০২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

১০০ বছরেও পাল্টেনি এ সাঁকো

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ও টৈটং ইউনিয়নের মাঝে বয়ে যাওয়া রাজাখালী খালের উপর ব্রিজ না থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘ প্রায় ১০০ বছর ধরে এ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন খালের দু’পাড়ের মানুষ। দুই ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক লোকের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের তৈরি এ সাঁকো।খালের দু’পাড়ে বসবাসরত ২ হাজারেরও অধিক পরিবার একই সমাজের অধিবাসী। শুধু তাই নয় এক মসজিদও এক কবরস্থান ব্যবহার করেন দু’পাড়ের মানুষ।
ওই এলাকার সমাজ কমিটির সভাপতি নুরুল বসর বলেন, খালের এপার ওপারে আমরা ২ হাজারেরও অধিক মানুষ বসবাস করে আসছি। বর্ষায় এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টদায়ক। এপারে কবরস্থান থাকায় ওপারে কেউ মারা গেলে খালের উপর খাটিয়া ভাসিয়ে কবরস্থানে নিতে হয়। আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে শুরু করে প্রায় ১০০ বছর ধরে এ ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

শুধু তাই নয়, সেতুর এপার ওপারের একই সমাজে অন্তর্ভুক্ত লোকদের দুর্ভোগ থাকবেনা। বর্তমানে রাজাখালী খালের উপর ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থী, সাধারণ লোকজন ও লাশ পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। শুষ্ক মৌসুমে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে নির্বিঘেœ চলাচল করা সম্ভব হলেও বর্ষাকালে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। এমনকি মাঝে মধ্যে নানা দুর্ঘটনাও ঘটে সেতু পারাপারে।

রাজাখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নুর ও ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দীন জানান, রাজাখালী ইউনিয়নের হাজীরপাড়া নামক এই স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। চট্রগ্রামের বাঁশখালী ও পেকুয়ার অসংখ্য লোকজনের চলাচল এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে।

ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, সম্প্রতি এমপি জাফর আলম সাঁকোস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

ট্যাগ :

ডাকসু নির্বাচনে দুপুরের মধ্যে প্যানেল ঘোষণা করবে ছাত্রদল

১০০ বছরেও পাল্টেনি এ সাঁকো

প্রকাশিত : ১২:০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ও টৈটং ইউনিয়নের মাঝে বয়ে যাওয়া রাজাখালী খালের উপর ব্রিজ না থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘ প্রায় ১০০ বছর ধরে এ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন খালের দু’পাড়ের মানুষ। দুই ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক লোকের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের তৈরি এ সাঁকো।খালের দু’পাড়ে বসবাসরত ২ হাজারেরও অধিক পরিবার একই সমাজের অধিবাসী। শুধু তাই নয় এক মসজিদও এক কবরস্থান ব্যবহার করেন দু’পাড়ের মানুষ।
ওই এলাকার সমাজ কমিটির সভাপতি নুরুল বসর বলেন, খালের এপার ওপারে আমরা ২ হাজারেরও অধিক মানুষ বসবাস করে আসছি। বর্ষায় এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টদায়ক। এপারে কবরস্থান থাকায় ওপারে কেউ মারা গেলে খালের উপর খাটিয়া ভাসিয়ে কবরস্থানে নিতে হয়। আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে শুরু করে প্রায় ১০০ বছর ধরে এ ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

শুধু তাই নয়, সেতুর এপার ওপারের একই সমাজে অন্তর্ভুক্ত লোকদের দুর্ভোগ থাকবেনা। বর্তমানে রাজাখালী খালের উপর ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থী, সাধারণ লোকজন ও লাশ পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। শুষ্ক মৌসুমে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে নির্বিঘেœ চলাচল করা সম্ভব হলেও বর্ষাকালে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। এমনকি মাঝে মধ্যে নানা দুর্ঘটনাও ঘটে সেতু পারাপারে।

রাজাখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নুর ও ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দীন জানান, রাজাখালী ইউনিয়নের হাজীরপাড়া নামক এই স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। চট্রগ্রামের বাঁশখালী ও পেকুয়ার অসংখ্য লোকজনের চলাচল এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে।

ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, সম্প্রতি এমপি জাফর আলম সাঁকোস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।