০৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

২০ হাজার মানুষের ভরসা একটি বাঁশের সাকো

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় মহান স্বাধীনতার ৫০বছর কেটে গেলেও কেউ কথা রাখেনি! রতœাই নদীর উপর একটি পাকা সেতুর অভাবে ২ পাড়ের ১৫-২০ হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। একটি বাঁশের টারের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দ্রব্য সামগ্রী মাথায় করে প্রতিনিয়তই পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বাড়ীবনমালী গ্রামে রতœাই নদীর উপর ১৫-২০ হাজার মানুষ অস্থায়ী বাঁশের টার দিয়ে লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলা-সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। এদিকে রতœাই নদীর বাঁশের টারের দক্ষিণে বাড়ীবনমালী, চরবুদারু গ্রাম ও আলোকদিঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঁশুরীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। অপরদিকে রতœাই নদীর বাঁশের টারের উত্তরে চরখাটামারী, চর সোনাইকাজি, কোদালকাটি, বস্তিখাটামারী, ধনিরাম গ্রাম ও চরখাটামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরখাটামারী নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবস্থিত।
এ এলাকাগুলো কৃষি নির্ভর এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে ধান, পাট, ভুট্টা, আলু, শাক সবজিসহ নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। এ এলাকা শস্য ভান্ডার খ্যাত নামে পরিচিত । পাকা ব্রীজ না থাকায় এ এলাকায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কৃষক-সহ সাধারণ মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সর্বদা। বাঁশের টারের উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে ১৫-২০ হাজার মানুষ। নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা পাকা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কেউ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।
বাড়ীবনমালীর বিষ্ণু চন্দ্র বলেন, আমরা কুলাঘাটে যাওয়ার সময় অনেক কষ্ট করে যেতে হয়। গুনতে হয় বাড়তি টাকা। চরখাটামারী এলাকার সিএইচসিপি মিজানুর রহমান বলেন, এখানে সেতু হলে আমাদের কর্মস্থলে যেতে আধা ঘন্টা সময় বাচবে এবং অনেক সুবিধা হবে।
চরখাটামারীর একজন ছাত্র বলেন, আমাদের এই এলাকা থেকে বড়বাড়ি কলেজে যেতেও অনেক কষ্ট করতে হয়। স্থানীয় প্রতিনিধি আলীমুদ্দিন ভুইয়া বলেন, এখানে সেতু হলে দুই পাড়ের মানুষের অনেক উপকার হবে। উল্লেখ্য যে, ভোগান্তী লাঘবের জন্য এই বাড়ীবনমালী ও চরখাটামারী এলাকার মাঝখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

ট্যাগ :

৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে 

২০ হাজার মানুষের ভরসা একটি বাঁশের সাকো

প্রকাশিত : ১২:০১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় মহান স্বাধীনতার ৫০বছর কেটে গেলেও কেউ কথা রাখেনি! রতœাই নদীর উপর একটি পাকা সেতুর অভাবে ২ পাড়ের ১৫-২০ হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। একটি বাঁশের টারের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দ্রব্য সামগ্রী মাথায় করে প্রতিনিয়তই পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বাড়ীবনমালী গ্রামে রতœাই নদীর উপর ১৫-২০ হাজার মানুষ অস্থায়ী বাঁশের টার দিয়ে লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলা-সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। এদিকে রতœাই নদীর বাঁশের টারের দক্ষিণে বাড়ীবনমালী, চরবুদারু গ্রাম ও আলোকদিঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঁশুরীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। অপরদিকে রতœাই নদীর বাঁশের টারের উত্তরে চরখাটামারী, চর সোনাইকাজি, কোদালকাটি, বস্তিখাটামারী, ধনিরাম গ্রাম ও চরখাটামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরখাটামারী নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবস্থিত।
এ এলাকাগুলো কৃষি নির্ভর এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে ধান, পাট, ভুট্টা, আলু, শাক সবজিসহ নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। এ এলাকা শস্য ভান্ডার খ্যাত নামে পরিচিত । পাকা ব্রীজ না থাকায় এ এলাকায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কৃষক-সহ সাধারণ মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সর্বদা। বাঁশের টারের উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে ১৫-২০ হাজার মানুষ। নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা পাকা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কেউ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।
বাড়ীবনমালীর বিষ্ণু চন্দ্র বলেন, আমরা কুলাঘাটে যাওয়ার সময় অনেক কষ্ট করে যেতে হয়। গুনতে হয় বাড়তি টাকা। চরখাটামারী এলাকার সিএইচসিপি মিজানুর রহমান বলেন, এখানে সেতু হলে আমাদের কর্মস্থলে যেতে আধা ঘন্টা সময় বাচবে এবং অনেক সুবিধা হবে।
চরখাটামারীর একজন ছাত্র বলেন, আমাদের এই এলাকা থেকে বড়বাড়ি কলেজে যেতেও অনেক কষ্ট করতে হয়। স্থানীয় প্রতিনিধি আলীমুদ্দিন ভুইয়া বলেন, এখানে সেতু হলে দুই পাড়ের মানুষের অনেক উপকার হবে। উল্লেখ্য যে, ভোগান্তী লাঘবের জন্য এই বাড়ীবনমালী ও চরখাটামারী এলাকার মাঝখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।