০২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

৭ মার্চ অনন্য মাইলফলক

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ৭ মার্চ বাঙালি জাতির জন্য এক অনন্য মাইলফলক। তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘উইমেন ইন লিডারশিপঃ হোয়াট ডাজ ইট টেক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঐতিহাসিক ৭মার্চ জাতি, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের জন্য মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সকলকে একত্রিত করেছিল বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণ। স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে ও মুজিববর্ষের প্রেক্ষিতে এবং ইউনেস্কো কর্তৃক ৭মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি ঐতিহাসিক ৭মার্চকে সরকার জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেকারণে ২০২১ সালের নারী দিবস এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। নারী দিবসের প্রাক্কালে তিনি ত্রিশ লক্ষ শহীদ, দুই লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোন, জাতীয় চার নেতা ও ৭৫এর ১৫আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। স্পিকার বলেন, নারীরা পরিবর্তনের শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিনিধি। নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অধিকতর নারী নেতৃত্ব জরুরি। নারী নেতৃত্বের এই অগ্রগায়নে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। এজন্য বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও স্থানীয় অভিজ্ঞতার সমন্বয় দরকার। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় তাদের অবদান অনস্বীকার্য। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য মূলধারায় নারিদের সম্পৃক্ততা জরুরি। পরিবারকে সামলানোর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নারীরা নিজেদের যোগ্যতা প্রতিনিয়ত প্রমাণ করছে। উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে আনতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার। তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা নেতৃত্বের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে যা দুঃখজনক। স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন খাতে সেবাদানকারী হিসেবে নারীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য হলেও নেতৃত্বের দিক থেকে তারা মাত্র ২৫ শতাংশ। এই দৃশ্যপট পরিবর্তনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতে নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও এই সময়ই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা, অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রসারের মাধ্যমে অর্থনীতিতে তাদের অবদান ছিল লক্ষণীয়। স্পিকার করোনা মহামারি মোকাবেলায় যথাসময়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে চারজনের মধ্যে অন্যতম নারী নেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ইন্সপায়রেশনাল লিডারশিপ’ সম্মাননা অর্জন করায় করায় প্রধানমন্ত্রীকে আনারিক অভিনন্দন জানান। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্যানেলিস্ট হিসেবে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সেলিমা আহমেদ এমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা, বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি আমেনা বেগম, মিডওয়াইফারি অফিসার মোসাম্মৎ করিমা বেগম, অল ফর ওয়ান ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কামরুন্নেসা মীরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, জাতিসংঘ বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ, সংশ্লিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

৭ মার্চ অনন্য মাইলফলক

প্রকাশিত : ১২:০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ৭ মার্চ বাঙালি জাতির জন্য এক অনন্য মাইলফলক। তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘উইমেন ইন লিডারশিপঃ হোয়াট ডাজ ইট টেক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঐতিহাসিক ৭মার্চ জাতি, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের জন্য মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সকলকে একত্রিত করেছিল বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণ। স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে ও মুজিববর্ষের প্রেক্ষিতে এবং ইউনেস্কো কর্তৃক ৭মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি ঐতিহাসিক ৭মার্চকে সরকার জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেকারণে ২০২১ সালের নারী দিবস এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। নারী দিবসের প্রাক্কালে তিনি ত্রিশ লক্ষ শহীদ, দুই লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোন, জাতীয় চার নেতা ও ৭৫এর ১৫আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। স্পিকার বলেন, নারীরা পরিবর্তনের শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিনিধি। নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অধিকতর নারী নেতৃত্ব জরুরি। নারী নেতৃত্বের এই অগ্রগায়নে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। এজন্য বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও স্থানীয় অভিজ্ঞতার সমন্বয় দরকার। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় তাদের অবদান অনস্বীকার্য। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য মূলধারায় নারিদের সম্পৃক্ততা জরুরি। পরিবারকে সামলানোর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নারীরা নিজেদের যোগ্যতা প্রতিনিয়ত প্রমাণ করছে। উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে আনতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার। তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা নেতৃত্বের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে যা দুঃখজনক। স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন খাতে সেবাদানকারী হিসেবে নারীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য হলেও নেতৃত্বের দিক থেকে তারা মাত্র ২৫ শতাংশ। এই দৃশ্যপট পরিবর্তনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতে নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও এই সময়ই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা, অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রসারের মাধ্যমে অর্থনীতিতে তাদের অবদান ছিল লক্ষণীয়। স্পিকার করোনা মহামারি মোকাবেলায় যথাসময়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে চারজনের মধ্যে অন্যতম নারী নেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ইন্সপায়রেশনাল লিডারশিপ’ সম্মাননা অর্জন করায় করায় প্রধানমন্ত্রীকে আনারিক অভিনন্দন জানান। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্যানেলিস্ট হিসেবে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সেলিমা আহমেদ এমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা, বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি আমেনা বেগম, মিডওয়াইফারি অফিসার মোসাম্মৎ করিমা বেগম, অল ফর ওয়ান ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কামরুন্নেসা মীরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, জাতিসংঘ বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ, সংশ্লিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।