০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

করোনায় সংসদে রেকর্ড

করোনা মহামারিতে রেকর্ডের বছর পার করলো জাতীয় সংসদ। দেশের ইতিহাসে সংক্ষিপ্ততম অধিবেশন, সংক্ষিপ্ততম বাজেট অধিবেশন এবং সংসদীয় কমিটিগুলোর সবচেয়ে কম সংখ্যক বৈঠক হয়েছে ২০২০ সালে।

করোনা সংক্রমণ এবং এ সংক্রান্ত কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বছরজুড়ে আলোচিত ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মহামারিকালে এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিও ছিল চুপচাপ। সংক্রমণের শুরুর দিকে ২৪ মার্চ একটি বৈঠক করেছিল। এরপর ৩০ ডিসেম্বর ও সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারি বৈঠক করে এ কমিটি।

এদিকে প্রতিমাসে একটি করে বৈঠক করার কথা থাকলেও ২০২০ সালে একটিও বৈঠক করেনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৈঠক করেনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও। অবশ্য এ বছরের ১২ জানুয়ারি একটি বৈঠক করেছে তারা।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সংসদের প্রথম বৈঠক বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। এ হিসাবে একাদশ সংসদের দুই বছর পূর্ণ হলো আজ।

এক বছরে সংসদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় বছরের প্রথম অধিবেশন। ৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া অধিবেশনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২৮ কার্যদিবস বসেছিল ওই অধিবেশন।

এরপর মার্চ থেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু হওয়ায় আর স্বাভাবিকভাবে বসেনি সংসদ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মার্চে বিশেষ অধিবেশন আহবান করা হলেও তা স্থগিত হয়। তবে সাংবাধিানিক বাধ্যবাধকতায় ১৮ এপ্রিল বসে দেশের ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম অধিবেশন। দেড় ঘণ্টারও কম সময়ের ওই অধিবেশনে প্রথম দিনের রুটিন কার্যক্রম হয় শুধু।

এরপর ১০ জুন বসে সংক্ষিপ্ততম বাজেট অধিবেশন। বিরতি দিয়ে চলা ৯ কার্যদিবসের ওই অধিবেশন শেষ হয় ৯ জুলাই। বাজেটের ওপর আলোচনাও হয় সবচেয়ে কম।

এরপর ৮ নভেম্বর বসে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক নিয়ে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংসদ সদস্যরাও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে অধিবেশনে একটি সাধারণ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

১০ কার্যদিবসের ওই অধিবেশন শেষ হয় ১৯ নভেম্বর। সব মিলিয়ে ২০২০ সালে সংসদ অধিবেশনে ছিল ৪৮ কার্যদিবস। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬১। অব্শ্য বৈঠক কম হলেও ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে আইন পাস হয় বেশি। ২০১৯ সালে যেখানে ১২টি আইন পাস হয় সেখানে ২০২০-এ পাস হয় ২৭টি আইন।

করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের প্রবেশ নিয়েও কড়াকড়ি আরোপ হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব রেখে বসার কারণে তালিকা করে আইনপ্রণেতাদের সংসদে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়।

কড়াকড়ি ছিল সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও। শুধু বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি ছিল।

চোখে পড়েনি বৈঠক

সংসদীয় কমিটিগুলোর তৎপরতা বছরজুড়ে বেশ কম ছিল। জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ দুটি বৈঠক করে ১০টি সংসদীয় কমিটি। প্রসঙ্গত অতীতের রেকর্ড ভেঙে একাদশ জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরুর ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৫০টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ৫০টি কমিটির মধ্যে ৩৯টি কমিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত। অন্য কমিটিগুলো বিষয়ভিত্তিক।

২০২০ সালে এসব কমিটির কোনওটিই নিয়মিত বৈঠক করতে পারেনি। মার্চ ও এপ্রিলেও কোনও বৈঠক হয়নি। মে’তে কেবল বৈঠক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এরপর বাকিগুলো বৈঠক শুরু করে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি সর্বোচ্চ ৯টি করে বৈঠক করেছে।

