০৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

পশ্চিমাবিশ্বের পরবর্তী টার্গেট কী চীন

  • সোহেল রানা
  • প্রকাশিত : ০৫:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০
  • 76

২০০৩ সালে মুসলিম প্রধান দেশ ইরাকে ব্যাপক মানবতা বিধ্বংসী অস্ত্রের মজুত রয়েছে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব। তখন দেশটিকে ধ্বংসাবসে পরিণত করা হয় দেশটিকে। শুধু ইরাকই নয় আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, ফিলিস্তিনের মতো মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। করোনা ভাইরাস মহামারির পর ইসলাম মুক্ত হতে পারবে কী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের এই অন্যায় শত্রুতা থেকে মুক্ত হতে?

রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। নেই চিরস্থায়ী শত্রু বা বন্ধু বলতেও কিছু। এটা শুধু আমাদের দেশীয় রাজনীতির জন্যেই সত্য নয়। বিশ্ব রাজনীতির জন্যেও সত্য। সত্য বলেই কথা উঠেছে করোনা মহামারি কেটে গেলে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন করে শত্রু মিত্র গড়ে উঠবে কিনা । এখন পর্যন্ত ইসলামকেই শত্রু হিসেবে ধরে রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। বিশ্বের নানা প্রান্তে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে তারা। বিশ্ব রাজনীতির ধারাভাষ্যকারেরা মনে করছেন করোনা ভাইরাস পরবর্তী ইসলাম নয় পশ্চিমা রাজনীতির প্রধান শত্রু হবে চীন। কিন্তু কেন?

এই কেন এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের ঘুরে আসতে হবে আজ থেকে সিকি শতাব্দী আগে। যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়েছিল, থেমে গিয়েছিল আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়নের শীতল যুদ্ধ। যখন মানুষ শান্তি প্রিয় একটা পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। ঠিক তখনই মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক স্যামুয়েল পিটার হান্টিংটন তার বিতর্কিত ক্লাশ এ্যান্ড সিভিলাইযেশন তত্ত্ব সামনে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি তাঁর এই তত্ত্বে আভাষ দেন এক যুদ্ধের। যে যুদ্ধ হবে ইসলাম ও পাশ্চাত্যের মধ্যে। তিনি বলেন, এই দুই পক্ষের মধ্যে কখনো আপোষ হওয়া সম্ভব নয়। ইসলামের সাথে অনেক যুদ্ধ হয়েছে, আরো হবে।

তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের মতো পশ্চিমা রাজনীতিবিদরেরা তাঁর এই তত্ত্বকে মাথায় তুলে নেন। যার ফল হিসেবে মুসলিম দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হামলার শিকার হয়ে আসছে বারংবার।

ব্রিটেনের প্রখ্যাত দ্যা টেলিগ্রাফ পত্রিকার প্রধান কলামিস্ট প্রিটার ওবেরন সাম্প্রতি তঁার এক কলামে বলেছেন, করোনা পরবর্তীকালে বদলে যাবে বিশ্ব রাজনীতির গতি প্রকৃতি। তখন ইসলাম নয়, চীনই হবে পাশ্চাত্য জগতের প্রধান শত্রু। তিনি আশা ব্যক্ত করেন , করোনা মহামারি কেটে গেলে পশ্চিমা বিশ্বে মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। কেননা করোনা মহামারী কালীন বিশেষ করে ব্রিটেনে মুসলিমদের ত্যাগ এতো স্পষ্ট ও মহৎ যে তা জনগণের মনোভাব পরিবর্তনে সহায়ক হবে। করোনা ভাইরাসে ব্রিটেনে নিহত প্রথম তিনজন ডাক্টারই ছিলেন মুসলিম। দ্বিতীয় আরেকটি কারণ হলো হলো শত্রু। যুদ্ধ যাদের কাছে খেলা তাদের তো সবসময় একজন শত্রু লাগেই। আমার মনে হয় তারা সেই শত্রুর সন্ধান পেয়ে গেছে। সেক্ষেত্র তাদের সর্বশেষ টার্গেট হলো চীন ।পশ্চিমা বিশ্ব এখন চীনকে চিহ্নিত করছে প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকে চীন কে আক্রমণ করে আসছিলেন। যেভাবে তার উত্তর পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ বুশ আজ থেকে ২০ বছর আগে ইরাককে শয়তানের চক্র হিসেবে অবিহিত করেছিলেন, তেমনি ডোনাল্ড ট্রাম্পও ২০১৬ সালে তার নির্বাচনি প্রচারণায় বলেছিলেন, মার্কিন অর্থনীতিকে ক্রমাগত ধর্ষণ করে চলেছে চীন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চীনের সাথে তীক্ততা আরো বাড়ান তিনি। চীনের সাথে বাঁধিয়ে দেন বাণিজ্য যুদ্ধ। করোনা মহামারীতে চীনের প্রতি ট্রামের আক্রমণের গতি ও মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে । শুরুতেই তিনি করোনা ভাইরাসকে উহান ভাইরাস বলে উল্লেখ করেন। চীনের প্রতি অভিযোগ তোলেন চীন শুরু থেকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সঠিকভাবে প্রকাশ করেনি।এমনকি গত এপ্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় তহবিল বন্ধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প, সংগঠনিটে অতি চীন ঘেঁষা উল্লেখ করে।

