নিজস্ব প্রতিবেদক 
দুই কার্যদিবস উত্থানের পর আবার পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের। বৃহস্পতিবার উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে হাত বদল হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ ডিএসইতে ৮২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন থেকে ডিএসইতে আজ লেনদেন ২ কোটি টাকা বেশি হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮২৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪৬৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৫৫ ও ১৯০১ পয়েন্টে।
এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৮টি কোম্পানির মধ্যে ৮২টি বা ২৪.২৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ২২২টি বা ৬৫.৬৮ শতাংশ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টি বা ১০.০৫ শতাংশ কোম্পানির।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ারের। এ দিন কোম্পানির ৮৭ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইফাদ অটোসের ৬০ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে একটিভ ফাইন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- বিবিএস কেবলস, শাশা ডেনিমস, আমান ফিড, ইউনাইটেড পাওয়ার, ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল হাউজিং এবং কনফিডেন্স সিমেন্ট।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৩৯ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির দর। সিএসইতে আজ মোট ৩৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