সংসদীয় রাজনীতির গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষক নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার কারণে সংসদের অনেক কার্যক্রমই ঠিকমতো হতে পারেনি। তবে সংসদীয় কমিটিগুলো চাইলে এই সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারতো।

নিজাম উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘কমিটিকে মিনি পার্লামেন্টও বলা হয়। সংসদের ভেতের যদি সেরকম কাজ থাকে তবে তার প্রভাব কমিটিতেও পড়ে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কমিটিগুলোর কাজের আগ্রহ কম।’

সংসদ সচিবালয়ের রেকর্ড থেকে জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র একটি করে বৈঠক করেছে শিল্প ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এই সময়ে মাত্র দুটি করে বৈঠক করেছে অর্থ, খাদ্য, স্থানীয় সরকার, সমাজকল্যাণ, পরিকল্পনা, তথ্য, স্বাস্থ্য এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

তিনটি করে বৈঠক করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, বাণিজ্য, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। চারটি করে বৈঠক করেছে কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শ্রম ও কর্মসংস্থান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, প্রতিরক্ষা, যুব ও ক্রীড়া, ভূমি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

পাঁচটি করে বৈঠক করেছে স্বরাষ্ট্র, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, রেলপথ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ছয়টি করেছে আইন, সংস্কৃতি, পানি সম্পদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

সাতটি করে বৈঠক করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কমিটি না হলেও এ বছর সবচেয়ে বেশি বৈঠক করেছে সরকারি হিসাব কমিটি। সাংবিধানিক এই কমিটি বৈঠক করে ১৬টি। একই দিনে দুটি বৈঠক করার রেকর্ডও আছে এ কমিটির।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কমিটির মধ্যে নয়টি করে বৈঠক করেছে মহিলা ও শিশু এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বৈঠক করেছে সাতটি।

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

করোনায় সংসদে রেকর্ড

প্রকাশিত : ১২:০০:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

করোনা মহামারিতে রেকর্ডের বছর পার করলো জাতীয় সংসদ। দেশের ইতিহাসে সংক্ষিপ্ততম অধিবেশন, সংক্ষিপ্ততম বাজেট অধিবেশন এবং সংসদীয় কমিটিগুলোর সবচেয়ে কম সংখ্যক বৈঠক হয়েছে ২০২০ সালে।

করোনা সংক্রমণ এবং এ সংক্রান্ত কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বছরজুড়ে আলোচিত ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মহামারিকালে এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিও ছিল চুপচাপ। সংক্রমণের শুরুর দিকে ২৪ মার্চ একটি বৈঠক করেছিল। এরপর ৩০ ডিসেম্বর ও সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারি বৈঠক করে এ কমিটি।

এদিকে প্রতিমাসে একটি করে বৈঠক করার কথা থাকলেও ২০২০ সালে একটিও বৈঠক করেনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৈঠক করেনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও। অবশ্য এ বছরের ১২ জানুয়ারি একটি বৈঠক করেছে তারা।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সংসদের প্রথম বৈঠক বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। এ হিসাবে একাদশ সংসদের দুই বছর পূর্ণ হলো আজ।

এক বছরে সংসদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় বছরের প্রথম অধিবেশন। ৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া অধিবেশনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২৮ কার্যদিবস বসেছিল ওই অধিবেশন।

এরপর মার্চ থেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু হওয়ায় আর স্বাভাবিকভাবে বসেনি সংসদ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মার্চে বিশেষ অধিবেশন আহবান করা হলেও তা স্থগিত হয়। তবে সাংবাধিানিক বাধ্যবাধকতায় ১৮ এপ্রিল বসে দেশের ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম অধিবেশন। দেড় ঘণ্টারও কম সময়ের ওই অধিবেশনে প্রথম দিনের রুটিন কার্যক্রম হয় শুধু।

এরপর ১০ জুন বসে সংক্ষিপ্ততম বাজেট অধিবেশন। বিরতি দিয়ে চলা ৯ কার্যদিবসের ওই অধিবেশন শেষ হয় ৯ জুলাই। বাজেটের ওপর আলোচনাও হয় সবচেয়ে কম।

এরপর ৮ নভেম্বর বসে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক নিয়ে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংসদ সদস্যরাও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে অধিবেশনে একটি সাধারণ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

১০ কার্যদিবসের ওই অধিবেশন শেষ হয় ১৯ নভেম্বর। সব মিলিয়ে ২০২০ সালে সংসদ অধিবেশনে ছিল ৪৮ কার্যদিবস। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬১। অব্শ্য বৈঠক কম হলেও ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে আইন পাস হয় বেশি। ২০১৯ সালে যেখানে ১২টি আইন পাস হয় সেখানে ২০২০-এ পাস হয় ২৭টি আইন।

করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের প্রবেশ নিয়েও কড়াকড়ি আরোপ হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব রেখে বসার কারণে তালিকা করে আইনপ্রণেতাদের সংসদে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়।

কড়াকড়ি ছিল সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও। শুধু বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি ছিল।

চোখে পড়েনি বৈঠক

সংসদীয় কমিটিগুলোর তৎপরতা বছরজুড়ে বেশ কম ছিল। জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ দুটি বৈঠক করে ১০টি সংসদীয় কমিটি। প্রসঙ্গত অতীতের রেকর্ড ভেঙে একাদশ জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরুর ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৫০টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ৫০টি কমিটির মধ্যে ৩৯টি কমিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত। অন্য কমিটিগুলো বিষয়ভিত্তিক।

২০২০ সালে এসব কমিটির কোনওটিই নিয়মিত বৈঠক করতে পারেনি। মার্চ ও এপ্রিলেও কোনও বৈঠক হয়নি। মে’তে কেবল বৈঠক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এরপর বাকিগুলো বৈঠক শুরু করে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি সর্বোচ্চ ৯টি করে বৈঠক করেছে।

সংসদীয় রাজনীতির গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষক নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার কারণে সংসদের অনেক কার্যক্রমই ঠিকমতো হতে পারেনি। তবে সংসদীয় কমিটিগুলো চাইলে এই সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারতো।

নিজাম উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘কমিটিকে মিনি পার্লামেন্টও বলা হয়। সংসদের ভেতের যদি সেরকম কাজ থাকে তবে তার প্রভাব কমিটিতেও পড়ে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কমিটিগুলোর কাজের আগ্রহ কম।’

সংসদ সচিবালয়ের রেকর্ড থেকে জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র একটি করে বৈঠক করেছে শিল্প ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এই সময়ে মাত্র দুটি করে বৈঠক করেছে অর্থ, খাদ্য, স্থানীয় সরকার, সমাজকল্যাণ, পরিকল্পনা, তথ্য, স্বাস্থ্য এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

তিনটি করে বৈঠক করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, বাণিজ্য, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। চারটি করে বৈঠক করেছে কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শ্রম ও কর্মসংস্থান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, প্রতিরক্ষা, যুব ও ক্রীড়া, ভূমি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

পাঁচটি করে বৈঠক করেছে স্বরাষ্ট্র, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, রেলপথ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ছয়টি করেছে আইন, সংস্কৃতি, পানি সম্পদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

সাতটি করে বৈঠক করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কমিটি না হলেও এ বছর সবচেয়ে বেশি বৈঠক করেছে সরকারি হিসাব কমিটি। সাংবিধানিক এই কমিটি বৈঠক করে ১৬টি। একই দিনে দুটি বৈঠক করার রেকর্ডও আছে এ কমিটির।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কমিটির মধ্যে নয়টি করে বৈঠক করেছে মহিলা ও শিশু এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বৈঠক করেছে সাতটি।