১২:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাঘাটার আলাই-বাঙালি নদী আপন স্বকীয়তা হারাতে বসেছে

গাইবান্ধার সাঘাটা সহ তিন উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে আলাই-বাঙালি নদী। এক সময়ের খরস্রোতা এই আলাই নদী এখন খালে পরিনত হয়েছে। বছরের প্রায় অধিকাংশ সময়ই পানি থাকতো। নৌ চলাচল ছিলো অবাধ। জেলা উপজেলার অধিকাংশ মানুষের ব্যবসা-বানিজ¦্য ও যাতায়াতে চিরচেনা নদীর দুই কুলে ছিলো প্রাণোচ্ছাস। এখন আর সেই দিন নেই। কালের পরিক্রমায় সেই নদী আপন স¦কীয়তা হারিয়ে এখন মৌসুম ভিত্তিক ফসলের মাঠে পরিনত হয়েছে।

জেলার তিস্তামুখ নদীর অববাহিকা থেকে বাদিয়াখালীর উপর দিয়ে পদুমশহর, ভুতমারা, দুর্গাপুর, গোবিন্দগন্জ উপজেলার তেতুলতলি, এলাসেরঘাট, কাটাখালী, মহিমাগন্জ, বাঙাবাড়ী, জালালতাইর, চন্দনপাট, ওসমানেরপাড়া, কামালেরপাড়া সহ আলাই-বাঙালীর তীরবর্তি এলাকায় প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে নদীর আকার। জৌলুস হারিয়ে কোন কোন স্থানে মরা খালে পরিনত হয়েছে। এখন মাঘ ফাল্গুনের আগেই নদী হয়ে যায় পানি শুন্য। যে নদী থেকে পানি তুলে চার পাশের জমিতে চাষাবাদ হতো, সেখানে পড়ে আছে ধু ধু বালির স্তর। নদীর তলদেশে সামান্ন পানি থাকলেও তার বুক চিরে ফসলের চাষে তা ঢেকে পড়েছে। নদীর সামান্ন এলাকায় এখন পানি থাকে। গভীরতা বলতে আর কিছু নেই। নদীর বেশির ভাগেই এখন চর পড়ে সমতল ভুমির ন্যায় হয়েছে।

এসব এলাকায় এখন সবুজ ফসলের সমারোহ। মিষ্টি আলু, বাদাম, আখ, ভুট্টা, বিভিন্ন জাতের ডাল, মরিচ ও শাক-সবজি চাষ হচ্ছে নদীর অববাহিকায়। কোথাও নদীর তলদেশ থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত মাঠের ন্যায় পরিনত হয়েছে। সবুজ ফসলের সমারোহ দেখে মনেই হবেনা এটি একটি নদী। এভাবেই আলাই-বাঙালি নদী যেন হারাতে বসেছে তার আপন স্বকীয়তা। নদীপাড় এলাকা দলদলিয়া গ্রামের কৃষক সুশান্ত চন্দ্র জানান, আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন চাষাবাদ হচ্ছে নদীর বুক চিরে। দুর থেকে দেখলে এখন আর নদী মনে হয় না বলেও জানান তিনি। ২০ বছর আগেও সব সময় নদীতে পানি থাকতো। নদীর গভীরতা কমে আসায় এ অবস্থা বলে জানালেন, কচুয়া এলাকার কৃষক আব্দুস সামাদ।

ট্যাগ :

৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে 

সাঘাটার আলাই-বাঙালি নদী আপন স্বকীয়তা হারাতে বসেছে

প্রকাশিত : ১২:০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

গাইবান্ধার সাঘাটা সহ তিন উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে আলাই-বাঙালি নদী। এক সময়ের খরস্রোতা এই আলাই নদী এখন খালে পরিনত হয়েছে। বছরের প্রায় অধিকাংশ সময়ই পানি থাকতো। নৌ চলাচল ছিলো অবাধ। জেলা উপজেলার অধিকাংশ মানুষের ব্যবসা-বানিজ¦্য ও যাতায়াতে চিরচেনা নদীর দুই কুলে ছিলো প্রাণোচ্ছাস। এখন আর সেই দিন নেই। কালের পরিক্রমায় সেই নদী আপন স¦কীয়তা হারিয়ে এখন মৌসুম ভিত্তিক ফসলের মাঠে পরিনত হয়েছে।

জেলার তিস্তামুখ নদীর অববাহিকা থেকে বাদিয়াখালীর উপর দিয়ে পদুমশহর, ভুতমারা, দুর্গাপুর, গোবিন্দগন্জ উপজেলার তেতুলতলি, এলাসেরঘাট, কাটাখালী, মহিমাগন্জ, বাঙাবাড়ী, জালালতাইর, চন্দনপাট, ওসমানেরপাড়া, কামালেরপাড়া সহ আলাই-বাঙালীর তীরবর্তি এলাকায় প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে নদীর আকার। জৌলুস হারিয়ে কোন কোন স্থানে মরা খালে পরিনত হয়েছে। এখন মাঘ ফাল্গুনের আগেই নদী হয়ে যায় পানি শুন্য। যে নদী থেকে পানি তুলে চার পাশের জমিতে চাষাবাদ হতো, সেখানে পড়ে আছে ধু ধু বালির স্তর। নদীর তলদেশে সামান্ন পানি থাকলেও তার বুক চিরে ফসলের চাষে তা ঢেকে পড়েছে। নদীর সামান্ন এলাকায় এখন পানি থাকে। গভীরতা বলতে আর কিছু নেই। নদীর বেশির ভাগেই এখন চর পড়ে সমতল ভুমির ন্যায় হয়েছে।

এসব এলাকায় এখন সবুজ ফসলের সমারোহ। মিষ্টি আলু, বাদাম, আখ, ভুট্টা, বিভিন্ন জাতের ডাল, মরিচ ও শাক-সবজি চাষ হচ্ছে নদীর অববাহিকায়। কোথাও নদীর তলদেশ থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত মাঠের ন্যায় পরিনত হয়েছে। সবুজ ফসলের সমারোহ দেখে মনেই হবেনা এটি একটি নদী। এভাবেই আলাই-বাঙালি নদী যেন হারাতে বসেছে তার আপন স্বকীয়তা। নদীপাড় এলাকা দলদলিয়া গ্রামের কৃষক সুশান্ত চন্দ্র জানান, আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন চাষাবাদ হচ্ছে নদীর বুক চিরে। দুর থেকে দেখলে এখন আর নদী মনে হয় না বলেও জানান তিনি। ২০ বছর আগেও সব সময় নদীতে পানি থাকতো। নদীর গভীরতা কমে আসায় এ অবস্থা বলে জানালেন, কচুয়া এলাকার কৃষক আব্দুস সামাদ।