০৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

মানসিক প্রতিবন্ধি শিশু তায়িবাকে নিয়ে বিপাকে দাদী সুফিয়া

৫ বছর বয়সী মেয়েটির নাম তায়িবা। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের রাজাবাড়ি গ্রামের কৃষক রূপচাঁন মিয়ার মেয়ে। ২০১৪ সালে মরজাল ইউনিয়নের রাজাবাড়ি গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে রূপচাঁন মিয়ার সাথে পারিবারিক সম্মতিতে একই উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার মেয়ে ফারজানার বিয়ে হয়। তাদের বিয়ের প্রায় ২ বছর পর দাম্পত্য জীবনে জন্ম হয় এক কন্যা শিশু তায়িবার। জন্মের প্রায় ৩ বছরের মাথায় তায়িবার পরিবার বুঝতে পারে সে মানসিক প্রতিবন্ধি। পরিবারের অসচ্ছলতা ও দরিদ্রতার কারণে প্রায় ৬ মাস আগে বাড়ির কাউকে কিছু না বলে নিখোঁজ হয় তায়িবার বাবা-মা। তারপর থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত বৃদ্ধা দাদা-দাদির কাছে বড় হচ্ছে তায়িবা। মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার বৃদ্ধা দাদা-দাদীর পক্ষে তার সেবা যতœ, লালন-পালন করা কষ্টসাধ্য। আর তাই নিরুপায় হয়ে ভারসাম্যহীন মেয়েটিকে বাচিঁয়ে রাখার জন্য তার মা-বাবাকে একান্ত প্রয়োজন। মা-বাবাকে কাছে পেলে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবায় সে অনেকটা সুস্থ্যতা ফিরে পেতে পারে শিশু তায়িবা। এমতাবস্থায় তার বাবা-মাকে তার কাছে ফিরিয়ে দিতে গত বছর ৩০ ডিসেম্বর নরসিংদী পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করে মেয়েটির দাদী সুফিয়া বেগম।

লিখিত আবেদনে সুফিয়া বলেন, আমার ছেলে ও ছেলের বৌ রূপচাঁন মিয়া ও ফারজানা তাদের একমাত্র মেয়েকে বাড়িতে রেখে নিখোঁজ হয়ে যায়। আমি অসুস্থ মানুষ আমার পক্ষে প্রতিবন্ধি মেয়েকে রাখা কঠিন। বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারি তারা নরসিংদীতে ভাড়া থাকে। তাদের ফোন দিলেও তারা ফোন ধরে না। এমতাবস্থায় প্রতিবন্ধি শিশু তায়িবার বাবা-মাকে ফিরে পেতে এবং তাকে সরকারি ভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন দাদী সুফিয়া।

ট্যাগ :

ডাকসু নির্বাচনে দুপুরের মধ্যে প্যানেল ঘোষণা করবে ছাত্রদল

মানসিক প্রতিবন্ধি শিশু তায়িবাকে নিয়ে বিপাকে দাদী সুফিয়া

প্রকাশিত : ১২:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

৫ বছর বয়সী মেয়েটির নাম তায়িবা। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের রাজাবাড়ি গ্রামের কৃষক রূপচাঁন মিয়ার মেয়ে। ২০১৪ সালে মরজাল ইউনিয়নের রাজাবাড়ি গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে রূপচাঁন মিয়ার সাথে পারিবারিক সম্মতিতে একই উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার মেয়ে ফারজানার বিয়ে হয়। তাদের বিয়ের প্রায় ২ বছর পর দাম্পত্য জীবনে জন্ম হয় এক কন্যা শিশু তায়িবার। জন্মের প্রায় ৩ বছরের মাথায় তায়িবার পরিবার বুঝতে পারে সে মানসিক প্রতিবন্ধি। পরিবারের অসচ্ছলতা ও দরিদ্রতার কারণে প্রায় ৬ মাস আগে বাড়ির কাউকে কিছু না বলে নিখোঁজ হয় তায়িবার বাবা-মা। তারপর থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত বৃদ্ধা দাদা-দাদির কাছে বড় হচ্ছে তায়িবা। মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার বৃদ্ধা দাদা-দাদীর পক্ষে তার সেবা যতœ, লালন-পালন করা কষ্টসাধ্য। আর তাই নিরুপায় হয়ে ভারসাম্যহীন মেয়েটিকে বাচিঁয়ে রাখার জন্য তার মা-বাবাকে একান্ত প্রয়োজন। মা-বাবাকে কাছে পেলে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবায় সে অনেকটা সুস্থ্যতা ফিরে পেতে পারে শিশু তায়িবা। এমতাবস্থায় তার বাবা-মাকে তার কাছে ফিরিয়ে দিতে গত বছর ৩০ ডিসেম্বর নরসিংদী পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করে মেয়েটির দাদী সুফিয়া বেগম।

লিখিত আবেদনে সুফিয়া বলেন, আমার ছেলে ও ছেলের বৌ রূপচাঁন মিয়া ও ফারজানা তাদের একমাত্র মেয়েকে বাড়িতে রেখে নিখোঁজ হয়ে যায়। আমি অসুস্থ মানুষ আমার পক্ষে প্রতিবন্ধি মেয়েকে রাখা কঠিন। বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারি তারা নরসিংদীতে ভাড়া থাকে। তাদের ফোন দিলেও তারা ফোন ধরে না। এমতাবস্থায় প্রতিবন্ধি শিশু তায়িবার বাবা-মাকে ফিরে পেতে এবং তাকে সরকারি ভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন দাদী সুফিয়া।