কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ও টৈটং ইউনিয়নের মাঝে বয়ে যাওয়া রাজাখালী খালের উপর ব্রিজ না থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘ প্রায় ১০০ বছর ধরে এ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন খালের দু’পাড়ের মানুষ। দুই ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক লোকের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের তৈরি এ সাঁকো।খালের দু’পাড়ে বসবাসরত ২ হাজারেরও অধিক পরিবার একই সমাজের অধিবাসী। শুধু তাই নয় এক মসজিদও এক কবরস্থান ব্যবহার করেন দু’পাড়ের মানুষ।
ওই এলাকার সমাজ কমিটির সভাপতি নুরুল বসর বলেন, খালের এপার ওপারে আমরা ২ হাজারেরও অধিক মানুষ বসবাস করে আসছি। বর্ষায় এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টদায়ক। এপারে কবরস্থান থাকায় ওপারে কেউ মারা গেলে খালের উপর খাটিয়া ভাসিয়ে কবরস্থানে নিতে হয়। আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে শুরু করে প্রায় ১০০ বছর ধরে এ ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
শুধু তাই নয়, সেতুর এপার ওপারের একই সমাজে অন্তর্ভুক্ত লোকদের দুর্ভোগ থাকবেনা। বর্তমানে রাজাখালী খালের উপর ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থী, সাধারণ লোকজন ও লাশ পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। শুষ্ক মৌসুমে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে নির্বিঘেœ চলাচল করা সম্ভব হলেও বর্ষাকালে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। এমনকি মাঝে মধ্যে নানা দুর্ঘটনাও ঘটে সেতু পারাপারে।
রাজাখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নুর ও ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দীন জানান, রাজাখালী ইউনিয়নের হাজীরপাড়া নামক এই স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। চট্রগ্রামের বাঁশখালী ও পেকুয়ার অসংখ্য লোকজনের চলাচল এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, সম্প্রতি এমপি জাফর আলম সাঁকোস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।