০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাকা আদায়ে সমঝোতার পথে বিটিআরসি

গ্রামীণফোন ও রবির কাছে পাওনা আরো প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায়ে সমঝোতার পথে হাঁটছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। সমঝোতা হলে আদালতে চলমান মামলা প্রত্যাহারে আবেদন জানানো হবে। তবে তার আগে আলোচনা ও আইনি প্রক্রিয়া চলবে একই সঙ্গে। আলোচনায় বসতে প্রতিনিধি চেয়ে ইতোমধ্যে দুই অপারেটরকে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি গ্রামীণফোন। তবে কোন প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে, তা স্পষ্ট জানতে চেয়ে পাল্টা চিঠি দিয়েছে আরেক অপারেটর রবি।

নিরীক্ষা অনুযায়ী, গ্রামীণফোন ও রবির কাছে ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা দাবি করে আসছে বিটিআরসি। তবে এই নিরীক্ষা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন তুলে আসছে দুই অপারেটর। আপত্তি থাকলেও এরই মধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশে দুই কিস্তিতে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে গ্রামীণফোন। পাঁচ কিস্তিতে ১৩৮ কোটি টাকা দিয়েছে রবি। যদিও নিরীক্ষা বিরোধ নিষ্পত্তিতে চলছে আইনি প্রক্রিয়া।

আইনি প্রক্রিয়ায় বিপুল এ অর্থ আদায় জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তাই আলোচনায় বসে সমাধান খুঁজতে দুজন প্রতিনিধি চেয়ে সম্প্রতি গ্রামীণফোন ও রবিকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সমঝোতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হচ্ছে এনবিআরকেও। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি গ্রামীণফোন। তবে রবি বলছে, তাদের ৮৬৭ কোটি টাকার মধ্যে ভ্যাটবাবদ এনবিআরের পাওনা প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা। এই অর্থ পরিশোধ করতে চায় তারা। তবে দিতে হবে ভ্যাট চালান। এ প্রস্তাবে এনবিআর রাজি নয় বলে দাবি করেছে রবি।

রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম বলেন, আমরা চিঠিটা পেয়েছি, সেখানে শুধু একজন কমিটির সদস্যকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আদালতের প্রক্রিয়ার বাইরে এসে এটি যদি মীমাংসা করা হয় বা আলোচনা করা, সেটা কীভাবে সমাপ্ত করা হবে সেই প্রক্রিয়া জানতে চেয়ে আমরা পাল্টা চিঠি দিয়েছি।

তবে, নিরীক্ষায় কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করে হলেও সমঝোতায় আগ্রহী বিটিআরসি।

বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মিত্র বলেন, যদি আমাদের কোথাও ভুল ভ্রান্তি হয় তারা যদি দেখিয়ে দিতে পারে আর সেটি যদি আইনানুগ হয় অবশ্যই সেটি বিবেচনায় নেওয়া হবে। ব্যাটে বলে যদি মিলে যায় তাহলে আদালতকে আমরা উভয় গিয়ে মামলা নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করব।

পাওনা আদায় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় ২০১৯ সালের আগস্টে আদালতে আলাদা মামলা করেছে রবি ও গ্রামীণফোন।

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

টাকা আদায়ে সমঝোতার পথে বিটিআরসি

প্রকাশিত : ১২:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

গ্রামীণফোন ও রবির কাছে পাওনা আরো প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায়ে সমঝোতার পথে হাঁটছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। সমঝোতা হলে আদালতে চলমান মামলা প্রত্যাহারে আবেদন জানানো হবে। তবে তার আগে আলোচনা ও আইনি প্রক্রিয়া চলবে একই সঙ্গে। আলোচনায় বসতে প্রতিনিধি চেয়ে ইতোমধ্যে দুই অপারেটরকে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি গ্রামীণফোন। তবে কোন প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে, তা স্পষ্ট জানতে চেয়ে পাল্টা চিঠি দিয়েছে আরেক অপারেটর রবি।

নিরীক্ষা অনুযায়ী, গ্রামীণফোন ও রবির কাছে ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা দাবি করে আসছে বিটিআরসি। তবে এই নিরীক্ষা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন তুলে আসছে দুই অপারেটর। আপত্তি থাকলেও এরই মধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশে দুই কিস্তিতে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে গ্রামীণফোন। পাঁচ কিস্তিতে ১৩৮ কোটি টাকা দিয়েছে রবি। যদিও নিরীক্ষা বিরোধ নিষ্পত্তিতে চলছে আইনি প্রক্রিয়া।

আইনি প্রক্রিয়ায় বিপুল এ অর্থ আদায় জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তাই আলোচনায় বসে সমাধান খুঁজতে দুজন প্রতিনিধি চেয়ে সম্প্রতি গ্রামীণফোন ও রবিকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সমঝোতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হচ্ছে এনবিআরকেও। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি গ্রামীণফোন। তবে রবি বলছে, তাদের ৮৬৭ কোটি টাকার মধ্যে ভ্যাটবাবদ এনবিআরের পাওনা প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা। এই অর্থ পরিশোধ করতে চায় তারা। তবে দিতে হবে ভ্যাট চালান। এ প্রস্তাবে এনবিআর রাজি নয় বলে দাবি করেছে রবি।

রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম বলেন, আমরা চিঠিটা পেয়েছি, সেখানে শুধু একজন কমিটির সদস্যকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আদালতের প্রক্রিয়ার বাইরে এসে এটি যদি মীমাংসা করা হয় বা আলোচনা করা, সেটা কীভাবে সমাপ্ত করা হবে সেই প্রক্রিয়া জানতে চেয়ে আমরা পাল্টা চিঠি দিয়েছি।

তবে, নিরীক্ষায় কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করে হলেও সমঝোতায় আগ্রহী বিটিআরসি।

বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মিত্র বলেন, যদি আমাদের কোথাও ভুল ভ্রান্তি হয় তারা যদি দেখিয়ে দিতে পারে আর সেটি যদি আইনানুগ হয় অবশ্যই সেটি বিবেচনায় নেওয়া হবে। ব্যাটে বলে যদি মিলে যায় তাহলে আদালতকে আমরা উভয় গিয়ে মামলা নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করব।

পাওনা আদায় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় ২০১৯ সালের আগস্টে আদালতে আলাদা মামলা করেছে রবি ও গ্রামীণফোন।