কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসাবে চীনের দুই শেয়ারবাজার শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়াম সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) ট্রেকহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। যাশেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে এবংতার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বিজনেস আওয়ারকে বলেন, কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের অর্থ ডিএসইর ট্রেকহোল্ডাররা পাবেন। আর তারা যেহেতু শেয়ার ব্যবসায়ী, সেহেতু তারা স্বাভাবিকভাবেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবেন বলে ধারনা করা যায়। যা শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বিজনেস আওয়ারকে বলেন, সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) কৌশলগত বিনিয়োগকারী চীনা কনসোর্টিয়াম থেকে প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা ডিএসইতে এসেছে। যারমধ্যে ডিএসইর প্রত্যেক ট্রেকহোল্ডার প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা পাবেন।
তিনি বলেন, আমরা ট্রেকহোল্ডাররা দীর্ঘদিন ধরে শেয়ার ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছি। এই ব্যবসায় আমাদের আয়ের উৎস। তাই স্বাভাবিকভাবেই ট্রোকহোল্ডাররা যখন টাকা পাবে, তারা সেই অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে। তবে অনেকেই হয়তো কৌশলগত বিনিয়োগকারী থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনও মেটাবেন। তারপরেও কৌশলগত বিনিয়োগকারী থেকে প্রাপ্ত অর্থের অন্তত্বপক্ষে ৫০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হবে বলে ধারনা করা যায়। যাতে শেয়ারবাজারে তারল্য বাড়বে এবং ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জানা গেছে, চীনের কনসোর্টিয়াম ডিএসইর প্রতিটি শেয়ারের দাম দিতে চায় ২২ টাকা। তবে শর্তানুযায়ি, ডিএসইর শেয়ারহোল্ডাররা এরইমধ্যে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ নেওয়ায়, সমপরিমাণ দর কমে এসেছে। এক্ষেত্রে চীনা কনসোর্টিয়াম ডিএসইর ১৮০ কোটি শেয়ারের ২৫ শতাংশ বা ৪৫ কোটি শেয়ারের জন্য প্রতিটি ২১ টাকা দরে ৯৪৭ কোটি টাকা দেবে।
অন্যদিকে চীনা কনসোর্টিয়াম ডিএসইর কারিগরি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা (৩৭ মিলিয়ন ডলার) ব্যয় করবে। যাতে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হতে মোট ১ হাজার ২৪৫ কোটিরও বেশি টাকা পাবে ডিএসই।

























