০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চীনে নিষিদ্ধ হলো বিবিসি

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসি’র সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে চীনে। দেশটির চলচ্চিত্র, টিভি ও রেডিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলা হয়েছে, বিবিসি দেশটিতে সম্প্রচার চালানোর আবেদন করলেও সেটি অন্তত একবছর কোনো বিবেচনায় নেওয়া হবে না। ব্রিটিশ গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম দেশটিতে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচার মাধ্যম চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের (সিজিটিএস) লাইসেন্স বাতিল করার এক সপ্তাহের মাথায় চীন বিবিসি সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জানালো। বিবিসি ও সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার এক আদেশে চীন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ এবং চীনের উইঘুরে নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন নিয়ে বিবিসি প্রকাশিত প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনাও করছে চীন। তবে বিবিসি সম্প্রচার নিষিদ্ধের এই সিদ্ধান্তে বিবিসি ‘হতাশ’ হয়েছে বলে জানিয়েছে। বিবিসি সম্প্রচারে নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, চীনের সম্প্রচার নীতিমালায় বলা হয়েছেÑ প্রচারিত সংবাদ বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য হতে হবে এবং চীনের জাতীয় স্বার্থের ক্ষতি হয়, এমন কিছু প্রচার করা যাবে না। বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ চীনের এই সম্প্রচার নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বিবিসি এক বিবৃতিতে বলছে, আমরা চীন কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ। বিবিসি বিশ্বের অন্যতম নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যম। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত সংবাদ বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে এবং নির্ভীকভাবে ও কাউকে বিশেষ সুবিধা না দিয়েই প্রচার করে থাকে বিবিসি। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব চীনের এই সিদ্ধান্তকে ‘অগ্রহণযোগ্য এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের সামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন। এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। তারা বলছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে চীনের যে উদ্যোগ, তারই অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বিশ্বব্যাপী ইংরেজি ভাষায় সংবাদ প্রচার করে থাকে। চীনের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেও দেশটিতে বহুল পরিসরে বিবিসি সম্প্রচারিত হতো না। চীনের আন্তর্জাতিক হোটেল ও কিছু কূটনৈতিক এলাকাগুলোতেই কেবল এই চ্যানেলটি সম্প্রচারের সুযোগ ছিল। সেই অর্থে চীনের বেশিরভাগ নাগরিকেরই স্বাধীনভাবে বিবিসি দেখার সুযোগ ছিল না। এবারে সীমিত পরিসরে চীনে বসে যারা বিবিসি দেখতে পেতেন, তারাও আর সেই সুযোগ পাবেন না।

ট্যাগ :

৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে 

চীনে নিষিদ্ধ হলো বিবিসি

প্রকাশিত : ১২:০১:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসি’র সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে চীনে। দেশটির চলচ্চিত্র, টিভি ও রেডিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলা হয়েছে, বিবিসি দেশটিতে সম্প্রচার চালানোর আবেদন করলেও সেটি অন্তত একবছর কোনো বিবেচনায় নেওয়া হবে না। ব্রিটিশ গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম দেশটিতে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচার মাধ্যম চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের (সিজিটিএস) লাইসেন্স বাতিল করার এক সপ্তাহের মাথায় চীন বিবিসি সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জানালো। বিবিসি ও সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার এক আদেশে চীন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ এবং চীনের উইঘুরে নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন নিয়ে বিবিসি প্রকাশিত প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনাও করছে চীন। তবে বিবিসি সম্প্রচার নিষিদ্ধের এই সিদ্ধান্তে বিবিসি ‘হতাশ’ হয়েছে বলে জানিয়েছে। বিবিসি সম্প্রচারে নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, চীনের সম্প্রচার নীতিমালায় বলা হয়েছেÑ প্রচারিত সংবাদ বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য হতে হবে এবং চীনের জাতীয় স্বার্থের ক্ষতি হয়, এমন কিছু প্রচার করা যাবে না। বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ চীনের এই সম্প্রচার নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বিবিসি এক বিবৃতিতে বলছে, আমরা চীন কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ। বিবিসি বিশ্বের অন্যতম নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যম। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত সংবাদ বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে এবং নির্ভীকভাবে ও কাউকে বিশেষ সুবিধা না দিয়েই প্রচার করে থাকে বিবিসি। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব চীনের এই সিদ্ধান্তকে ‘অগ্রহণযোগ্য এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের সামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন। এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। তারা বলছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে চীনের যে উদ্যোগ, তারই অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বিশ্বব্যাপী ইংরেজি ভাষায় সংবাদ প্রচার করে থাকে। চীনের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেও দেশটিতে বহুল পরিসরে বিবিসি সম্প্রচারিত হতো না। চীনের আন্তর্জাতিক হোটেল ও কিছু কূটনৈতিক এলাকাগুলোতেই কেবল এই চ্যানেলটি সম্প্রচারের সুযোগ ছিল। সেই অর্থে চীনের বেশিরভাগ নাগরিকেরই স্বাধীনভাবে বিবিসি দেখার সুযোগ ছিল না। এবারে সীমিত পরিসরে চীনে বসে যারা বিবিসি দেখতে পেতেন, তারাও আর সেই সুযোগ পাবেন না।