১২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্বশুরের কাছে পরাজিত জামাই, কাউকে ভোট দেননি মেয়ে

অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে মেয়ের জামাতাকে পরাজিত করেছেন শ্বশুর। ১ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর বাবুল মিয়া। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামাই হুমায়ুন কবির পেয়েছেন ৮৪৭ ভোট। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা পিসাইডিং অফিসার কামাল আহমেদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই পৌরসভায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বাবুল মিয়া ও তারই বড় মেয়ে লিজা আক্তারের জামাই মো. হুমায়ুন কবির। এর মধ্যে শ্বশুর বাবুল মিয়া পাঞ্জাবি ও জামাই হুমায়ুন কবির পানির বোতল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জামাই-শ্বশুরের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা সব জায়গা আলোচিত ছিল। কেউ কাউকে ছাড় দিতে ছিলেন নারাজ। নির্বাচিত কাউন্সিলর শ্বশুর বয়সগত কারণে নিজের শেষ নির্বাচন বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবু মন গলেনি মেয়ের জামাইয়ের! ‘বাবার ওসিয়ত’ তাই নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দেন জামাই। শ্বশুরকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধও জানান তিনি। পাল্টা জামাইকেও সরে দাঁড়াতে বলেন শ্বশুর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে বিজয়ী হলেন শ্বশুর। বিজয়ী হওয়ার পর শ্বশুর বাবুল মিয়া বলেন, আমি আমার মেয়ের জামাইকে নিজের ছেলের মতো দেখেছি, এখনো তা দেখব। আমি তাকে কলিজার টুকরো মনে করেছি, এখনো তা করব। এতে আমাদের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট হবে না। জামাই তো জামাই-ই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মেয়ে ভোট কেন্দ্রেই আসেনি। তাই নিজের বাবা বা স্বামী কাউকেই ভোট দেয়নি। এদিকে এই ওয়ার্ডে আরেক প্রার্থী ‘উট’ প্রতীকের মো. দেওয়ান সাদ্দাম। তিনি পেয়েছেন ৬৮ ভোট।

ট্যাগ :

শ্বশুরের কাছে পরাজিত জামাই, কাউকে ভোট দেননি মেয়ে

প্রকাশিত : ১২:২৭:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে মেয়ের জামাতাকে পরাজিত করেছেন শ্বশুর। ১ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর বাবুল মিয়া। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামাই হুমায়ুন কবির পেয়েছেন ৮৪৭ ভোট। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা পিসাইডিং অফিসার কামাল আহমেদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই পৌরসভায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বাবুল মিয়া ও তারই বড় মেয়ে লিজা আক্তারের জামাই মো. হুমায়ুন কবির। এর মধ্যে শ্বশুর বাবুল মিয়া পাঞ্জাবি ও জামাই হুমায়ুন কবির পানির বোতল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জামাই-শ্বশুরের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা সব জায়গা আলোচিত ছিল। কেউ কাউকে ছাড় দিতে ছিলেন নারাজ। নির্বাচিত কাউন্সিলর শ্বশুর বয়সগত কারণে নিজের শেষ নির্বাচন বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবু মন গলেনি মেয়ের জামাইয়ের! ‘বাবার ওসিয়ত’ তাই নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দেন জামাই। শ্বশুরকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধও জানান তিনি। পাল্টা জামাইকেও সরে দাঁড়াতে বলেন শ্বশুর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে বিজয়ী হলেন শ্বশুর। বিজয়ী হওয়ার পর শ্বশুর বাবুল মিয়া বলেন, আমি আমার মেয়ের জামাইকে নিজের ছেলের মতো দেখেছি, এখনো তা দেখব। আমি তাকে কলিজার টুকরো মনে করেছি, এখনো তা করব। এতে আমাদের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট হবে না। জামাই তো জামাই-ই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মেয়ে ভোট কেন্দ্রেই আসেনি। তাই নিজের বাবা বা স্বামী কাউকেই ভোট দেয়নি। এদিকে এই ওয়ার্ডে আরেক প্রার্থী ‘উট’ প্রতীকের মো. দেওয়ান সাদ্দাম। তিনি পেয়েছেন ৬৮ ভোট।