ব্রিটেনের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ডোমেনিক র‍্যাব কিছুদিন আগে আরো চমকপদ তথ্য দিয়েছেন। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন করোনা উত্তরকালে চীনের সাথে আমাদের সম্পূর্ক আর আগের মতো থাকবেনা। এ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।

মুসলিম বিরোধী প্রোপাগান্ডায় একসময় সর্বশক্তি নিয়োগ করা পাশ্চাত্য মিডিয়াগুলোকেও ইদানিং চীন বিরোধী প্রোপাগান্ডায় দেখা যায়। ২০০৩ সালে ইরাকে মানবতা বিধ্বংসী অস্ত্রের মজুদ রয়েছে বলে যে পত্রিকা খবর প্রকাশ করেছিল সেই পত্রিকা দ্যা সার্ন সাম্প্রতি উল্লেখ করেছে করোনা ভাইরাস চীনই উদ্ভাবন করেছে। তারা প্রমাণ করতে চেয়েছে প্রাণঘাতী রোগের লড়াইয়ে তারা আমেরিকানদের থেকে শ্রেষ্ঠ ।

করোনা ভাইরাস মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমা বিশ্বই। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত,মৃতের সংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশই পশ্চিমা বিশ্বের। একক দেশ হিসেবে শুধু মাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮৫ হাজার, আক্রান্তের সংখ্যাও তের লক্ষাধিক। দেশটিতে ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য – সেবাখাত সহ অর্থনৈতিক কাঠামো। বেকার হয়েছে পড়েছে দেশটিই লক্ষাধিক মানুষ। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমাগত চীন বিরেধীতা ও মিডিয়ার প্রচারণা চীন বিরোধী জনমত গঠনে সহায়ক হবে। সেক্ষেত্রে চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ সম্মুখ যুদ্ধে মোড় নিবে কিনা সেটা সময়ই বলে দিবে।

 

লেখকঃ শিক্ষার্থী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি নাগরিকের উপর ছিনতাইকারীর বর্বর হামলা ,দুই ছিনতাইকারী আটক

পশ্চিমাবিশ্বের পরবর্তী টার্গেট কী চীন

প্রকাশিত : ০৫:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০

২০০৩ সালে মুসলিম প্রধান দেশ ইরাকে ব্যাপক মানবতা বিধ্বংসী অস্ত্রের মজুত রয়েছে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব। তখন দেশটিকে ধ্বংসাবসে পরিণত করা হয় দেশটিকে। শুধু ইরাকই নয় আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, ফিলিস্তিনের মতো মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। করোনা ভাইরাস মহামারির পর ইসলাম মুক্ত হতে পারবে কী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের এই অন্যায় শত্রুতা থেকে মুক্ত হতে?

রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। নেই চিরস্থায়ী শত্রু বা বন্ধু বলতেও কিছু। এটা শুধু আমাদের দেশীয় রাজনীতির জন্যেই সত্য নয়। বিশ্ব রাজনীতির জন্যেও সত্য। সত্য বলেই কথা উঠেছে করোনা মহামারি কেটে গেলে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন করে শত্রু মিত্র গড়ে উঠবে কিনা । এখন পর্যন্ত ইসলামকেই শত্রু হিসেবে ধরে রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। বিশ্বের নানা প্রান্তে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে তারা। বিশ্ব রাজনীতির ধারাভাষ্যকারেরা মনে করছেন করোনা ভাইরাস পরবর্তী ইসলাম নয় পশ্চিমা রাজনীতির প্রধান শত্রু হবে চীন। কিন্তু কেন?

এই কেন এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের ঘুরে আসতে হবে আজ থেকে সিকি শতাব্দী আগে। যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়েছিল, থেমে গিয়েছিল আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়নের শীতল যুদ্ধ। যখন মানুষ শান্তি প্রিয় একটা পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। ঠিক তখনই মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক স্যামুয়েল পিটার হান্টিংটন তার বিতর্কিত ক্লাশ এ্যান্ড সিভিলাইযেশন তত্ত্ব সামনে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি তাঁর এই তত্ত্বে আভাষ দেন এক যুদ্ধের। যে যুদ্ধ হবে ইসলাম ও পাশ্চাত্যের মধ্যে। তিনি বলেন, এই দুই পক্ষের মধ্যে কখনো আপোষ হওয়া সম্ভব নয়। ইসলামের সাথে অনেক যুদ্ধ হয়েছে, আরো হবে।

তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের মতো পশ্চিমা রাজনীতিবিদরেরা তাঁর এই তত্ত্বকে মাথায় তুলে নেন। যার ফল হিসেবে মুসলিম দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হামলার শিকার হয়ে আসছে বারংবার।

ব্রিটেনের প্রখ্যাত দ্যা টেলিগ্রাফ পত্রিকার প্রধান কলামিস্ট প্রিটার ওবেরন সাম্প্রতি তঁার এক কলামে বলেছেন, করোনা পরবর্তীকালে বদলে যাবে বিশ্ব রাজনীতির গতি প্রকৃতি। তখন ইসলাম নয়, চীনই হবে পাশ্চাত্য জগতের প্রধান শত্রু। তিনি আশা ব্যক্ত করেন , করোনা মহামারি কেটে গেলে পশ্চিমা বিশ্বে মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। কেননা করোনা মহামারী কালীন বিশেষ করে ব্রিটেনে মুসলিমদের ত্যাগ এতো স্পষ্ট ও মহৎ যে তা জনগণের মনোভাব পরিবর্তনে সহায়ক হবে। করোনা ভাইরাসে ব্রিটেনে নিহত প্রথম তিনজন ডাক্টারই ছিলেন মুসলিম। দ্বিতীয় আরেকটি কারণ হলো হলো শত্রু। যুদ্ধ যাদের কাছে খেলা তাদের তো সবসময় একজন শত্রু লাগেই। আমার মনে হয় তারা সেই শত্রুর সন্ধান পেয়ে গেছে। সেক্ষেত্র তাদের সর্বশেষ টার্গেট হলো চীন ।পশ্চিমা বিশ্ব এখন চীনকে চিহ্নিত করছে প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকে চীন কে আক্রমণ করে আসছিলেন। যেভাবে তার উত্তর পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ বুশ আজ থেকে ২০ বছর আগে ইরাককে শয়তানের চক্র হিসেবে অবিহিত করেছিলেন, তেমনি ডোনাল্ড ট্রাম্পও ২০১৬ সালে তার নির্বাচনি প্রচারণায় বলেছিলেন, মার্কিন অর্থনীতিকে ক্রমাগত ধর্ষণ করে চলেছে চীন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চীনের সাথে তীক্ততা আরো বাড়ান তিনি। চীনের সাথে বাঁধিয়ে দেন বাণিজ্য যুদ্ধ। করোনা মহামারীতে চীনের প্রতি ট্রামের আক্রমণের গতি ও মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে । শুরুতেই তিনি করোনা ভাইরাসকে উহান ভাইরাস বলে উল্লেখ করেন। চীনের প্রতি অভিযোগ তোলেন চীন শুরু থেকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সঠিকভাবে প্রকাশ করেনি।এমনকি গত এপ্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় তহবিল বন্ধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প, সংগঠনিটে অতি চীন ঘেঁষা উল্লেখ করে।

ব্রিটেনের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ডোমেনিক র‍্যাব কিছুদিন আগে আরো চমকপদ তথ্য দিয়েছেন। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন করোনা উত্তরকালে চীনের সাথে আমাদের সম্পূর্ক আর আগের মতো থাকবেনা। এ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।

মুসলিম বিরোধী প্রোপাগান্ডায় একসময় সর্বশক্তি নিয়োগ করা পাশ্চাত্য মিডিয়াগুলোকেও ইদানিং চীন বিরোধী প্রোপাগান্ডায় দেখা যায়। ২০০৩ সালে ইরাকে মানবতা বিধ্বংসী অস্ত্রের মজুদ রয়েছে বলে যে পত্রিকা খবর প্রকাশ করেছিল সেই পত্রিকা দ্যা সার্ন সাম্প্রতি উল্লেখ করেছে করোনা ভাইরাস চীনই উদ্ভাবন করেছে। তারা প্রমাণ করতে চেয়েছে প্রাণঘাতী রোগের লড়াইয়ে তারা আমেরিকানদের থেকে শ্রেষ্ঠ ।

করোনা ভাইরাস মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমা বিশ্বই। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত,মৃতের সংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশই পশ্চিমা বিশ্বের। একক দেশ হিসেবে শুধু মাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮৫ হাজার, আক্রান্তের সংখ্যাও তের লক্ষাধিক। দেশটিতে ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য – সেবাখাত সহ অর্থনৈতিক কাঠামো। বেকার হয়েছে পড়েছে দেশটিই লক্ষাধিক মানুষ। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমাগত চীন বিরেধীতা ও মিডিয়ার প্রচারণা চীন বিরোধী জনমত গঠনে সহায়ক হবে। সেক্ষেত্রে চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ সম্মুখ যুদ্ধে মোড় নিবে কিনা সেটা সময়ই বলে দিবে।

 

লেখকঃ শিক্ষার্থী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়