০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশেই পূরণ হচ্ছে শতভাগ চাহিদা

স্মার্টফোনের চাহিদার প্রায় শতভাগ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। পাশাপাশি ফিচার ফোনের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ মেটাতে পারছে দেশি কারখানাগুলো। দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সংযোজন কারখানাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরেই দেশে হ্যান্ডসেটের চাহিদার শতভাগ মেটাতে স¶ম হবে এ খাত। ২০১৭ সালে দেশে হ্যান্ডসেট সংযোজন শুরু হওয়ার আগে চাহিদার পুরোটাই আমদানি করা হত। বর্তমানে সেটের বদলে যন্ত্রাংশ আমদানি করে কারখানাগুলোতে সেগুলো সংযোজন করে সেট তৈরি করা হচ্ছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি জানিয়েছে, গত দেড় বছরে দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ। এর মধ্যে গত ৬ মাসে প্রায় এক কোটি ৮৮ লাখ হ্যান্ডসেট তৈরি হয়েছে। এছাড়া গত দেড় বছরে দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ। তার মধ্যে গত ৬ মাসে আমদানি হয়েছে মাত্র ১৮ লাখ হ্যান্ডসেট।
বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি হ্যান্ডসেটের বাজার রয়েছে। হ্যান্ডসেট আমদানিতে সব মিলিয়ে ৬০ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হয়। স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল টেলিফোন সেট উৎপাদনের ওপর মূসক অব্যাহতি এবং সংযোজন খাতে ৫ শতাংশ হারে মূসক রয়েছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে, বর্তমানে ১২টি প্রতিষ্ঠানের মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনের লাইসেন্স রয়েছে। এগুলো হল- ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স (স্যামসাং), বেস্ট টাইকুল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (ভিবো), গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন (লাভা), এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজ (সিম্ফনি), বেনলি ইলেকট্রনিক এন্টারপ্রাইজ (অপো), আলামিন অ্যান্ড ব্রাদার্স (৫ স্টার), কার্লকেয়ার টেকনোলজি বিডি লিমিটেড (আইটেল ও টেকনো), আনিরা ইন্টারন্যাশনাল (ইউনস্টার), বাংলাট্রিনিক টেকনোলজি (ডিটিসি), ওকে মোবাইল ও মাইসেল টেকনোলজি।
মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদশে মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ফিচার ও স্মার্টফোন নিয়ে ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে এক কোটি ১০ লাখের মতো স্মার্টফোনের চাহিদা রয়েছে, তা বর্তমানে পুরোটাই বাংলাদেশে তৈরি বা সংযোজন হচ্ছে। ফিচার ফোনের ৬০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশে তৈরি বা সংযোজন হচ্ছে। ফিচার ফোনের চাহিদার শতভাগ চলতি বছরের মধ্যে পূরণ হবে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, আরও কয়েকটি কোম্পানি দেশে কারখানা তৈরির বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাদের কারখানা স্থাপনে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল টেলিফোন সেট উৎপাদনের ওপর মূসক অব্যাহতি রয়েছে। এ কারখানাগুলো যাতে টিকে থাকতে পারে সেজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যাতে দেশে সংযোজন ও তৈরি করা যায় সে বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

দেশেই পূরণ হচ্ছে শতভাগ চাহিদা

প্রকাশিত : ১২:০১:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

স্মার্টফোনের চাহিদার প্রায় শতভাগ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। পাশাপাশি ফিচার ফোনের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ মেটাতে পারছে দেশি কারখানাগুলো। দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সংযোজন কারখানাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরেই দেশে হ্যান্ডসেটের চাহিদার শতভাগ মেটাতে স¶ম হবে এ খাত। ২০১৭ সালে দেশে হ্যান্ডসেট সংযোজন শুরু হওয়ার আগে চাহিদার পুরোটাই আমদানি করা হত। বর্তমানে সেটের বদলে যন্ত্রাংশ আমদানি করে কারখানাগুলোতে সেগুলো সংযোজন করে সেট তৈরি করা হচ্ছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি জানিয়েছে, গত দেড় বছরে দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ। এর মধ্যে গত ৬ মাসে প্রায় এক কোটি ৮৮ লাখ হ্যান্ডসেট তৈরি হয়েছে। এছাড়া গত দেড় বছরে দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ। তার মধ্যে গত ৬ মাসে আমদানি হয়েছে মাত্র ১৮ লাখ হ্যান্ডসেট।
বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি হ্যান্ডসেটের বাজার রয়েছে। হ্যান্ডসেট আমদানিতে সব মিলিয়ে ৬০ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হয়। স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল টেলিফোন সেট উৎপাদনের ওপর মূসক অব্যাহতি এবং সংযোজন খাতে ৫ শতাংশ হারে মূসক রয়েছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে, বর্তমানে ১২টি প্রতিষ্ঠানের মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনের লাইসেন্স রয়েছে। এগুলো হল- ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স (স্যামসাং), বেস্ট টাইকুল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (ভিবো), গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন (লাভা), এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজ (সিম্ফনি), বেনলি ইলেকট্রনিক এন্টারপ্রাইজ (অপো), আলামিন অ্যান্ড ব্রাদার্স (৫ স্টার), কার্লকেয়ার টেকনোলজি বিডি লিমিটেড (আইটেল ও টেকনো), আনিরা ইন্টারন্যাশনাল (ইউনস্টার), বাংলাট্রিনিক টেকনোলজি (ডিটিসি), ওকে মোবাইল ও মাইসেল টেকনোলজি।
মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদশে মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ফিচার ও স্মার্টফোন নিয়ে ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে এক কোটি ১০ লাখের মতো স্মার্টফোনের চাহিদা রয়েছে, তা বর্তমানে পুরোটাই বাংলাদেশে তৈরি বা সংযোজন হচ্ছে। ফিচার ফোনের ৬০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশে তৈরি বা সংযোজন হচ্ছে। ফিচার ফোনের চাহিদার শতভাগ চলতি বছরের মধ্যে পূরণ হবে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, আরও কয়েকটি কোম্পানি দেশে কারখানা তৈরির বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাদের কারখানা স্থাপনে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল টেলিফোন সেট উৎপাদনের ওপর মূসক অব্যাহতি রয়েছে। এ কারখানাগুলো যাতে টিকে থাকতে পারে সেজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যাতে দেশে সংযোজন ও তৈরি করা যায় সে বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।