০১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

রাঙ্গামাটিতে উনত্রিশ হাজার দুস্থ ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার পাচ্ছে সলিডারিটি ত্রাণ

মহামারী কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে রাঙ্গামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্গত জনগোষ্ঠীর ২৯০০০ (উনত্রিশ হাজার) পরিবার পাচ্ছে সলিডারিটি প্যাক(ত্রাণ)। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে সলিডারিটি প্যাক বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়ে ২৫ আগষ্ট ২০২০ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি সলিডারিটি প্যাকের মধ্যে রয়েছে- চাল ১৫কেজি, ডাল ২কেজি, লবণ ১কেজি, সয়াবিন তেল ১লিটার, পিয়াজ ১কেজি, আলু ৫কেজি, সাবান ২টি, সবজি বীজ ৭ প্যাকেট, মাস্ক ৪ পিস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২টি করে পোস্টার।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই ২০২০) সকালে রাঙ্গামাটির ওয়াগ্যা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপি এর প্রকল্পসমূহের তহবিল ও ইউএনডিপির নিজস্ব তহবিল হতে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে করোনা ভাইরাস জনিত মহামারীর কারণে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের মধ্যে ৪৮৭ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণের মাঝে সলিডারিটি প্যাক(ত্রাণ) বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়াগ্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চিরঞ্জীব তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ রাসেল,এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপি-র ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রসেনজিৎ চাকমা ও জেলা ব্যবস্থাপক ঐশ্বর্য চাকমা।

অনুষ্ঠানে সরকারি ত্রাণের মুখাপেক্ষী না থেকে নিজস্ব খালী জায়গায় সবজি, ফলজ ও বনজ চারা রোপণ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। তিনি বলেন, বনায়ন করলে পাহাড় যেমন আবার আগের জীবন ফিরে পাবে তেমনি প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা পাবে। শুকনা মৌসুমে পানির অভাব থাকবেনা।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ইউএনডিপির এ ত্রাণ বিদেশী দাতা গোষ্ঠির হলেও বাংলাদেশ সরকারের সাথে চুক্তি করে কোভিড-১৯ মোকাবেলার জন্য পার্বত্য তিন জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জেলা পরিষদের তত্বাবধানে বিতরণ করার দায়িত্ব দেয়। তিনি উপস্থিত সকলকে জুম চাষে, জমিতে কাজ করার সময়, হাট বাজারে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।

বিজনেস বাংলাদেশ / বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

রাঙ্গামাটিতে উনত্রিশ হাজার দুস্থ ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার পাচ্ছে সলিডারিটি ত্রাণ

প্রকাশিত : ০৫:৩২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

মহামারী কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে রাঙ্গামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্গত জনগোষ্ঠীর ২৯০০০ (উনত্রিশ হাজার) পরিবার পাচ্ছে সলিডারিটি প্যাক(ত্রাণ)। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে সলিডারিটি প্যাক বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়ে ২৫ আগষ্ট ২০২০ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি সলিডারিটি প্যাকের মধ্যে রয়েছে- চাল ১৫কেজি, ডাল ২কেজি, লবণ ১কেজি, সয়াবিন তেল ১লিটার, পিয়াজ ১কেজি, আলু ৫কেজি, সাবান ২টি, সবজি বীজ ৭ প্যাকেট, মাস্ক ৪ পিস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২টি করে পোস্টার।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই ২০২০) সকালে রাঙ্গামাটির ওয়াগ্যা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপি এর প্রকল্পসমূহের তহবিল ও ইউএনডিপির নিজস্ব তহবিল হতে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে করোনা ভাইরাস জনিত মহামারীর কারণে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের মধ্যে ৪৮৭ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণের মাঝে সলিডারিটি প্যাক(ত্রাণ) বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়াগ্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চিরঞ্জীব তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ রাসেল,এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপি-র ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রসেনজিৎ চাকমা ও জেলা ব্যবস্থাপক ঐশ্বর্য চাকমা।

অনুষ্ঠানে সরকারি ত্রাণের মুখাপেক্ষী না থেকে নিজস্ব খালী জায়গায় সবজি, ফলজ ও বনজ চারা রোপণ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। তিনি বলেন, বনায়ন করলে পাহাড় যেমন আবার আগের জীবন ফিরে পাবে তেমনি প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা পাবে। শুকনা মৌসুমে পানির অভাব থাকবেনা।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ইউএনডিপির এ ত্রাণ বিদেশী দাতা গোষ্ঠির হলেও বাংলাদেশ সরকারের সাথে চুক্তি করে কোভিড-১৯ মোকাবেলার জন্য পার্বত্য তিন জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জেলা পরিষদের তত্বাবধানে বিতরণ করার দায়িত্ব দেয়। তিনি উপস্থিত সকলকে জুম চাষে, জমিতে কাজ করার সময়, হাট বাজারে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।

বিজনেস বাংলাদেশ / বিএইচ