১০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গরুচোর সন্দেহে মা-মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরুচোর সন্দেহে এক রশিতে বেঁধে নির্যাতনের পর মা-মেয়েকে স্থানীয় জনতা ও ইউপি চেয়ারম্যান পুলিশে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুরে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি শুক্রবার ঘটলেও পরে রশিতে বাঁধা অবস্থায় মা-মেয়েকে ওই এলাকায় ঘোরানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ পায়।

তবে চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার এলাকার স্থানীয় জনতা নারীসহ পাঁচ গরুচোরকে হাতেনাতে আটক করে। পরে আমার কার্যালয়ে নিয়ে আসে। তখন আমি এলাকায় ছিলাম না। আমাকে আমার এলাকার লোকজন ফোন করলে আমি চকরিয়া থানার পুলিশকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করি। তখন পুলিশ আমার কার্যালয়ে এসে তাদের নিয়ে যায়। তাদের আমি কোনোভাবে নির্যাতন করিনি। তাদের সঙ্গে আমার দেখাও হয়নি।’

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, ‘নারীসহ গরুচোর সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্যকে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে স্থানীয় জনতা আটকের খবরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সে সময় দুই নারী ও তিন পুরুষ সদস্যকে স্থানীয় ইউপি কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। তাদের প্রথমে চকরিয়া হাসপাতাল ও পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে মা-মেয়েসহ চার জনের বাড়ি পটিয়ার শান্তির হাটে। অপরজনের বাড়ি পেকুয়া উপজেলার লালব্রিজ এলাকায়।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

গরুচোর সন্দেহে মা-মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত : ০৫:১৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরুচোর সন্দেহে এক রশিতে বেঁধে নির্যাতনের পর মা-মেয়েকে স্থানীয় জনতা ও ইউপি চেয়ারম্যান পুলিশে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুরে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি শুক্রবার ঘটলেও পরে রশিতে বাঁধা অবস্থায় মা-মেয়েকে ওই এলাকায় ঘোরানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ পায়।

তবে চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার এলাকার স্থানীয় জনতা নারীসহ পাঁচ গরুচোরকে হাতেনাতে আটক করে। পরে আমার কার্যালয়ে নিয়ে আসে। তখন আমি এলাকায় ছিলাম না। আমাকে আমার এলাকার লোকজন ফোন করলে আমি চকরিয়া থানার পুলিশকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করি। তখন পুলিশ আমার কার্যালয়ে এসে তাদের নিয়ে যায়। তাদের আমি কোনোভাবে নির্যাতন করিনি। তাদের সঙ্গে আমার দেখাও হয়নি।’

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, ‘নারীসহ গরুচোর সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্যকে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে স্থানীয় জনতা আটকের খবরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সে সময় দুই নারী ও তিন পুরুষ সদস্যকে স্থানীয় ইউপি কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। তাদের প্রথমে চকরিয়া হাসপাতাল ও পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে মা-মেয়েসহ চার জনের বাড়ি পটিয়ার শান্তির হাটে। অপরজনের বাড়ি পেকুয়া উপজেলার লালব্রিজ এলাকায়।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর