সিরাজগঞ্জে এক অবহেলিত উপজেলা ছিল কামারখন্দ, কিন্তু আজ এ উপজেলার গ্রামীণ অবাকাঠামো উন্নয়ন চিত্র এখন দৃশ্যমান। যেমন রাস্তঘাট-ব্রীজ কালর্ভাট, স্কুল কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা সবই সৌর্ন্দয্য ও শোভা পাচ্ছে।এক সময়ের অবহেলিত গ্রামের মোড়গুলোতে, এখন চায়ের দোকান, অতিসহজে নিত্যপণ্য পাওয়া যায়, এলাকার সাধারণ জনগন এখন আনন্দিত।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, প্রধান মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি,প্রত্যেকটা গ্রামই , শহরের সুযোগ সুবিধা পাবে ।সেই অঙ্গীকার সামনে রেখে, সিরাজগঞ্জ- কামারখন্দের সাংসদে অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না’র দিকনির্দেশনায়, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে কামারখন্দ উপজেলার প্রকৌশলী সার্বিক প্রচেষ্টায় উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলো সময় মতো টেন্ডার করা সহ, সঠিক ভাবে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার ফলে, এ উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাম গুলোর রাস্তা ঘাট নির্মাণ করা হয়। কামারখন্দ অঞ্চল মূলত কৃষি প্রধান এলাকা। রাস্তা ঘাট না থাকার কারণে, এক সময় এ এলাকার কৃষক গণ ভালো দাম পেতেন না। কিন্তু এখন , গ্রামের কৃষক গণ তাদের ফসল অতি সহজেই বাজারজাত করতে পারে , ফলে নায্য দাম পেয়ে থাকে ।রাস্তা ও প্রয়োজনীয় ব্রিজ গুলো হওয়ার ফলে মানুষ জন এখন ২০ মিনিটের মধ্যে জেলা শহরে যেতে পারে ।অসুস্থ রোগী নিয়ে আগে ভোগান্তির শেষ ছিল না, এখন মূহুর্তেই উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহরে যেতে পারছে।
ভাদ্রঘাট ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মোঃ জাফর আলী
জানান,আমাদের এলাকা সার্বিক উন্নয়ন দৃশ্যমান,প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়ক দিয়ে হাজারো মানুষ অতি সহজে জেলার শহরে যাতায়াত করতে পারছে, এ সড়ক,ব্রীজ না থাকার কারণে আমাদের আগে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। রাস্তাঘাট হওয়ায় একদিকে যেমন অঞ্চলের মানুষের কষ্টলাঘব হয়েছে পাশাপাশি সৌন্দর্য্য বর্ধণ হয়েছে।এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়কগুলো দেখলে প্রাণ ভরে যায়। এ ছাড়া উপজেলা প্রকৌশল অফিসের লোকজন সার্বিকভাবে তদারকি করায়, কাজের গুনগতমান সম্পূর্ণ হওয়ায়, উন্নয়ন চিত্র এখন দৃশ্যমান।
রায়দৌতপুর ইউনিয়নের শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের ল্যাব টেকনোলজি মো: আল আমিন জানান, এ উপজেলার যেকোন এলাকায় এখন নির্বিঘেœ যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করা যায়। কৃষকের কৃষি পণ্য সহ সকল ধরনের মালামাল পরিবহনসহ মানুষের সহজ চলাচল নিশ্চিত হয়েছে। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্টসহ নানা উন্নয়ন করা হয়েছে।
ভদ্রঘাট ইউনিয়নের গ্রাম্য ডাক্তার সাইফুল ইসলাম বলেন. আমাদের এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে, তা অতীতের কোন সরকারের আমলে সম্ভব হয়নি।এমনকি স্বাধীনতার ৪০বছরেও হয়নি । ব্রিজ , হাসপাতাল, রাস্তাঘাট স্কুল কলেজসহ নানা অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সানজিদ আহমেদ বলেন, এক সময় কামারখন্দ ছিল অবহেলিত, এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তা,ব্রীজ, স্কুল, এলাকা সার্বিক উন্নয়ন দৃশ্যমান,প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়ক দিয়ে হাজারো মানুষ অতি সহজে জেলার শহরে যাতায়াত করতে পারছে,। বর্তমানে আরও প্রায় ৩০ কিঃমিঃ নতুন ও মেরামত রাস্তা নিমার্ণ কাজ চলমান আছে, এছাড়া ৮টি ব্রীজ, নিমার্ণাধীন, এবং১৬ টি স্কুল নিমার্ণ চলমান। এছাড়াও অনেক গুলো রাস্তা,ব্রীজ, স্কুল, প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ কাজ গুলো পাশ হয়ে আসলে, কামারখন্দ উপজেলার চিত্র বদলে যাবে।