০৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

হতাশায় দিনপার যমুনা নদীর পাড়বাসীর

জেলার দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে ভাঙনে বিলিনের পথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাট-বাজার আশ্রয় কেন্দ্রসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হবার আগেই উপজেলার বাঁচামারা চরকাটারি ইউনিয়নে যমুনা নদীর পাড় এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে বাঁচামারা মাদ্রাসা, প্রাইমারি স্কুল, কলেজ, সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্রসহ যমুনা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান।

সরেজমিনে ভাঙন কবলিত এলাকা গিয়ে দেখা যায়, জেলার দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদী পারের বাঁচামারা ও চরকাটারি ইউনিয়নের বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তীব্র নদী ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষায় গ্রামের নদীর পাড় এলাকায় বিশাল পাড়ালের সৃষ্টি হয়ে ভয়াবহ অবস্থায় আছে। ফলে গ্রামবাসীরা অনেকই আতংকের মধ্যে রয়েছেন। এবার বর্ষা শুরু হবার আগেই ভাঙতে শুরু করেছে। বর্ষায় নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে ব্যাপক আকারে নদী ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে। যা শত চেষ্টা করেও ভাঙন রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই পূর্বেই ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।কাঁঠালতলা গ্রামের সামসুদ্দীন জানান, ভাঙন কবলিত চরকাটারি ইউনিয়নের কাঠালতলা নদীর পানির স্রোত এসব গ্রামের নিকটবর্তী এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় অনেকেই ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছেন। এ ইউনিয়নের অনেকের বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।

স্থানীয় আব্দুল করিম জানান, এ বছর বাঁচামারা বাজারে নদী ভাঙন সর্বকালের ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এ বছর বর্ষায় পানি বাড়ার সময় যেভাবে নদী ভাঙন শুরু হয় তা বিগত বর্ষায় এ রকম ভাঙন দেখা যায়নি। এবার বর্ষা শুরু হবার আগেই ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে পানি বৃদ্ধির সময় বাঁচামারা হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্র এবং বাগষাইটা, চরকাটারি ইউনিয়নের কাঁঠালতলা গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে আমরা আতংকের মধ্যে রয়েছি। নদীর পাড় এলাকা দিয়ে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ এবং নদী শাসন করলে হয়তো নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে। তা না হলে পূর্ব পুরুষের ভিটাবাড়ি, জায়গা জমি সব নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। অবশেষে গৃহহীন হয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে বসবাস করতে হবে। এমতাবস্থায় নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরি ভিত্তিতে নদী শাসনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম রাজা বলেন, এ বছর বর্ষার শুরুতেই উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্র, মাদ্রাসা এবং চরকাটারি ইউনিয়নের কাঁঠালতলা এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে । আমি ইতোমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং ভাঙন রোধে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। দ্রুত নদী ভাঙন রোধ করতে না পারলে লক্ষ লক্ষ টাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্র নদীগর্ভে চলে যাবে।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা এবং চরকাটারি ইউনিয়নের নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। ডিজি স্যারের সাথে কথা বলে দুই তিন দিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।

ট্যাগ :

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

হতাশায় দিনপার যমুনা নদীর পাড়বাসীর

প্রকাশিত : ১২:০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

জেলার দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে ভাঙনে বিলিনের পথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাট-বাজার আশ্রয় কেন্দ্রসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হবার আগেই উপজেলার বাঁচামারা চরকাটারি ইউনিয়নে যমুনা নদীর পাড় এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে বাঁচামারা মাদ্রাসা, প্রাইমারি স্কুল, কলেজ, সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্রসহ যমুনা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান।

সরেজমিনে ভাঙন কবলিত এলাকা গিয়ে দেখা যায়, জেলার দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদী পারের বাঁচামারা ও চরকাটারি ইউনিয়নের বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তীব্র নদী ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষায় গ্রামের নদীর পাড় এলাকায় বিশাল পাড়ালের সৃষ্টি হয়ে ভয়াবহ অবস্থায় আছে। ফলে গ্রামবাসীরা অনেকই আতংকের মধ্যে রয়েছেন। এবার বর্ষা শুরু হবার আগেই ভাঙতে শুরু করেছে। বর্ষায় নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে ব্যাপক আকারে নদী ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে। যা শত চেষ্টা করেও ভাঙন রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই পূর্বেই ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।কাঁঠালতলা গ্রামের সামসুদ্দীন জানান, ভাঙন কবলিত চরকাটারি ইউনিয়নের কাঠালতলা নদীর পানির স্রোত এসব গ্রামের নিকটবর্তী এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় অনেকেই ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছেন। এ ইউনিয়নের অনেকের বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।

স্থানীয় আব্দুল করিম জানান, এ বছর বাঁচামারা বাজারে নদী ভাঙন সর্বকালের ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এ বছর বর্ষায় পানি বাড়ার সময় যেভাবে নদী ভাঙন শুরু হয় তা বিগত বর্ষায় এ রকম ভাঙন দেখা যায়নি। এবার বর্ষা শুরু হবার আগেই ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে পানি বৃদ্ধির সময় বাঁচামারা হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্র এবং বাগষাইটা, চরকাটারি ইউনিয়নের কাঁঠালতলা গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে আমরা আতংকের মধ্যে রয়েছি। নদীর পাড় এলাকা দিয়ে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ এবং নদী শাসন করলে হয়তো নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে। তা না হলে পূর্ব পুরুষের ভিটাবাড়ি, জায়গা জমি সব নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। অবশেষে গৃহহীন হয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে বসবাস করতে হবে। এমতাবস্থায় নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরি ভিত্তিতে নদী শাসনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম রাজা বলেন, এ বছর বর্ষার শুরুতেই উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্র, মাদ্রাসা এবং চরকাটারি ইউনিয়নের কাঁঠালতলা এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে । আমি ইতোমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং ভাঙন রোধে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। দ্রুত নদী ভাঙন রোধ করতে না পারলে লক্ষ লক্ষ টাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্র নদীগর্ভে চলে যাবে।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা এবং চরকাটারি ইউনিয়নের নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। ডিজি স্যারের সাথে কথা বলে দুই তিন দিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।