ঘরের মাঠে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রেখেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স। বাংলাদেশ দলকে শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন প্রায় এক বছর টেস্ট না খেললেও ঘরে মাঠে বাংলাদেশ খুবই শক্তিশালী। চট্টগ্রাম টেস্ট সামনে রেখে গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স কথা বলেছেন বিভিন্ন প্রসঙ্গে….
ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুতি
ছেলেরা তিন দিনের ম্যাচে উইকেটে সময় কাটিয়েছে। যদিও উইকেট একদমই ভালো ছিল না। আমি বলতে পারছি না, টেস্ট ম্যাচের উইকেট এমনই হবে কি না। মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেট ছিল। ছেলেরা এমন উইকেটেই যে ব্যাটিং করেছে, তাতে আমি খুশি। তাদের উইকেটে সময় কাটাতে দেখে ভালো লেগেছে। এখানকার উইকেট বুঝতে হলে উইকেটে সময় কাটাতেই হবে।
স্পিন নিয়ে দোটানা
যারা দলে আছে, প্রত্যেকেই একাদশে জায়গা পাওয়ার যোগ্য। পেরমল ভালো বোলিং করেছে। বাকিদের মতো সেও কঠোর পরিশ্রম করেছে। আসলে সব স্পিনারই ভালো করেছে। দেখে ভালো লাগছে, সবাই এখানকার উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আর এই দল নির্বাচন নিয়ে এই মধুর সমস্যাটা ভালো। এটাই সব সময় চেয়ে এসেছি। শুধু স্পিনার নয়, ব্যাটসম্যান, ফাস্ট বোলার সবার মধ্যে এই প্রতিযোগিতা দেখতে চাই।
গতির কার্যকারিতা কতটা থাকবে
ফাস্ট বোলার ও মিডিয়াম পেসারদের দায়িত্ব সব সময়ই থাকবে। সবই নির্ভর করছে আসলে তারা কতটা এই কন্ডিশন বুঝতে পেরেছে তার ওপর এবং লাইন-লেংথ মানিয়ে নেওয়ার ওপর। কোন উইকেটে কীভাবে বল করতে হয়, সেটা বুঝতে হবে।
নতুন দায়িত্বে জোমেল
যদি সে দলে সুযোগ পায়, তাহলে যে দায়িত্ব তাকে দেওয়া হবে, সেটাই সে পালন করবে। সব বোলারকেই খেলার পরিস্থিতি বুঝে বল করতে হয়। অধিনায়ক যে অবস্থায় যা চায়, সেটা করার চেষ্টা করতে হয়। হয়তো তাকে উইকেট নিতে হতে পারে। আবার একই সঙ্গে রান থামিয়ে রাখার দায়িত্বও পালন করতে হতে পারে।
প্রায় এক বছর টেস্ট না খেললেও ঘরের মাঠে বাংলাদেশ খুবই শক্তিশালী
টেস্টে কোন দল এগিয়ে
করোনা-বিরতি শেষে আমরা এরই মধ্যে টেস্ট খেলেছি। কিন্তু এ কারণে যে আমরা এগিয়ে থাকব, তা নয়। যত যা-ই হোক, বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে, কারণ তারা ঘরের মাঠে খেলবে। প্রায় এক বছর টেস্ট না খেললেও ঘরের মাঠে বাংলাদেশ খুবই শক্তিশালী দল।
বাংলাদেশের দুর্বলতা
গত এক বছরে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেনি। এক বছর পর মাঠে নেমে শুরুতে হয়তো তাদের একটু জড়তা থাকবে। কিন্তু আমি নিশ্চিত, দ্রুতই সেটি কাটিয়ে উঠবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলতে পারলেও আপনি যদি ঠিকঠাক অনুশীলন করেন, জড়তা কেটে যায়। এটা সম্পূর্ণ মানসিক ব্যাপার। তারপরও যদি জড়তা বা এমন কিছু থেকে থাকে, তাহলে টেস্টের প্রথম দিনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেটে যাবে। তামিম ও সাকিবের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে তাদের অভিজ্ঞ একটি দল। এই দুর্বলতা হয়তো বেশিক্ষণ থাকবে না, কিন্তু আমাদের সেটির সুযোগ নিতে হবে।