১০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

খুলনায় এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ

করোনা সংক্রমণ রোধে খুলনায় ১৩ জুন থেকে এক সপ্তাহের ‘বিধিনিষেধ’ আরোপ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে- সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান, শপিংমল, রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে বা ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না। ইজিবাইক চলবে অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে। কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান এই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সভায় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। রাস্তাঘাটে অযথা জটলা করে আড্ডা দেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা পালনের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা মেহেদী নেওয়াজ বলেন, খুলনা সদরে করোনা পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায়। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আইসিইউ থেকে শুরু করে এইচডিইউ এমনকি সাধারণ শয্যা কোথাও ফাঁকা নেই। ১০০ শয্যার হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ১৪৩ জন। খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৬ জন শনাক্ত হয়েছে। যা নমুনা পরীক্ষার ৩৫ শতাংশ। সভায় খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মো. মাহবুব আলম সোহাগ, সরকারি কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

খুলনায় এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ

প্রকাশিত : ১২:৩৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১

করোনা সংক্রমণ রোধে খুলনায় ১৩ জুন থেকে এক সপ্তাহের ‘বিধিনিষেধ’ আরোপ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে- সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান, শপিংমল, রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে বা ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না। ইজিবাইক চলবে অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে। কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান এই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সভায় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। রাস্তাঘাটে অযথা জটলা করে আড্ডা দেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা পালনের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা মেহেদী নেওয়াজ বলেন, খুলনা সদরে করোনা পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায়। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আইসিইউ থেকে শুরু করে এইচডিইউ এমনকি সাধারণ শয্যা কোথাও ফাঁকা নেই। ১০০ শয্যার হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ১৪৩ জন। খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৬ জন শনাক্ত হয়েছে। যা নমুনা পরীক্ষার ৩৫ শতাংশ। সভায় খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মো. মাহবুব আলম সোহাগ, সরকারি কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।