শুরুর দিকেও রাখাইনে আনুমানিক ৮ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমের বসবাস ছিল।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার সেনার অভিযানের পর থেকে সংঘাতে ৫ লাখ এক হাজার রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ধারণা, আর মাত্র ৩ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রাণ বাঁচাতে ১৬ লাখের মতো রোহিঙ্গা প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। আর এসব তথ্যের ভিত্তিতে এটা স্পষ্ট যে, ১৯৭০ সাল থেকে ৮৪ শতাংশের (প্রায় ১৯ লাখ) কাছাকাছি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়েছে। সাম্প্রতিক সংঘাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উগ্র বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা নির্বিচারে রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষদের হত্যা করে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইনে ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। আর প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদী পাড়ি দিতে গিয়ে নারী-শিশুসহ দেড় শতাধিক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেন, রাখাইনে সহিংসতা রোহিঙ্গাদের খুব দ্রুতই বিশ্বের বড় উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীতে পরিণত করেছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

রোহিঙ্গা নিধন

প্রকাশিত : ০৪:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০১৭

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসাবমতে মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বর্তমানে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাস করছে মাত্র ১৬ শতাংশ। বাকি ৮৪ শতাংশ রোহিঙ্গাই নির্যাতনের শিকার হয়ে রাখাইন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী হয়েছেন।

১৯৭০ সালের পর রোহিঙ্গারা প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় শুরু করেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মতে, ১৯৭০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১১ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ভারত এবং গালফ ও এশিয়া প্যাসিফিক দেশগুলোতে শরণার্থী হয়েছে। ইউরোপিয়ান কমিশন এক রিপোর্টে বলেছে, ২০১৭ সালের শুরুর দিকেও রাখাইনে আনুমানিক ৮ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমের বসবাস ছিল।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার সেনার অভিযানের পর থেকে সংঘাতে ৫ লাখ এক হাজার রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ধারণা, আর মাত্র ৩ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রাণ বাঁচাতে ১৬ লাখের মতো রোহিঙ্গা প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। আর এসব তথ্যের ভিত্তিতে এটা স্পষ্ট যে, ১৯৭০ সাল থেকে ৮৪ শতাংশের (প্রায় ১৯ লাখ) কাছাকাছি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়েছে। সাম্প্রতিক সংঘাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উগ্র বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা নির্বিচারে রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষদের হত্যা করে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইনে ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। আর প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদী পাড়ি দিতে গিয়ে নারী-শিশুসহ দেড় শতাধিক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেন, রাখাইনে সহিংসতা রোহিঙ্গাদের খুব দ্রুতই বিশ্বের বড় উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীতে পরিণত করেছে।